ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণ নীতির সুবিধা কী কী

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণ নীতির সুবিধা কী কী জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণ নীতির সুবিধা কী কী । আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।

ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণ নীতির সুবিধা কী কী
ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণ নীতির সুবিধা কী কী

ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণ নীতির সুবিধা কী কী

  • অথবা, ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণ নীতির ইতিবাচক দিকগুলো কী কী?
  • অথবা, ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণ নীতির পাঁচটি সুবিধা উল্লেখ কর।
  • অথবা, ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণ নীতির গুণাবলির সংক্ষেপে লেখ।

উত্তর : ভূমিকা : ব্যক্তিস্বাধীনতা ও নাগরিক অধিকার রক্ষা এবং সরকারের স্বেচ্ছাচারিতা রোধ করার চিন্তা ভাবনা থেকে ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণ নীতির উদ্ভব। 

ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণ নীতি বলতে বুঝায় সরকারের ক্ষমতা ও কার্যাবলিকে আইন, শাসন ও বিচার এই তিনটি বিভাগের মধ্যে পৃথক করে দেওয়া। ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণ নীতির অনেক সুবিধা রয়েছে।

ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণ নীতির সুবিধাসমূহ : ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণ নীতি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই নীতির অনেক সুবিধা রয়েছে। নিয়ে সুবিধাসমূহ তুলে ধরা হলো :

১. স্বেচ্ছাচারিতা রোধ : ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণ নীতির বড় গুণ হলো সরকারের স্বেচ্ছাচারিতা রোধ করা। এই নীতি প্রয়োগের ফলে সরকারের তিনটি বিভাগই তার নিজস্ব কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকে। 

এ নীতি প্রয়োগের ফলে এক বিভাগ আরেক বিভাগের কাজে হস্তক্ষেপ করতে পারে না। ফলে সরকারের স্বেচ্ছাচারিতা রোধ করা সম্ভব হয়।

২. হস্তক্ষেপমুক্ত বিভাগ : ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণ নীতির মাধ্যমে সরকারের বিভাগগুলোতে হস্তক্ষেপ রোধ করা যায়। 

এ নীতি অনুসারে সরকারের প্রতিটি বিভাগ স্বাধীন ও একে অপরের হস্তক্ষেপ মুক্ত। প্রতিটি বিভাগ স্বাধীনভাবে নিজ নিজ মত ও পদ্ধতি অনুসারে নিজেদের কাজ করে।

৩. ব্যক্তিস্বাধীনতা রক্ষা : ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণ নীতির মাধ্যমে ব্যক্তিস্বাধীনতা সুরক্ষিত হয়। ব্যক্তি স্বাধীনতা রক্ষার জন্য সবচেয়ে বড় প্রয়োজন বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, আর ক্ষমতার স্বতন্ত্রীকরণের | মাধ্যমেই বিচার বিভাগের স্বাধীনতা রক্ষা করা যায়।

৪. সরকারের দক্ষতা বৃদ্ধি: সরকারের দক্ষতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে | ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণ নীতির যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। কেননা ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণ নীতি প্রয়োগ করলে সরকারের প্রতিটি বিভাগই তার নিজ নিজ দায়িত্বে কাজ করতে সক্ষম হয়। 

ফলে প্রত্যেক বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কাজের দক্ষতা বৃদ্ধি পায় এবং যেকোনো কাজ দ্রুত সম্পন্ন করা সম্ভব হয়।

৫. স্বেচ্ছাচার রোধ: সরকারের সকল ক্ষমতা কোনো এক ব্যক্তির হাতে ন্যস্ত থাকলে সে ব্যক্তি স্বৈরাচারী শাসকে পরিণত হতে পারে। 

কিন্তু ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণ নীতি অনুযায়ী সরকারের বিভিন্ন বিভাগের ক্ষমতা বিভিন্ন ব্যক্তির উপর ন্যস্ত থাকে বলে কেউ স্বৈরাচারী হতে পারে না

৬. সরকারি কাজে গতি বৃদ্ধি : ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণের ফলে সরকারের আইন, শাসন ও বিচার বিভাগের ক্ষমতা স্ব-স্ব বিভাগের উপর ন্যস্ত হয়। এতে বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে কাজের গতিশীলতা বৃদ্ধি করে।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণ নীতি সরকারের প্রত্যেকটি বিভাগের জন্য অত্যন্ত জরুরি। ব্যক্তি স্বাধীনতা রক্ষার জন্য প্রয়োজন ক্ষমতার স্বতন্ত্রীকরণ। ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণ নীতির অনেক সুবিধা রয়েছে।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণ নীতির সুবিধা কী কী

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণ নীতির সুবিধা কী কী। যদি তোমাদের আজকের ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণ নীতির সুবিধা কী কী পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ