গিয়াসউদ্দিন বলবনের কৃতিত্ব আলোচনা করো

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো গিয়াসউদ্দিন বলবনের কৃতিত্ব আলোচনা করো জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের গিয়াসউদ্দিন বলবনের কৃতিত্ব আলোচনা করো। আমাদের গুগল নিউজ ফলো করু...

গিয়াসউদ্দিন বলবনের কৃতিত্ব আলোচনা করো
গিয়াসউদ্দিন বলবনের কৃতিত্ব আলোচনা করো

গিয়াসউদ্দিন বলবনের কৃতিত্ব আলোচনা করো

  • অথবা, গিয়াসউদ্দিন বলবনের কৃতিত্ব কেমন ছিল। 
  • অথবা, গিয়াসউদ্দিন বলবনের কৃতিত্ব সম্পর্কে লিখ। 

উত্তর : ভূমিকা : ভারতীয় উপমহাদেশে মধ্যযুগের ইতিহাসে গিয়াসউদ্দিন বলবন নিঃসন্দেহে একটি বিশিষ্ট স্থান অধিকার করে আছেন। 

অরাজকতা ও বিশৃঙ্খল পরিবেশে শাসনক্ষমতা গ্রহণ করে তিনি রক্তপাত ও কঠোরনীতির দ্বারা সাম্রাজ্যের শান্তি-শৃঙ্খলা আনয়ন করেন এবং দেশকে বৈদেশিক আক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করেন। 

ড. মজুমদার বলেছেন, সুলতান হিসেবে বলবনের জীবন ছিল অভ্যন্তরীণ গোলযোগ এবং বৈদেশিক আক্রমণের বিরুদ্ধে একটি সংগ্রামের জীবন ।

→ গিয়াসউদ্দিন বলবনের কৃতিত্ব : দিল্লি সালতানাতের ইতিহাসে গিয়াসউদ্দিন বলবন একজন অত্যন্ত কৃতিত্বপূর্ণ নরপতি হিসেবে পরিচিত। নিম্নে জগৎ বিখ্যাত ও সুশাসক গিয়াসউদ্দিন বলবনের কৃতিত্ব তুলে ধরা হলো-

১. রাজ্যকোষ পুনর্গঠন : রাজ্যে শান্তিশৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা এবং বিশাল সৈন্যবাহিনীর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বলবন রাজকোষ পুনর্গঠিত করে দেশে আর্থিক সচ্ছলতা আনয়ন করেন ।

২. সামরিক সংস্কার : গিয়াসউদ্দিন বলবন একটি সুদক্ষ ও শক্তিশালী সৈন্যবাহিনী গঠন করে অভিজ্ঞ ও সুযোগ্য সেনাপতির ওপর এর দায়িত্বভার অর্পণ করেন। 

তিনি সৈন্য সংখ্যা বৃদ্ধি করে তাদেরকে আকর্ষণীয় সুযোগ সুবিধা প্রদান করেন এবং তাদের সামরিক স্পৃহা অটুট রাখার জন্য তিনি তাদের মধ্যে জায়গীর প্রথার স্থলে নিয়মিত বেতন দানের প্রচলন করেন।

৩. গুপ্তচর প্রথা : সাম্রাজ্যের গোপনীয় প্রতিবেদন সংগ্রহের জন্য গিয়াসউদ্দিন বলবন একটি শক্তিশালী গুপ্তচর বাহিনী গঠন করেন। তারা অভিজাত সম্প্রদায় এবং উচ্চপদস্ত কর্মকর্তাদের কার্যকলাপের গোপনীয় সংবাদ সুলতানের নিকট পেশ করত।

৪. দূরদর্শিতা : শাসন বিভাগের সংস্কার সাধন এবং মোঙ্গল আক্রমণ প্রতিহত করে সময়োচিত পদক্ষেপ গ্রহণ করে সীমান্ত প্রদেশ গঠন ও দুর্গ প্রতিষ্ঠা করে বলবন রাজনৈতিক দূরদর্শিতা ও বিচক্ষণতার পরিচয় দেন।

৫. ন্যায়পরায়ণতা : গিয়াসউদ্দিন বলবন স্বজনপ্রীতি ও পক্ষপাতিত্ব নীতির ঊর্ধ্বে থেকে ন্যায় ও নিষ্ঠার সাথে সকল কার্য সম্পাদন করতেন। তিনি গুপ্তচর বাহিনীর সাহায্যে সঠিক তথ্য সংগ্রহ করে বিচারকার্য সম্পাদন করতেন ।

৬. জায়গীয় প্রথা ধ্বংস ও রাজমর্যাদা পুনরুদ্ধার : অভিজাতদের ধ্বংস করার জন্য গিয়াসউদ্দিন বলবন জায়গীয় প্রথা ধ্বংস করে দেন। তাছাড়া তিনি পূর্ববর্তী সুলতানদের কর্তৃত্ব ও প্রতিপত্তি বহুলাংশে হ্রাস করে রাজমর্যাদাসম্পন্ন একটি রাজসভা গঠন করেন।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, সুলতান গিয়াসউদ্দিন বলবন একজন যোগ্যতাসম্পন্ন শাসক ছিলেন। সুদীর্ঘ ৪০ বছর অক্লান্ত পরিশ্রম করে দিল্লি সালতানাতের ভিত্তিকে সুদৃঢ় ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত করেন। বলবন মুসলিম বিশ্বের ইতিহাসে একটি বিশিষ্ট স্থান দখল করে আছেন ।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ গিয়াসউদ্দিন বলবনের কৃতিত্ব আলোচনা করো

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম গিয়াসউদ্দিন বলবনের কৃতিত্ব আলোচনা করো। যদি তোমাদের আজকের গিয়াসউদ্দিন বলবনের কৃতিত্ব আলোচনা করো পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ