সামাজিক বিবর্তনের ধাপসমূহ আলোচনা কর

 আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো সামাজিক বিবর্তনের ধাপসমূহ আলোচনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের সামাজিক বিবর্তনের ধাপসমূহ আলোচনা কর ।

সামাজিক বিবর্তনের ধাপসমূহ আলোচনা কর
সামাজিক বিবর্তনের ধাপসমূহ আলোচনা কর

সামাজিক বিবর্তনের ধাপসমূহ আলোচনা কর

অথবা, সামাজিক বিবর্তনের ধাপসমূহ বর্ণনা কর ।

উত্তর : ভূমিকা : জীববিজ্ঞান বিবর্তনের সূচনা করেন চার্লস ডারউইন তাঁর The origin of species গ্রন্থে। মানুষের উৎপত্তি এবং জীবজগতের ক্রমবিকাশ আলোচিত হয়েছে তাঁর এ গ্রন্থে। সামাজিক বিবর্তন নিয়ে তত্ত্ব প্রদান করেন কার্লমার্কস, হার্বার্ট স্পেনসার প্রমুখ সমাজবিজ্ঞানী ।

→ সামাজিক বিবর্তনের ধাপসমূহ : সমাজবিজ্ঞানীদের মতে, বিবর্তন প্রক্রিয়ায় সমাজ বিকাশের ক্ষেত্রে কতগুলো ধাপ অনুসরণ করে । সামাজিক বিবর্তনের ধাপসমূহ নিম্নে দেওয়া হলো-

১. দাস প্রথা (Slavary system) : সমাজের প্রাচীনতম স্তর হচ্ছে দাসব্যবস্থা । আদিম সমাজব্যবস্থার মধ্য থেকেই দাম ব্যবস্থার উৎপত্তি। শিকার ও খাদ্য সংগ্রহভিত্তিক অর্থ ব্যবস্থার পরে যখন কৃষিভিত্তিক সমাজব্যবস্থা চালু হয় তখন দাস ব্যবস্থার প্রচলন হয়। 

দাস যুগে ব্যক্তি মালিকানা শুরু হয়। মার্কের মতে, দাস ব্যবস্থাই প্রথম শ্রেণিভিত্তিক শোষণমূলক সমাজ। এখানে দাস ও মালিক আলাদা আলাদা এবং যাদের সামাজিক মর্যাদা ও অবস্থান সম্পূর্ণ আলাদা। 

দাস হচ্ছে তার মালিকের অধিকারভুক্ত সম্পত্তি। আইন ও সমাজব্যবস্থার প্রত্যক্ষ সমর্থনে দাস-মালিক তার এ সম্পত্তি ব্যবহার করতে পারত। দাসেরা ছিল উৎপাদনের জীবন্ত হাতিয়ার। দাস- মালিক প্রয়োজনে দাস কেনাবেচা করতে পারত ।

২. এস্টেট ব্যবস্থা (Estate system) : মানব সভ্যতা বিবর্তনের দ্বিতীয় পর্যায় হচ্ছে Estate ব্যবস্থা। যা মধ্য যুগে একটি বিশেষ ব্যবস্থা হিসেবে ইউরোপে বিকশিত হয়েছিল। অনেকে এটেস্ট বলতে সামন্ত ব্যবস্থাকে বুঝিয়ে থাকেন। 

তবে estate শব্দের প্রকৃত অর্থ হচ্ছে জমিদারের মালিকানাধীন জমি সামন্ত ব্যবস্থার মাধ্যমে ভূমি ও আর্থসামাজিক এবং রাজনৈতিক অবস্থার উপর ভিত্তি করে যে তিনটি ক্রমোচ্চ শ্রেণি সমাজে রয়েছে এদেরকে এটেস্ট বলে। 

এ ব্যবস্থায় কোনো ব্যক্তি বা দল রাষ্ট্র থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ ভূখণ্ড কোত এটেস্ট ব্যবস্থায় উৎপাদনের উপকরণের মালিক হচ্ছে ভূস্বামী বা অভিজাত শ্রেণি ।

৩. শ্রেণি সমাজব্যবস্থা (Class system) : সমাজ বিবর্তনের তৃতীয় ধাপ হলো Class system. কার্ল মার্কস শ্রেণি ব্যবস্থা সম্পর্কে তেমন কোনো সংজ্ঞা প্রদান করেনি। শ্রেণি সমাজব্যবস্থাকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়।

(ক) উচ্চবিত্ত শ্রেণি; 

(খ) মধ্যবিত্ত শ্রেণি ও 

(গ) নিম্নবিত্ত শ্রেণি ।

শ্রেণি সমাজে শ্রেণিভেদে সামাজিক মর্যাদা প্রদান করা হতো। তখন সমাজের উচ্চ শ্রেণিকে বলা হতো এলিট; তারা সমাজ পরিচালনা করত।

৪. বর্ণপ্রথা (Caste) : সমাজ বিবর্তনের শেষ পর্যায় হলো বর্ণ প্রথা। ভারতীয় সমাজব্যবস্থায় বিশেষ করে হিন্দু সমাজব্যবস্থায় এ প্রথার প্রচলন আছে। বর্ণ প্রথা হচ্ছে কতকগুলো পরিবারের সমষ্টি। তাদের একটি অভিন্ন পদবি রয়েছে এবং তারা পূর্বপুরুষের পেশায় নিয়োজিত থাকে ।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, কার্ল মার্ক্সের মতে, কোনো সমাজ স্থায়ী নয় । এক সমাজ ভেঙে আবার নতুন এক সমাজ তৈরি হয় এবং বিবর্তনের এই প্রক্রিয়া পূর্বের সকল সমাজ ভেঙে বর্তমানে আমরা এই সমাজে এসে পৌঁছেছি। অর্থাৎ কোনো সমাজব্যবস্থায় স্থায়ী নয় । সকল সমাজব্যবস্থা পরিবর্তনীয়।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ সামাজিক বিবর্তনের ধাপসমূহ আলোচনা কর

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম সামাজিক বিবর্তনের ধাপসমূহ আলোচনা কর । যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ