সুলতান কুতুবউদ্দিন আইবেকের কৃতিত্ব সম্পর্কে বর্ণনা দাও

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো সুলতান কুতুবউদ্দিন আইবেকের কৃতিত্ব সম্পর্কে বর্ণনা দাও জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের সুলতান কুতুবউদ্দিন আইবেকের কৃতিত্ব সম্পর্কে বর্ণনা দাও । আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।।

সুলতান কুতুবউদ্দিন আইবেকের কৃতিত্ব সম্পর্কে বর্ণনা দাও
সুলতান কুতুবউদ্দিন আইবেকের কৃতিত্ব সম্পর্কে বর্ণনা দাও

সুলতান কুতুবউদ্দিন আইবেকের কৃতিত্ব সম্পর্কে বর্ণনা দাও

  • অথবা, কুতুবউদ্দিন আইবেকের কৃতিত্ব সম্পর্কে কি জান?
  • অথবা, কুতুবউদ্দিন আইবেকের কৃতিত্ব সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা কর।
  • অথবা, কুতুবউদ্দিন আইবেকের কৃতিত্ব কেমন ছিল? 

উত্তর : ভূমিকা : দিল্লি সালতানাতের প্রথম সুলতান ছিলেন কুতুবউদ্দিন আইবেক। তিনিই প্রথম ভারতে মুসলিম শাসনের ভিত্তি স্থাপন করেন। তিনি তার বিজয় ও শাসন দ্বারা ভারতের মুসলিম শাসনের সূচনা করেন। 

ড. শ্রী বাস্তব বলেছেন, Aibak was the real founder of Turkish empire. অর্থাৎ, আইবেক ছিলেন ভারতে তুর্কি সাম্রাজ্যের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা।

কুতুবউদ্দিন আইবেকের কৃতিত্ব : জগৎ বিখ্যাত কুতুবউদ্দিন আইবেক অসাধারণ কৃতিত্বের অধিকারী ছিলেন। তার চরিত্রে সদগুণের পরিমাণই বেশি ছিল। নিম্নে কুতুবউদ্দিন আইবেকের কৃতিত্ব সম্পর্কে আলোকপাত করা হলো :

১. বিজেতা হিসেবে : কুতুবউদ্দিন আইবেক ভারত অভিযানের সময় মুহাম্মদ ঘুরীর সাথে ছিলেন। তিনি তরাইনের দ্বিতীয় যুদ্ধে সেনাপতিত্ব করেন। 

এ সময় তিনি মিরাট, দিল্লি, আলীগর রণথম্ভোর জয় করেন এবং দিল্লিতে রাজধানী স্থাপন করেন। তিনি ঘুরীর সাথে বারানসি, কালিঞ্জর জয় করেন। তার সেনাপতিত্বে বখতিয়ার খলজি বাংলা ও বিহার জয় করেন।

২. শাসক হিসেবে : কুতুবউদ্দিন আইবেক একজন যোগ্যতম শাসক হিসেবেও সমসাময়িক বিশ্বে খ্যাত ছিলেন। তিনি নিরপেক্ষভাবে বিচারকার্য সম্পন্ন করতেন এবং তার সময়ে রাজ্যে শান্তি ও সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায়। তার সময়ে সাম্রাজ্যে চুরি-ডাকাতি বন্ধ হয়।

৩. দক্ষ শাসক : সময়ের স্বল্পতার কারণে কুতুবউদ্দিন আইবেক প্রশাসনিক ক্ষেত্রে বড় ধরনের পরিবর্তন করতে সক্ষম হননি। 

সেজন্য তিনি পূর্ববর্তী রাজস্ব ব্যবস্থা অক্ষুণ্ণ রেখে স্থানীয় কর্মচারীদের উপর দায়িত্ব ছেড়ে দেন। প্রাদেশিক রাজধানী শহরগুলোতে কাজি ও সেনাধক্ষ্যের মাধ্যমে শাসনকার্য পরিচালনা করতেন।

৪. বদান্যতা : বদান্যতায় কুতুবউদ্দিন আইবেক ছিলেন দ্বিতীয় হাতেম তাই। তিনি প্রত্যহ লক্ষ লক্ষ মুদ্রা অকাতরে দান করতেন। এজন্য ঐতিহাসিকগণ তাকে 'লাখ বকশ' উপাধিতে ভূষিত করেন ।

৫. স্থাপত্যশিল্পে : ১১৯১-৯২ সালে কুতুবউদ্দিন আইবেক দিল্লিতে 'কুওয়াতুল ইসলাম' এবং 'আড়াই দিনকা ঝোপড়া' মসজিদটি নির্মাণ করেন। তার সর্বশ্রেষ্ঠ কীর্তি হলো বিখ্যাত কুতুবমিনার নির্মাণ ।

৬. সাহিত্যের পৃষ্ঠপোষক : কুতুবউদ্দিন আইবেকের সময়ে শিক্ষিত ও সংস্কৃতিবান ব্যক্তিরা সমাদর পেতেন। তৎকালীন কবি, সাহিত্যকরা তাদের রচনায় কুতুবউদ্দিনকে মহানুভব হিসেবে চিহ্নিত করেছেন । তারা কুতুবউদ্দিন আইবেকের প্রশংসায় মুখর হয়ে উঠতেন। আইবেক সাহিত্যের একনিষ্ঠ পৃষ্ঠপোষক ছিলেন ।

উপসংহার : উপরিউক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় যে, দিল্লির প্রথম স্বাধীন সুলতান কুতুবউদ্দিন আইবেক অসাধারণ কৃতিত্ব রেখে যান। 

সামান্য অবস্থান থেকে তিনি দিল্লির সর্বোচ্চ ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন। দিল্লির প্রথম স্বাধীন সুলতান হিসেবে তার কৃতিত্ব অসাধারণ। কৃতিত্বের বিচারেই তার নাম দিল্লি সালতানাতে স্বর্ণাক্ষরে লিখিত রয়েছে এবং থাকবে ।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ সুলতান কুতুবউদ্দিন আইবেকের কৃতিত্ব সম্পর্কে বর্ণনা দাও

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম সুলতান কুতুবউদ্দিন আইবেকের কৃতিত্ব সম্পর্কে বর্ণনা দাও। যদি তোমাদের আজকের সুলতান কুতুবউদ্দিন আইবেকের কৃতিত্ব সম্পর্কে বর্ণনা দাও পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ