ব্রিটিশ সংবিধানের ক্রমবিকাশ আলোচনা কর

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো ব্রিটিশ সংবিধানের ক্রমবিকাশ আলোচনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের ব্রিটিশ সংবিধানের ক্রমবিকাশ আলোচনা কর। আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।

ব্রিটিশ সংবিধানের ক্রমবিকাশ আলোচনা কর
ব্রিটিশ সংবিধানের ক্রমবিকাশ আলোচনা কর

ব্রিটিশ সংবিধানের ক্রমবিকাশ আলোচনা কর

  • অথবা, ব্রিটিশ সংবিধানের উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশের বিস্তারিত আলোচনা কর।
  • অথবা, "ব্রিটিশ সংবিধান বহু শতকের বিবর্তনের গড়ে ওঠেছে।”- উক্তিটি পরীক্ষা কর।

ভূমিকা : প্রত্যেক রাষ্ট্রেই একটি শাসনতন্ত্র বা বিধান থাকে। সংবিধান হলো রাষ্ট্রের শাসনকার্য পরিচালনা , যা দলিলে লিপিবদ্ধ থাকে। আধুনিক বিশ্বের প্রাচীনতম সংবিধান হচ্ছে ব্রিটিশ সংবিধান। 

যা "The mother of al constitutions" নামে পরিচিত এ সংবিধান পৃথিবীর অন্যান্য সমস্ত দেশের সংবিধান হতে স্বতন্ত্রভাবে গড়ে উঠেছে। 

ব্রিটেনের রাজনৈতিক ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যেকোনো নির্দিষ্ট গণপরিষদ কর্তৃক বা কোনো বিপ্লবী পরিষ কর্তৃক বা কোনো রাজাদেশ বলে ব্রিটিশ সংবিধান সৃষ্টি লাভ করেনি; বরং এটি এক দীর্ঘ, ধীর, অব্যাহত ও প্রধানত শান্তিপূর্ণ ক্রমবিবর্তনেরই ফল। 

এ বিবর্তন প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই ব্রিটেন সামন্তবাদ, নিরঙ্কুশ রাজতন্ত্র, অভিজাততন্ত্র ও গোষ্ঠীতন্ত্রের ধারা বেয়ে গণতন্ত্র উত্তীর্ণ হয়েছে। ব্রিটিশ সংবিধানের উৎপত্তি ও মেৰিকাশ ইতিহাসবহুল।

ব্রিটিশ সংবিধানের বিবর্তনের ইতিহাস: ব্রিটিশ সংবিধান একটি ঐতিহাসিক সংবিধান। এই সংবিধানের বিবর্তনের ইতিহাস অত্যন্ত ঘটনাবহুল। ব্রিটিশ সংবিধানের ক্রমবিকাশকে চারটি যুগে ভাগ করে আলোচনা করা যায়। যথা :

(ক) অ্যাংলো-স্যাক্সন যুগ

(খ) নর্মান যুগ:

(গ) টিউডর যুগ ও

(ঘ) স্টুয়ার্ট যুগ।

নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো :

(ক) অ্যাংলো-স্যাক্সসন যুগ : ব্রিটেনের রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানসমূহের সূত্রপাত ঘটেছে পঞ্চম শতাব্দীতে। পঞ্চম শতাব্দীর আগে ব্রিটিশ শাসনব্যবস্থা সম্পর্কে উল্লেখযোগ্য কিছু নেই। 

অ্যাংলো-স্যাক্সসন উপজাতীয় লোকেরা মূল ইউরোপীয় জুন থেকে পঞ্চম শতাব্দীতে ইংল্যান্ডে আসে। তারা সেন্টিক (Celtic) উপজাতীয়দের বিতাড়িত করে সেখানে বসতি স্থাপন করে। 

এই অ্যাংলো-স্যাক্সসন যুগেই ব্রিটেনের শাসনতান্ত্রিক ইতিহাসের দুটি মৌলিক সংস্থা 'রাজতন্ত্র' ও 'সংসদীয় ব্যবস্থার' ইরপাত ঘটে। অ্যাংলো-স্যাক্সসন রাজারা উত্তরাধিকার সূত্রেইরাজপদে আসীন হতেন।

 সেই সময় বিজ্ঞ ব্যক্তিদের নিয়ে উইটেনাগেমট (Witenagemot) নামে একটি পরিষদ গঠন করা হ্যা এবং এটা ইংল্যান্ডে রাজার উপদেষ্টা পরিষদ হিসেবে প্রশাসনিক আইন প্রণয়নগত ও বিচার বিভাগীয় কার্যাদিতে অংশগ্রহণ করেছিল। এ পরিষদ উইটান (Witan) বা বিষজন সভা (Council of wisemen) নামে পরিচিত ছিল। 

এটি প্রায় ১০০ জন বিশপ (Bishop), মোবা (Noble) ও উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত ছিল। পরবর্তীকালে সাংবিধানিক বিকাশের নিরিখে উইটানকে বর্তমান কেবিনেটের সুতিকাগার বলা যায়।

(খ) নর্মান যুগ : ১০৬৬ সালে নর্মাডীয় উইলিয়াম ইংল্যান্ড জয় করে নিজেকে ইংল্যান্ডের রাজা হিসেবে ঘোষণা করেন। এ - সময় থেকেই ব্রিটিশ শাসনতান্ত্রিক ক্রমবিকাশের দ্বিতীয় পর্যায়ের সূত্রপাত ঘটে। 

এ সময় নর্মান রাজাদের ক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং রাজার সাথে একটি সংগঠিত রাজনৈতিক রূপ হিসেবে সামন্তবাদ বিকশিত হতে থাকে। নর্মানদের শাসনামলে ‘উইটান' দুটি পৃথক সংস্থায় পরিণত হয়; যথা :

১. বৃহদের পরিষদ (Magnum Councilium) বা মহাপরিষদ (The Great council) ও

২. ক্ষুদ্রতম পরিষদ (Cunia Regis)। 

১. বৃহত্তর পরিষদ বা মহাপরিষদ : রাজপরিবারের প্রধান কর্মচারী, আর্চ বিশপ, বিশপ, আর্য, অ্যাবট এবং নাইটসের নিয়ে বৃহত্তর পরিষদ গঠিত হয়। এর অধিবেশন অধিকাংশ সময়ই ওয়েস্টমিনিস্টারে বসতো। 

বৃহত্তর পরিষদ মোটামুটিভাবে উইটানের কার্যাদি সম্পাদন করতো। এটি ছিল দেশের শীর্ষস্থানীয় আদালত এবং আইন প্রণয়ন, কর ধার্জ প্রভৃতি যন্ত্রণাসভায় পর্যবসিত হয়।

২. ক্ষুদ্রতম পরিষদ : বৃহত্তর পরিষদের অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে দৈনন্দিন কার্যে রাজাকে সহায়তা করার জন্য ক্ষুদ্রতর পরিষদ নামে আরেকটি পরিষদ ছিল। কয়েকজন প্রধান রাজ কর্মচারীর ও ব্যারনদের নিয়ে ক্ষুদ্রতর পরিষদ গঠিত হয়। 

কিন্তু এ পরিষদ দীর্ঘস্থায়ী না হওয়ায় দ্বিতীয় হেনরীর রাজত্বকালে এটি ভেঙে দেওয়া হয় এবং এর পরিবর্তে প্রিভি কাউন্সিল (Privy Council) নামে ক্ষুদ্র অথচ কার্যকরী সংস্থা এবং উচ্চতর আদালতের উদ্ভব হয়। সপ্তদশ ও অষ্টাদশ শতাব্দীতে প্রিভি কাউন্সিলের মধ্যে থেকে কেবিনেট (Cabinet) আত্মপ্রকাশ করে।

৩. ম্যাগনাকার্টা বা মহাসনদের উদ্ভব : ১২১৩ সালে রাজা জন (John) এর আদেশে প্রত্যেক কাউন্টি থেকে ৪ জন করে নাইট করে বৃহত্তর পরিষদে প্রেরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার সাথে সাথে প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থার সূত্রপাত হয়। 

তারপর ১২১৫ সালের ১৫ জুন রুনীমিত প্রান্তরে রাজা জন ও ব্যারনদের মধ্যে ঐতিহাসিক ম্যাগনাকার্টা (Magnacarta) বা মহাসনদ (TheGreat charter) সম্পাদিত হয়। 

এর মাধ্যমে সর্বপ্রথম রাজা কর্তৃত্বে হস্তক্ষেপ করা হয়। যদিও প্রচার করা হয় যে, ম্যাগনাকার্টা জনগণের অধিকারের মহাসনদ, কিন্তু এ সমন মূলত ছিল ভূম্যধিকার ও পুরোহিতদের স্বার্থরক্ষার দলিল। তা সত্ত্বেও ম্যাগনাকার্টা ব্রিটেনের সংবিধানের অগ্রগতিতে একটি বৃহৎ পদক্ষেপ।

৪. পার্লামেন্টের উদ্ভব : ম্যাগনাকার্টা সম্পাদনের প্রায় ৫০ বছর পর তৃতীয় হেনরির রাজত্বকালে (১২৫৪ সাল) কর ধার্য বিষয়ে রাজার সাথে ভূম্যধিকারীগণের বিবাদ দেখা দেয়। 

এ আন্দোলনে নেতৃত্ব নেন সাইমন প্য মন্ট ফোর্ট (Simon de Mont fort)। ১২৬৫ সালে সাইমন এক অধিবেশন আহ্বান করেন। 

এ অধিবেশনে ব্যারন, যাজক ও নাইটদের ছাড়াও প্রত্যেক ব্যুরো (Borough) থেকে ২ জন করে 'বার্গেস' নির্বাচন করা হয়। তৃতীয় হেনরির আমলে বৃহত্তর পরিষদ পার্লামেন্ট হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।

৫. লর্ডসভা ও কমলসতার উদ্ভব : প্রথম এডওয়ার্ড কর্তৃক আয়ুক্ত পার্লামেন্টের অধিবেশনের সদস্যগণ অভিজাত সম্প্রদায় যাত্রাক সম্প্রদায় ও সাধারণ মানুষ এ তিন স্বার্থগোষ্ঠীতে বিভক ছিলেন। তাদের অধিবেশন পৃথক পৃথকভাবে আনুষ্ঠিত হয় এবং নিজ নিজ শ্রেণি স্বার্থ অনুযায়ী তারা স্বতন্ত্রভাবে ভোট দিত। 

কালক্রমে অভিজাত সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিগণ নিজেদের স্বার্থে জোটবদ্ধ হওয়ায় এদের কক্ষটি লর্ডসভা (House of Lords) এবং অন্যান্যদের কক্ষটি কমপসভা (House of commons) নামে পরিচিত লাভ করে।

৬. গোলাপের যুদ্ধ : পঞ্চদশ শতকের একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হলো গোলাপের যুদ্ধ (War of Roses)। ইয়র্ক ও ল্যাঙ্কাস্টার নামক দুটি সামন্ত বংশের বিরোধকে কেন্দ্র করে এ যুদ্ধ অনুষ্ঠিত হয়। 

এ. দুটি বংশের প্রতীক হলো যথাক্রমে সানা ও লাল গোলাপ। বুদ্ধে সাবেকী সব সামন্ত বংশ ধ্বংস হয়। ১৪৪৫-৮৫ সাল পর্যন্ত এ যুদ্ধ চলে। যুদ্ধের ফলে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার সৃষ্টি হয়েছিল। এ পরিস্থিতিতে টিউডর রাজবংশের স্বৈরশাসনের সূত্রপাত ঘটে।

(গ) টিউডর যুগ : রাজা হেনরি টিউডর বংশের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে পরিচিত। কঠোরহস্তে অরাজকতা মোকাবিলা করে টিউডর রাজারা শাস্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করেন। 

এ যুগে পার্লামেন্ট বিশেষভাবে রাজা বা রানির অনুগত হয়ে পড়ে। রাজা অষ্টম হেনরি পার্লামেন্টের অনুমোদনের মাধ্যমে ১৫৩৪ সালে নিজেকে চার্চ অব ইংল্যান্ডের প্রধানের পদে প্রতিষ্ঠিত করেন। 

রানি এলিজাবেথের আমলে রাজতন্ত্র এবং পার্লামেন্টের সম্পর্কের উন্নতি ঘটে। টিউডরদের আমলেই পার্লামেন্টের উভর কক্ষ নিজেদের প্রাত্যহিক কাজের বিবরণী লিপিবদ্ধ করতে আরম্ভ করে ।

(ঘ) স্টুয়ার্ট যুগ : ব্রিটেনের সাংবিধানিক ক্রমবিকাশের ধারায় স্টুয়ার্ট যুগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সপ্তদশ শতাব্দীতে স্টুয়ার্ট রাজারা পার্লামেন্টের ক্ষমতাকে খর্ব করে তাদের অধিকার ও কর্তৃত্বকে কায়েম করার চেষ্টা করেন। 

তারা তাদের ক্ষমতায় স্বৈরাচারী মনোভাব প্রয়োগ করেন। এমনকি নিজেদেরকে ঈশ্বরের প্রতিনিধি হিসেবে দাবি করেন। 

ইংল্যান্ডের অর্থনীতিতে পরিবর্তন আসায় নতুন বণিক শ্রেণি অর্থনৈতিক স্বার্থে সমগ্র দেশে নিজেদের প্রাধান প্রতিষ্ঠায় ব্রতী হলে স্টুয়ার্ট রাজাদের সাথে তাদের সংঘর্ষ বাঁধে। 

১৬২৮ সালের প্রথম চার্লসের রাজত্বকালে লর্ডসভা ও কমলসভা একযোগে স্টুয়ার্ট রাজাদের স্বৈরাচারী শাসনের নিন্দা করে চার্লসের নিকট অধিকারের আবেদন (Petition of Rights) পেশ করে। 

এআবেদনে উল্লেখ করা হয় যে, পার্লামেন্টের অনুমোদন ছাড়া কোনো কর ধার্য করবেন না বা নজরানা দাবি করবেন না। 

কিন্তু প্রথম চার্লস এ দাবি বেশিদিন না মানায় ১৬৪৯ সালে গৃহযুদ্ধের সূত্রপাত হয় এবং এর পরিণতি হিসেবে প্রথম চার্লস মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হয়।

১. গৌরবময় বিপ্লব : স্টুয়ার্ট বংশের দ্বিতীয় চার্লস পার্লামেন্টের প্রাধান্য স্বীকার করে নিয়ে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হলেও পরবর্তীতে পার্লামেন্টের সাথে আবার স্টুয়ার্ট রাজাদের বিরোধ শুরু হয়। 

তবে ১৬৮৮ সালে যুদ্ধ ছাড়া রক্তপাতহীন পদ্ধতির মাধ্যমে এ বিরোধের অবসান ঘটে বলে একে গৌরবময় বিপ্লব (The Glorious Revolution) বা রক্তপাতহীন বিপ্লব নামে অভিহিত করেন। 

এ স্টুয়ার্ট রাজা দ্বিতীয় জেমস দেশ থেকে বিতাড়িত হন এর ফলে | স্টুয়ার্ট রাজবংশের রাজত্বের অবসান ঘটে। ১৬৮৯ সালে উইলিয়ান মেরী ইংল্যান্ডের সিংহাসনে আরোহণ করেন এবং বিনা রক্তপাতে ঐতিহাসিক 'গৌরবময় বিপ্লব' এর সমাপ্তি ঘটে।

২. অধিকারের বিল : ১৬৮৯ সালে অধিকারের বিল (Bill of Rights) ব্রিটেনে সংবিধান বিবর্তনের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থা। রাজা ও পার্লামেন্টের মধ্যে যেন আর কোনো দ্বন্দ্ব দেখা না দেয়, সেজন্য পার্লামেন্টে অধিকারের বিল বিধিবদ্ধ করেন। 

এ বিল গৃহীত হওয়ার ফলে আইন সংক্রান্ত বিষয়ে পার্লামেন্টের প্রাধান্য স্বীকৃত হয় এবং রাজার ক্ষমতার অবসান ঘটে। এর ফলে ইংল্যান্ডে গণসার্বভৌমত্ব ও আইনের শাসনের নীতি লিখিতভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়।

৩. কেবিনেট প্রথার উদ্ভব : দ্বিতীয় চার্লসের সময় বর্তমান মন্ত্রিসভা বা কেবিনেট প্রথার সূত্রপাত হলেও প্রথম জর্জ ও দ্বিতীয় জর্জের আমলে কেবিনেট প্রখার কয়েকটি মূলনীতি প্রবর্তিত হয় এবং বলা হয় যে, স্যার রবার্ট ওয়ালপোলই ইংল্যান্ডের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। 

১৭৪২ সালের যখন কম সভায় তার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব উঠে তখন তিনি পদত্যাগ করেন। যে পার্লামেন্টের সমর্থনের উপর নির্ভরশীল কেবিনেট শাসনব্যবস্থার এ মূলনীতি প্রবর্তিত হয়।

৪. রাজনৈতিক দল, প্রত্যক্ষ নির্বাচন প্রভৃতির উদ্ভব : রাজা দ্বিতীয় চার্লস এর আমলে ইংল্যান্ডের রাজনৈতিক দলব্যবস্থার উদ্ভব হয়। সেই সময় টোরি (Tory) ও হুইগ (Whis) নামে দুটি রাজনৈতিক দলের উদ্ভব হয়। এরপর ভোটাধিকারের প্রসার, প্রত্যক্ষ নির্বাচন ব্যবস্থা, প্রবর্তিত হয়। এর সাথে সাথে ইংল্যান্ডের পার্লামেন্টারি শাসনের বুনিয়াদ মজবুত হয়।

৫. শস্য আইন ও সংস্কার আইনের প্রবর্তন : ১৮১৫ সালে [ভূস্বামীদের স্বার্থে শস্য আইন (Conn law) প্রণীত হয়। এ আইনের লক্ষ্য ছিল শস্যের আমদানি বন্ধ করে দেশীয় ভূস্বামীদের কৃষিজাত মুনাফা সংরক্ষণ করা।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, ব্রিটিশ সংবিধান বিবর্তনশীল, বৈপ্লবিক নয়। ব্রিটিশ সংবিধান ও তার রাজনৈতিক জীবনের পরিচয় তাদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্রমবিকাশের সাথে সাথে গঠিত ও বিবর্তিত হয়েছে। 

এটি কখনও পূর্ণাঙ্গ রূপ লাভ করতে পারেনি। এটা নিরবচ্ছিন্ন পরিবর্তনের স্রোতে এগিয়ে চলেছে। তাই একে অনেক সময় নদীর গতির সাথে তুলনা করা হয়। জি. সি. (G. C. Moodie) বলেন, "The British Constitution is a continuously changing blend of the ancient and modem."

আর্টিকেলের শেষকথাঃ ব্রিটিশ সংবিধানের ক্রমবিকাশ আলোচনা কর

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম ব্রিটিশ সংবিধানের ক্রমবিকাশ আলোচনা কর। যদি তোমাদের আজকের ব্রিটিশ সংবিধানের ক্রমবিকাশ আলোচনা কর পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ