ফিরোজ শাহ তুঘলকের জনহিতকর কার্যাবলী আলোচনা করুন

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো ফিরোজ শাহ তুঘলকের জনহিতকর কার্যাবলী আলোচনা করুন জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের ফিরোজ শাহ তুঘলকের জনহিতকর কার্যাবলী আলোচনা করুন । আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।

ফিরোজ শাহ তুঘলকের জনহিতকর কার্যাবলী আলোচনা করুন
ফিরোজ শাহ তুঘলকের জনহিতকর কার্যাবলী আলোচনা করুন

ফিরোজ শাহ তুঘলকের জনহিতকর কার্যাবলী আলোচনা করুন

  • অথবা, ফিরোজ শাহ তুঘলক যেসব জনহিতকরণ কার্যাবলি হাতে নিয়েছিল সে সম্পর্কে লিখ।
  • অথবা, ফিরোজ শাহ তুঘলকের জনহিতকরণ কাজগুলো উল্লেখ কর।

উত্তর : ভূমিকা : জনসাধারণের মঙ্গল সাধন করে এবং শাসনব্যবস্থা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করে ফিরোজ শাহ তুঘলক ইতিহাসে আকর্ষণীয় চরিত্র এবং ব্যক্তিত্বের অধিকারী হয়ে আছেন। তিনি জনহিতকর কার্যাবলি পরিচালনা করে জনগণের প্রশংসা অর্জন করেন।

ফিরোজ শাহ তুঘলকের জনহিতকর কার্যাবলি : ফিরোজ শাহ তুঘলক একজন অত্যন্ত জনদরদী নরপতি ছিলেন। নিম্নে ফিরোজ শাহ তুঘলকের জনহিতকর কার্যাবলি আলোচনা করা হলো :

১. শহর নির্মাতা : ঐতিহাসিক হেগের মতে, রোমান সম্রাট অগাস্টাসের ন্যায় নির্মাতা হিসেবে সমধিক প্রসিদ্ধ সুলতান ফিরোজ শাহ ফিরোজাবাদ, ফতেহাবাদ, হিসার, জৌনপুর প্রভৃতি শহর নির্মাণ করেন। জনহিতকর কার্যাবলির জন্য তিনি ইতিহাসে সমধিক পরিচিত ছিলেন।

২. জনস্বাস্থ্যের উন্নয়ন : জনস্বাস্থ্যের জন্য ফিরোজ শাহ তুঘলক বিশেষ ব্যবস্থা করেন। দুঃস্থ, দরিদ্র, অনাথদের বিনামূল্যে চিকিৎসার জন্য দিল্লিতে 'দারুল শিফা' নামে একটি বিখ্যাত দাতব্য চিকিৎসালয় স্থাপন করেন। এ হাসপাতাল থেকে বিনামূল্যে চিকিৎসা ছাড়াও ওষুধপত্র সরবরাহ করা হতো ।

৩. স্থাপত্য নির্মাতা : ফিরোজ শাহ তুঘলক ৪টি মসজিদ, ৩০টি প্রাসাদ, ২০০টি সরাইখানা, ১০০টি কবরস্থান ও ১০০টি সেতু নির্মাণ করে ইতিহাসে প্রসিদ্ধ হয়ে আছেন।

৪. পূর্ত বিভাগ : উচ্চাভিলাষী মনোভাব বাস্তবায়ন করা ফিরোজ শাহ তুঘলকের চিন্তা-চেতনায় ছিল না। কিন্তু জনগণের মঙ্গল সাধন করাই তার জীবনের একমাত্র লক্ষ্য ছিল। 

দেওয়ান- ই-ওজারাত নামক পূর্ত বিভাগ স্থাপন করে তিনি স্থাপত্য শিল্পের পৃষ্ঠপোষকতা করেন। জামে মসজিদ ও মাদরাসা-ই-ফিরোজ শাহী ছাড়াও তিনি দিল্লিতে অনেক ইমরাত নির্মাণ ও পুনর্নির্মাণ করেন।

৫. মাতামহীসুলভ ব্যবস্থাপনা : প্রজাদের মঙ্গলের জন্য ফিরোজ শাহ কয়েকটি মাতামহীসুলভ ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। দরিদ্র প্রজাদের জন্য এবং যুবতী মেয়েদের বিবাহ দান, অনাথ ও বিধবাদের ভরণপোষণের জন্য তিনি দেওয়ানি-ই-খয়রাত বিভাগ স্থাপন করেন।

৬. যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন : ফিরোজ শাহ তুঘলক সাম্রাজ্যের শাসনব্যবস্থা পরিচালনা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করেন।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, ভারতের ইতিহাসে জনহিতকর কার্যাবলির জন্য ফিরোজ শাহ তুঘলক বিশেষ স্থান দখল করে আছেন। 

সুলতানি আমলের সর্বশ্রেষ্ঠ শাসকদের মধ্যে অন্যতম হলো ফিরোজ শাহ তুঘলক। তার কৃতিত্ব সর্বদায় শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা হয়।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ ফিরোজ শাহ তুঘলকের জনহিতকর কার্যাবলী আলোচনা করুন

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম ফিরোজ শাহ তুঘলকের জনহিতকর কার্যাবলী আলোচনা করুন। যদি তোমাদের আজকের ফিরোজ শাহ তুঘলকের জনহিতকর কার্যাবলী আলোচনা করুন পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ