তুকারাই যুদ্ধ সম্পর্কে যা জান লিখ | তুকারাই যুদ্ধের বিবরণ দাও

তুকোরাই যুদ্ধ সম্পর্কে যা জান লিখ। তুকোরাই যুদ্ধের বিবরণ দাও
তুকোরাই যুদ্ধ সম্পর্কে যা জান লিখ। তুকোরাই যুদ্ধের বিবরণ দাও

তুকোরাই যুদ্ধ সম্পর্কে যা জান লিখ। তুকোরাই যুদ্ধের বিবরণ দাও

উত্তর : ভূমিকা : মুঘল সম্রাট আকবরের আমলে বাংলা বিজয় একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা । এ বিজয়ের মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে স্বাধীনতা প্রাপ্ত বাংলা মুঘল সাম্রাজ্যভুক্ত হয়। সম্রাট আকবর ছিলেন সাম্রাজ্যবাদী শাসক। 

সেজন্য তিনি বাংলা বিজয় করেন। শুধু তাই নয় আরো কিছু কারণের জন্য বাংলা মুঘলদের কর্তৃত্বাধীনে চলে যায়। ১৫৭৫ সালে তুকোরাইয়ের যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলা মুঘল সাম্রাজ্যভুক্ত হয়। 

নিম্নে তুকারই যুদ্ধ সম্পর্কে তুলে ধরা হলো :

→ তুকোরাই যুদ্ধ : ১৫৭৫ সালের ৩ মার্চ তুকোরাই যুদ্ধ সংঘটিত হয়। দাউদ খান কররানীই সর্বপ্রথম যুদ্ধ শুরু করেন এবং প্রথম চোটেই মুঘল বাহিনীর উপর মারাত্মক আঘাত হানতে সক্ষম হন। 

তার হস্তীবাহিনীর সামনে মুঘলদের অশ্ববাহিনী টিকতে পারে নাই। মুঘল সেনাপতি মুনিম খান বীর বিক্রমে যুদ্ধ করতে থাকেন কিন্তু অবস্থা বেগতিক দেখে মুঘল সৈন্যরা পালিয়ে যেতে থাকে। 

অবশেষে মুঘল বাহিনী সংঘবদ্ধ হন এবং দাউদ খানকে পরাজিত করতে সক্ষম হন। পরে দাউদ খান চুক্তি স্বাক্ষর করে মুঘলদের আধিপত্য মেনে নেয়।

১৫৭৫ সালের ২৩ অক্টোবর মুঘল সেনাপতি মুনিম খান মৃত্যুবরণ করলে দাউদ খান কররানী চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন।

অতঃপর সম্রাট আকবর হুসাইন কুলিকে খানজাহান আলী উপাধি দিয়ে বাংলার সুবাদার নিযুক্ত করে পাঠান। কিন্তু খান জাহান আলী এখানে এসে চরম বিশৃঙ্খল অবস্থা দেখেন। 

ফলে অনেক মুঘল সৈন্য বাংলা হতে পলায়ন শুরু করেন। খান জাহান অতিকষ্টে মুঘল বাহিনীকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে নিতে সক্ষম হন। 

অতঃপর তিনি সহজেই তেলিয়াগড় অধিকার করেন। দাউদ খান রাজমহলে আশ্রয় নেয় এবং সেখান হতে উভয় বাহিনী প্রায় চার মাস ধরে সামনা-সামনি অপেক্ষা করতে থাকে। 

অতঃপর আকবর আরো কিছু সৈন্য প্রেরণ করেন। ফলে খানজাহান দাউদকে আক্রমণ করেন। দাউদ খান বন্দি হন এবং তাকে হত্যা করা হয়। এভাবেই দাউদ খান কররানীর পতনের মধ্য দিয়ে বাংলা মুঘলদের দখলে চলে যায়।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, বাংলার স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ হওয়ার একটি যুদ্ধ হলো ঢুকোৱাই যুদ্ধ। এ যুদ্ধে দাউদ খান কররানীর পরাজয়ের মধ্য দিয়ে বাংলা মুঘলদের অধিভুক্ত হয়। তাই এ যুদ্ধের তাৎপর্য ইতিহাসে ব্যাপক। 

তবে উত্তর-পশ্চিম বাংলা মুঘলদের দখলে আসলেও পূর্ব-দক্ষিণ বাংলায় অতি সহজেই মুঘলগণ আধিপত্য বিস্তার করতে পারে নি। এর প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল বারো ভূঁইয়ারা। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ