মুহাম্মদ বিন তুঘলকের তাম্রমুদ্রার প্রবর্তন সম্পর্কে লিখ

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো মুহাম্মদ বিন তুঘলকের তাম্রমুদ্রার প্রবর্তন সম্পর্কে লিখ জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের মুহাম্মদ বিন তুঘলকের তাম্রমুদ্রার প্রবর্তন সম্পর্কে লিখ । আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।

মুহাম্মদ বিন তুঘলকের তাম্রমুদ্রার প্রবর্তন সম্পর্কে লিখ
মুহাম্মদ বিন তুঘলকের তাম্রমুদ্রার প্রবর্তন সম্পর্কে লিখ

মুহাম্মদ বিন তুঘলকের তাম্রমুদ্রার প্রবর্তন সম্পর্কে লিখ

  • অথবা, মুহাম্মদ বিন তুঘলকের তাম্রমুদ্রার প্রবর্তন সংক্ষেপে আলোচনা কর।
  • অথবা, মুহাম্মদ বিন তুঘলকের তাম্রমুদ্রার প্রবর্তন সম্পর্কে কি যান ৷
  • অথবা, মুহাম্মদ বিন তুঘলকের তাম্রমুদ্রার প্রবর্তনের উপর একটি সংক্ষিপ্ত টীকা লিখ ।

উত্তর : ভূমিকা : মধ্যযুগীয় ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাসে মুহাম্মদ-বিন-তুঘলকের মত বিতর্কিত ও বিরল ব্যক্তিত্ব সংখ্যায় কম। যিনি ইতিহাসের পাতাকে পরিবর্তন করতে চেয়েছিলেন। 

তিনি মোট পাঁচটি মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেন, তার সকল পরিকল্পনাই ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। তার মধ্যে অন্যতম তাম্র মুদ্রার প্রচলন ।

→ মুহম্মদ-বিন-তুঘলকের তাম্র মুদ্রার প্রবর্তন : মুহাম্মদ- বিন-তুঘলকের বাল্য নাম জুনা খান। তার পিতা ছিলেন। গিয়াসউদ্দিন তুঘলক। ১৩২৫ সালে পিতার মৃত্যুর পর তিনি মুহাম্মদ বিন তুঘলক উপাধি ধারণ করে তিনি সিংহাসনে আরোহণ করেন। 

তিনি আমির-ওমরাদের এবং জনসাধারণের মন জয় করার জন্য অনেক স্বর্ণ মুদ্রা ও অর্থব্যয় করেন। মুহাম্মদ-বিন-তুঘলকের তাম্র মুদ্রা প্রচলনের অনেক কারণ ছিল। তার মধ্যে বিশেষ কিছু কারণ আলোচনা করা হলো :

১. স্বর্ণ ও রৌপ্যের দুষ্প্রাপ্যতা : খ্রিষ্টীয় চৌদ্দ শতকে স্বর্ণ ও রৌপ্যের মতো মূল্যবান ধাতব পদার্থের ব্যাপক ঘাটতি দেয়। তাই স্বভাবতই সুলতান রাজকোষের স্বর্ণ ও রৌপ্য সংরক্ষণ করে রাখেন।

২. চীন ও পারস্যের অনুকরণ : পারস্য ও চীনে কাগজ ও তামার নোট প্রচলিত ছিল। অনুচীকীর্ষাই মূলত মুহাম্মদ তুঘলককে তাম্রমুদ্রা প্রচলনে সহযোগিতা করে।

৩. বিনিয়োগ এর সুবিধা : স্বর্ণ ও রৌপ্যের মূল্য তাম্রমুদ্রা অপেক্ষা অনেক বেশি। বিনিয়োগে বিঘ্ন ঘটাতে পারে তাই সুলতান মুহাম্মদ তাম্র মুদ্রার প্রচলন করেন ।

৪. ঘাটতি পূরণ : মুহাম্মদ বিন তুঘলকের শাসনামলে রাজধানী স্থানান্তরসহ নানাবিধ কারণে ব্যাপক অর্থনৈতিক সংকট দেখা দেয় । ঘাটতি পূরণের লক্ষ্যে সুলতান এই তাম্রমুদ্রার প্রচলন করেন ।

৫. তাম্র মুদ্রা প্রবর্তনের ফলাফল : মুহাম্মদ-বিন-তুঘলক ১৩২৯-'৩০ সালে আইন জারি করে স্বর্ণ ও রৌপ্যের মতো তাম্রমুদ্রা বিনিয়োগ এবং ব্যবহারের আদেশ জারি করেন। 

এর ফলশ্রুতিতে ব্যাপক জাল মুদ্রা প্রচলনের পথ সুগম হতে থাকে। ধূর্ত ও অসাধু ব্যবসায়ী জাল মুদ্রায় আসল মুদ্রা সংরক্ষণ করতে থাকে। এমনকি প্রতিটি হিন্দু পরিবার মুদ্রার টাকশালে পরিণত হয়।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, মুহাম্মদ-বিন-তুঘলক ছিলেন উচ্চাভিলাষী এবং অদূরদর্শী। তার সকল পরিকল্পনা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। সৎ ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও তার মুদ্রা প্রচলনের পথ বন্ধ হয়ে যায়।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ মুহাম্মদ বিন তুঘলকের তাম্রমুদ্রার প্রবর্তন সম্পর্কে লিখ

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম মুহাম্মদ বিন তুঘলকের তাম্রমুদ্রার প্রবর্তন সম্পর্কে লিখ । যদি তোমাদের আজকের মুহাম্মদ বিন তুঘলকের তাম্রমুদ্রার প্রবর্তন সম্পর্কে লিখ পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ