শিক্ষার পৃষ্ঠাপোষক হিসেবে সুলতান মাহমুদের কৃতিত্ব উল্লেখ কর

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো শিক্ষার পৃষ্ঠাপোষক হিসেবে সুলতান মাহমুদের কৃতিত্ব উল্লেখ কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের শিক্ষার পৃষ্ঠাপোষক হিসেবে সুলতান মাহমুদের কৃতিত্ব উল্লেখ কর। আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।

শিক্ষার পৃষ্ঠাপোষক হিসেবে সুলতান মাহমুদের কৃতিত্ব উল্লেখ কর
শিক্ষার পৃষ্ঠাপোষক হিসেবে সুলতান মাহমুদের কৃতিত্ব উল্লেখ কর

শিক্ষার পৃষ্ঠাপোষক হিসেবে সুলতান মাহমুদের কৃতিত্ব উল্লেখ কর

  • অথবা, শিক্ষানুরাগী হিসেবে সুলতান মাহমুদের কৃতিত্ব সংক্ষেপে মূল্যায়ন কর ।
  • অথবা, শিক্ষানুরাগী হিসেবে সুলতান মাহমুদের কৃতিত্ব বর্ণনা কর।

উত্তর : ভূমিকা : সুলতান মাহমুদ একজন কবি ও সাহিত্যানুরাগী ছিলেন। সাহিত্য ও শিল্পের পৃষ্ঠপোষকতার জন্য তাঁর দরবারে প্রসিদ্ধ কবি, জ্ঞানী ও গুণীবর্গের সমাবেশ ঘটেছিল ঈশ্বরী প্রসাদের মতে, তিনি নিজে অশিক্ষিত হলেও শিল্প ও সাহিত্যের সমাদর করতেন। তবে পণ্ডিতদের এ মন্তব্য সঠিক নয় । কারণ তিনি নিজেও পণ্ডিত, কবি ও জ্ঞানী-গুণী ছিলেন।

→ শিক্ষানুরাগী হিসেবে সুলতান মাহমুদ : শিক্ষা, সাহিত্য ও জনকল্যাণকামী শাসক সুলতান মাহমুদের কৃতিত্ব জগৎ বিখ্যাত । নিম্নে শিক্ষানুরাগী হিসেবে সুলতান মাহমুদের কৃতিত্ব আলোচনা করা হলো :

শিক্ষানুরাগী হিসেবে সুলতান মাহমুদ যুদ্ধ ও শাসন নিয়ে সময় ব্যয় করলেও তার দরবারে জ্ঞানী ও গুণীদের সমাদর করেছেন। 

তার রাজসভায় ‘শাহনামা' রচয়িতা ফেরদৌসী, দার্শনিক ফারাবি, ঐতিহাসিক, উৎবি, আখ্যান রচয়িতা বায়হাকি, কবি আনসারি, উজারি প্রমুখ মনীষী দ্বারা অলংকৃত ছিল। 

বহুমুখী প্রতিভাধর আল-বেরুনী কিছুদিন তার দরবারে শোভাবর্ধন করেন। ভারত হতে লুণ্ঠিত ধন-দৌলত দিয়ে তিনি গজনিতে বিশ্ববিদ্যালয়,যাদুঘর ও গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠায় ব্যয় করেন। 

তার প্রচেষ্টার ফলে গজনি প্রাচ্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নগরীতে পরিণত হয়েছিল। কাব্য ও সাহিত্যের চর্চায় কমপক্ষে চারশত জন কবি নিয়োজিত ছিলেন। 

তিনি রাজধানীতে সুরম্য ইমারত নির্মাণ করেন। সে সবের মধ্যে সর্বাধিক উল্লেখ্যযোগ্য ছিল স্বর্গীয় কল্যাণার্থে একটি মসজিদ, তাছাড়া শিক্ষা ও জ্ঞান প্রসারের জন্য লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করেন ।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, সুলতান মাহমুদের সাহিত্য ও শিল্পের পৃষ্ঠপোষকতার অন্তরালে আত্মমর্যাদা প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যই ছিল প্রধান। 

বলা বাহুল্য, তিনি শিক্ষা-দীক্ষায় সাহিত্য ও শিল্পকলার সমাদর করে মুসলমানদের কাছে সমাদৃত হন।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ শিক্ষার পৃষ্ঠাপোষক হিসেবে সুলতান মাহমুদের কৃতিত্ব উল্লেখ কর

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম শিক্ষার পৃষ্ঠাপোষক হিসেবে সুলতান মাহমুদের কৃতিত্ব উল্লেখ কর। যদি তোমাদের আজকের শিক্ষার পৃষ্ঠাপোষক হিসেবে সুলতান মাহমুদের কৃতিত্ব উল্লেখ কর পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ