স্পেনের ভৌগোলিক অবস্থান ও আয়তন উল্লেখ কর

 আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো স্পেনের ভৌগোলিক জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের স্পেনের ভৌগোলিক অবস্থান ও আয়তন সম্পর্কে লিখ ।

স্পেনের ভৌগোলিক অবস্থান ও আয়তন উল্লেখ কর
স্পেনের ভৌগোলিক অবস্থান ও আয়তন উল্লেখ কর

স্পেনের ভৌগোলিক অবস্থান ও আয়তন উল্লেখ কর

স্পেনের ভৌগোলিক অবস্থান ও আয়তন সম্পর্কে লিখ

উত্তর : ভূমিকা : স্পেনের ভৌগোলিক অবস্থান দেশটির ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। স্পেন ইউরোপের দক্ষিণ দিকে অবস্থিত আইবেরীয় উপদ্বীপের ১৩ ভাগের প্রায় ১১ ভাগ অঞ্চল জুড়ে অবস্থিত পৃথিবীর অন্যতম বৈচিত্র্যময় ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত দেশ। 

স্পেন এ অঞ্চলের জল ও স্থল পথের সংযোগ স্থলে অবস্থিত। তিন দিকে পানি দ্বারা বেষ্টিত এবং একদিকে পিরেনিজ পর্বতমালা দ্বারা সুরক্ষিত ও স্থল বেষ্টিত ভৌগোলিক পরিসীমা ।

অবস্থান : স্পেন ইউরোপের দক্ষিণ পশ্চিম আইবেরীয় উপদ্বীপে অবস্থিত। আইবেরীয় উপদ্বীপের মোট আয়তনের ১১ ভাগ নিয়ে গঠিত স্পেন এবং ইতালি ও গ্রিস থেকে আকারে বড়। উত্তর-পূর্ব দিক ছাড়া স্পেনের তিনদিক সমুদ্র দ্বারা বেষ্টিত। 

পূর্ব দিকে আছে ভূমধ্যসাগর, দক্ষিণে আছে আফ্রিকাকে বিচ্ছিন্নকারী জিব্রাল্টার প্রণালি, পশ্চিমে আটলান্টিক মহাসাগর এবং স্পেনের সাথে ফ্রান্সের ভূখণ্ডের যে সংযোগ রক্ষা করেছে তা হলো পিরেনিজ পর্বতমালা। 

ভৌগোলিক অবস্থানের দিক দিয়ে স্পেন খুবই গুরুত্বপূর্ণ এ জন্য যে এর একদিকে উত্তর আফ্রিকার সাথে ইউরোপের আর এক দিকে ইউরোপের সাথে ভূমধ্যসাগরের মধ্য দিয়ে সমগ্র এশিয়ার সাথে মিলিত হয়েছে।

আয়তন : স্পেন একটি বড় দেশ। এর মোট আয়তন ১,৯৪,৯০০ বর্গমাইল বা ৫,০৪,৭৮২ বর্গ কিলোমিটার ।

রাজধানী : গথ ও রোমীয় শাসনামলে অর্থাৎ মুসলিম শাসনামলে পূর্বে স্পেনের রাজধানী ছিল টলেডো। মুসলিম শাসনামলে রাজধানী হয় সেভিল এবং পরে হয় কর্ডোভা। মুসলিম আমলে রাজধানী কর্ডোভা ছিল বিশ্বের জ্ঞানবিজ্ঞান ও উন্নতি কেন্দ্র বিন্দু। বর্তমানে স্পেনের রাজধানীর নাম মাদ্রিদ ।

পাহাড় পর্বত : স্পেনের বিভিন্ন স্থানে অনেক উঁচু নিচু পর্বতমালা একে অসমতল করে রেখেছে। উত্তর-পূর্ব ও পূর্বে আইবেরীয় পর্বতমালা, দক্ষিণে সিয়েরা সারেনা পার্বত্য শ্রেণি আর পশ্চিমে গ্যালিশিয়ার উচ্চ মালভূমি। উপদ্বীপটি পীরেনীজ পর্বতমালা থেকে গোয়াডাল কুইভার নদী পর্যন্ত চমৎকারভাবে ঢালু হয়ে গিয়েছে ।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, স্পেনের বিচিত্র ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্যের কারণে স্পেনের সাথে ইউরোপ, এশিয়া ও আফ্রিকা মহাদেশের সাথে যোগাযোগ স্থাপিত হয়। 

স্পেনের ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্যের কারণে স্পেন মুসলিম বিজয়ের অনুকূলে ছিল । আর এই ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্যই স্পেনকে দিয়েছে স্বাতন্ত্র্য যা বিশ্ববাসীকে আগ্রহিত করেছে বারবার।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ স্পেনের ভৌগোলিক অবস্থান ও আয়তন সম্পর্কে লিখ

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম স্পেনের ভৌগোলিক অবস্থান ও আয়তন উল্লেখ কর। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ