ব্রিটেনের কমন্সভা ও গর্ভ সভার সাংবিধানিক পার্থক্য গুলো আলোচনা কর

ব্রিটেনের কমন্সভা ও গর্ভ সভার সাংবিধানিক পার্থক্য গুলো আলোচনা কর
ব্রিটেনের কমন্সভা ও গর্ভ সভার সাংবিধানিক পার্থক্য গুলো আলোচনা কর

ব্রিটেনের কমন্সভা ও গর্ভ সভার সাংবিধানিক পার্থক্য গুলো আলোচনা কর

ভূমিকা ; দ্বি-কক্ষবিশিষ্ট ব্রিটিশ পার্লামেন্টের উচ্চ কক্ষের নাম লর্ডসভা ও নিম্নকক্ষের নাম কমলসভা। গণতান্ত্রিক বিকাশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রক্ষা করে উভয় কক্ষের সাংবিধানিক সম্পর্ক পরিবর্তিত হচ্ছে।

বর্তমানে ব্রিটিশ রাজনৈতিক ব্যবস্থার ক্ষমতা ও মর্যাদাগত বিচারে কমন্সসতাই উচ্চতর স্থানের অধিকারী। আর লর্ডসভার অস্তিত্ব গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে।

ব্রিটিশ পর্ভসতা ও কমললতার সাংবিধানিক পার্থক্য বা বৈসাদৃশ্য : ব্রিটিশ লর্ডসভা ও কমলসতার সাংবিধানিক পার্থক্য বা বৈসাদৃশ্য নিম্নরূপ ।

১. গঠনের দিক থেকে : কমন্সসভার সদস্যগণ ভোটাধিকারের ভিত্তিতে গোপন নির্বাচন পদ্ধতির মাধ্যমে ব্রিটিশ প্রজাদের দ্বারা প্রত্যক্ষভাবে নির্বাচিত হয়। অন্যদিকে, লর্ডসতার সদস্যগণ উত্তরাধিকার সূত্রে বা মনোনয়নের ভিত্তিতে নির্বাচিত হন।

২. কার্যকলাপের দিক থেকে পার্থক্য : লর্ডসভা একটি স্থায়ী কক্ষ বলে এর সদস্যগণ আজীবন লর্ডসভার সদস্যপদে বর্তমান থাকেন। লর্ডসভাকে কখনো ভাঙ্গা যায় না। 

অপরপক্ষে, কমন্সসভার সদস্যগণ ৫ বছরের জন্য নির্বাচিত হয় এবং নির্দিষ্ট মেয়ান শেষ হওয়ার পূর্বে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে রাজা বা রানি কমন্সসতা ভেঙে দিয়ে নতুন সাধারণ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে পারেন।

৩. সরকার গঠনের ক্ষেত্রে : ব্রিটেনের শাসনব্যবস্থা সংসদীয় বা মন্ত্রিসভা শাসিত। আর মন্ত্রিসভা গঠনে কমন্সসভার ভূমিকাই মুখ্য। লর্ডসভার এক্ষেত্রে কোনো ভূমিকা নেই। 

কারণ সাধারণ নির্বাচনের পর যে দল কয়ন্সসভার সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে সে দলই মন্ত্রিসভা গঠন করে। অন্যদিকে, মন্ত্রিসভা গঠনে লর্ডসভার কোনো দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকে বা না থাকার কিছু আসে যায় না।

৪. দায়িত্বশীলতা : মন্ত্রিপরিষদকে যৌথভাবে কমন্সসতার নিকট দায়িত্বশীল থাকতে হয় বলে সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা আপন করলে মন্ত্রিসভা ক্ষমতাচ্যুত হয়। 

কিন্তু লর্ডসভার নিকট তাদের কোনো দায়-দায়িত্ব থাকে না বলে লর্ডসভা কোনো বিষয়ে সরকার পক্ষের পরাজয় হলেও মন্ত্রিসভাকে পদত্যাগ করতে হয় না।

৫. বিচার সংক্রান্ত ক্ষেত্রে : বিচার সংক্রান্ত কোনো ক্ষমতা কমললতার নেই। কারণ দেশের সর্বোচ্চ আদালত হিসেবে লর্ডসভা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কমলসতা সেই ক্ষমতা ও মর্যাদার অধিকারী নয়।

৬. আলোচনা ও বিতর্ক : কমন্সসভা হলো ব্রিটেনের বৃহত্তর ও প্রভাবশালী বিতর্ক মঞ্চ। কারণ এখানে পার্লামেন্ট, প্রদত্ত রাজকীয় ভাষণ, রাজা বা রানি কর্তৃক প্রেরিত, রানি প্রভৃতি বিষয়ে আলোচনা ও বিতর্ক হয়ে থাকে । এদিক থেকে লর্ডসভার ভূমিকা গুরুত্বহীন ।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, ব্রিটিশ পার্লামেন্টের দুইটি কক্ষের মধ্যে ক্ষমতা ও মর্যাদার দিক থেকে কমন্সসভা শ্রেষ্ঠত্বের দাবিদার। তবে বর্তমানে লর্ডসভার সংস্কার সাধনে নানা প্রস্তাব উত্থাপিত হয়েছে।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ