কুতুব মিনার কি | কুতুব মিনার সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত টিকা
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো কুতুব মিনার কি | কুতুব মিনার সম্পর্কে কী জান জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের কুতুব মিনার কি | কুতুব মিনার সম্পর্কে কী জান । আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।।
কুতুব মিনার কি | কুতুব মিনার সম্পর্কে কী জান |
কুতুব মিনার কি | কুতুব মিনার সম্পর্কে কী জান
- অথবা, কুতুবমিনারের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও ।
- অথবা, কুতুবমিনার সম্পর্কে টীকা লিখ ।
- অথবা, 'কুতুব মিনারের স্থাপত্যিক বৈশিষ্ট্য আলোচনা কর।
উত্তর : ভূমিকা : ভারতবর্ষের স্থাপত্য শিল্পের ইতিহাসে কুতুবমিনার মুসলিম স্থাপত্যের একটি ঐতিহাসিক কীর্তি। কুতুবউদ্দিন আইবেকের স্থাপত্যশিল্পের প্রতি গভীর অনুরাগের অন্যতম নিদর্শন ছিল এ কুতুবমিনার।
এটি দিল্লি হতে বার মাইল দক্ষিণে অবস্থিত। এন্ধকালে এটিই সর্বোচ্চ মিনার ছিল। কালের স্রোতধারায় এর গৌরব মলিন হয়ে পড়লেও তা আজো কালের সাক্ষী হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে।
কুতুবমিনার : পৃথিবীর স্থাপত্য ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ নাম কুতুবমিনার। এই বিশিষ্ট স্থাপত্য সম্পর্কে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো :
১. নামকরণ : সুলতান কুতুবউদ্দিন আইবেকের অপূর্ব স্থাপত্যকীর্তি। কুতুবমিনারটি বিশিষ্ট সাধক কুতুবউদ্দিন আইবেক কুকির নামানুসারে তিনি এ মিনারটির নামকরণ করেন কুতুবমিনার।
২. নির্মাণের কারণ : সুলতান কুতুবউদ্দিন আইবেকের এ অপূর্ব স্থাপত্য নির্মাণের মূলে দুইটি কারণ বিদ্যমান ছিল। যথা :
(ক) কুতুবউদ্দিন আইবেকের রাজ্যবিস্তারে স্মারক ও ইসলামের বিজয় গাঁথা বিশ্বদরবারে উপস্থাপন ও
(খ) আযানের জন্য ব্যবহার করা ।
৩. নির্মাণ কৌশল : দূর হতে মিনারটি অবলোকন করলে একে বৃহদাকার কারখানার চিমটি অথবা বাতিঘরের মতো মনে হয় এবং কাছ থেকে লোহিত শিলা ও মর্মর পাথরে তৈরি ঊর্ধ্বাকাশে ওঠে যাওয়া বাঁশির আকৃতির ন্যায় প্রতীয়মান হয়।
এ মিনারটি পাঁচটি স্তরে বিভক্ত ছিল। প্রথম অবস্থায় এর উচ্চতা ছিল ৩০০ ফুট। তবে বর্তমানে ২৩৮ ফুট। সর্বোচ্চ স্তরে যাওয়ার জন্য ইমারতটির ভিতরে ৩৭৯টি ধাপবিশিষ্ট একটি পুরনো সিঁড়ি আছে।
মিনারটি ৪৭ ফুট ব্যাসের বুনিয়াদের উপর নির্মিত। এর বারান্দা সমকোণবিশিষ্ট পাথরের দ্বারা নির্মিত এবং মিনারটির ঘোরানো সিঁড়ির গায়ে পবিত্র কুরআন শরীফের আয়াত খোদাই করা হয়েছে।
এতে চিরাচরিত ভারতীয় বৈশিষ্ট্যের পরিবর্তে মুসলিম স্থাপত্যের স্বতন্ত্র ছাপ ফুটে উঠেছে।
৪. নির্মাণশৈলী : ঐতিহাসিক রমেশচন্দ্র মজুমদার বলেন, “এ | মিনার কোনো বিদেশী শিল্পী দ্বারা নির্মাণ করা হয়নি, বরং গজনির এক মিনারের অনুকরণে দেশীয় নির্মাণ শিল্পীরা এটি তৈরি করেন।”
৫. অর্থনৈতিক ভূমিকা : তৎকালীন সময়ের এবং আধুনিককালেও এটি একটি দর্শনীয় বস্তু। প্রতিবছর অগণিত পর্যটক এখানে সমবেত হয় । এতে দেশের প্রচুর অর্থনৈতিক উন্নতি সাধিত হয়ে আসছে।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, বাস্তবিকই কুতুবমিনারটি ভারতে মুসলিম স্থাপত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নিদর্শন। তেরো শতকে এত উঁচু মিনার নির্মাণ কিভাবে সম্ভব হলো তা ভাবলে বিস্ময়ে অভিভূত হতে হয়।
তাই ঐতিহাসিক ফারগুসান কুতুবমিনারকে 'অনিন্দ্যসুন্দর ইমারত' বলে উল্লেখ করেন। স্যার জন মার্শাল কুতুবমিনারের নির্মাণ কৌশলের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ কুতুব মিনার কি | কুতুব মিনার সম্পর্কে কী জান
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম কুতুব মিনার কি | কুতুব মিনার সম্পর্কে কী জান। যদি তোমাদের আজকের কুতুব মিনার কি | কুতুব মিনার সম্পর্কে কী জান পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো।