দিল্লি সালতানাত পতনে ফিরোজ শাহ তুঘলক কতটুকু দায়ী ছিলেন

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো দিল্লি সালতানাত পতনে ফিরোজ শাহ তুঘলক কতটুকু দায়ী ছিলেন জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের দিল্লি সালতানাত পতনে ফিরোজ শাহ তুঘলক কতটুকু দায়ী ছিলেন । আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।

দিল্লি সালতানাত পতনে ফিরোজ শাহ তুঘলক কতটুকু দায়ী ছিলেন
দিল্লি সালতানাত পতনে ফিরোজ শাহ তুঘলক কতটুকু দায়ী ছিলেন

দিল্লি সালতানাত পতনে ফিরোজ শাহ তুঘলক কতটুকু দায়ী ছিলেন

  • অথবা, তুঘলক তথা দিল্লি সালতানাত পতনের জন্য ফিরোজ শাহ তুঘলক কতটুকু দায়ী? 

উত্তর : ভূমিকা : দিল্লি সালতানাত যুগের অন্যতম শাসক ফিরোজ শাহ তুঘলক যেমন কৃতিত্বপূর্ণ কর্মসম্পাদন করেছেন তেমনি দিল্লি সালতানাত পতনের ক্ষেত্রেও অনেকাংশে দায়ী ছিলেন বলে ঐতিহাসিকরা মনে করেন। 

দিল্লি সালতানাতের পতনে ফিরোজ শাহ তুঘলক কতটুকু দায়ী ছিল তা আলোচনা সাপেক্ষ। কারণ একতরফাভাবে তাকে দায়ী করা যায় না।

দিল্লি সালতানাত পতনের জন্য ফিরোজ শাহ তুঘলক দায়ী কিনা : ফিরোজ শাহ তুঘলক একজন উদার ও দয়ালু নরপতি ছিলেন। তিনি দয়াপরাশ হয়ে প্রজাদের মঙ্গলের অন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। 

আর তার এ দয়াদাক্ষিণাতাকে অনেকেই দুর্বলতা মনে করেন। নিম্নে দিল্লি সালতানাতের পতনের জন্য ফিরোজ শাহ তুঘলক দায়ী কিনা এ সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।

১. উদার এবং কোমল হৃদয় : ফিরোজ শাহ তুঘলক ছিলেন। উদার এবং কোমল হৃদয়ের অধিকারী। তিনি বিদ্রোহীদের প্রতি কঠোর নীতি গ্রহণ করেননি। 

পূর্ববর্তী সুলতানদের শাসনকালের বিপরীত হিসেবে ফিরোজ শাহ তুঘলকের রাজত্বকাল কোমলতা ও বহু জনহিতকর কার্য উন্নয়নমূলক হলে দিল্লি সালতানাত এর ভিত্তিকে দুর্বল করেছিল।

২. জায়গীর প্রথার পুনঃপ্রবর্তন : জায়গীর প্রথা বা সামন্ত প্রথার পুনঃপ্রবর্তন করে ফিরোজ শাহ তুলক চরম ভুল করেছিলেন। তার কারণে অভিজাতবর্গ নিজ নিজ এলাকায় অনেক প্রভাবশালী হয়ে উঠে এবং সালতানাতের জন্য বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

৩. সেনাবাহিনীতে স্বজনপ্রীতি : ফিরোজ শাহ তুঘলক সেনাবাহিনীতে নিয়োগের ক্ষেত্রে স্বজনপ্রীতি করায় বিদ্রোহ- বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। যার ফলে সাম্রাজ্যের অনেক ক্ষতি সাধিত হয়। যা শাসনব্যবস্থাকে দুর্বল করে ফেলেছিল।

৪. ক্রীতদাস প্রথার প্রচলন : ফিরোজ শাহ তুঘলক ১,৮০,০০০ জন ক্রীতদাস পালনের ব্যবস্থা করেন। এতে সরকারি রাজকোষ চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মূলত ক্রীতদাস প্রথার অবাধ প্রচলনের জন্য তুঘলক বংশের পতন ত্বরান্বিত করে।

৫. ধর্মীয় নীতি : ফিরোজ শাহ তুঘলক এর ধর্মীয় নীতি তুঘলক বংশের পতনের জন্য বহুলাংশে দায়ী।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, সুলতানি আমলের অন্যতম শাসক ফিরোজ শাহ তুঘলক ফহুলাংশে তুঘলক বংশের পতনের জন্য দায়ী। আবার তাকে এককভাবে দায়ী করা যায় না। 

কেননা একজন শাসকের যতটুকু উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের আলোচনা হয় তেমনি সমালোচনাও শুনতে হয়। ইতিহাসের নির্মম বাস্তবতায় তাকে তুঘলক বংশের পতনের জন্য দায়ী করে।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ দিল্লি সালতানাত পতনে ফিরোজ শাহ তুঘলক কতটুকু দায়ী ছিলেন

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম দিল্লি সালতানাত পতনে ফিরোজ শাহ তুঘলক কতটুকু দায়ী ছিলেন । যদি তোমাদের আজকের দিল্লি সালতানাত পতনে ফিরোজ শাহ তুঘলক কতটুকু দায়ী ছিলেন পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ