তরাইনের দ্বিতীয় যুদ্ধ সম্পর্কে আলোচনা করো

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো তরাইনের দ্বিতীয় যুদ্ধ সম্পর্কে আলোচনা করো জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের তরাইনের দ্বিতীয় যুদ্ধ সম্পর্কে আলোচনা করো । আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।

তরাইনের দ্বিতীয় যুদ্ধ সম্পর্কে আলোচনা করো
তরাইনের দ্বিতীয় যুদ্ধ সম্পর্কে আলোচনা করো

তরাইনের দ্বিতীয় যুদ্ধ সম্পর্কে আলোচনা করো

  • অথবা, তরাইনের দ্বিতীয় যুদ্ধ সম্পর্কে কী জান? 
  • অথবা, তরাইনের দ্বিতীয় যুদ্ধ সম্পর্কে টীকা লেখ ।

উত্তর : ভূমিকা : তরাইনের প্রথম যুদ্ধে পরাজিত হয়ে মুহাম্মদ ঘুরী বিচলিত হননি। তিনি পৃথ্বীরাজকে পরাজিত করার জন্য ব্যাঘ্র হয়ে শক্তিশালী সেনাবাহিনী গঠনে মনোনিবেশ করেন। অতঃপর তিনি ১১৯২ সালে দ্বিতীয় বার ভারত আক্রমণ করলে দ্বিতীয় তরাইনের যুদ্ধ সংঘত হয়।

• তরাইনের দ্বিতীয় যুদ্ধ : তরাইনের প্রথম যুদ্ধে পরাজিত হলেও মুহাম্মদ ঘুরী নিরাশ না হয়ে পরাজয়ের গ্লানি মুছে ফেলার জন্য ১১৯২ সালে আফগান ও তুর্কিদের সমন্বয়ে এক বিশাল সেনাবাহিনী নিয়ে এবং দৃঢ় সংকল্প হয়ে পুনরায় তরাইনের প্রান্তরে উপনীত হন। 

মুহাম্মদ ঘুরীর বিশাল বাহিনীর সংখ্যা ছিল ১,২০,০০০ এবং অশ্বারোহীর সংখ্যা ছিল ১২,০০০। পৃথ্বীরাজের নেতৃত্বে ভারতীয়দের সম্মিলিত বাহিনীর সঙ্গে মুহাম্মদ ঘুরীর সম্মিলিত বাহিনী যুদ্ধে লিপ্ত হয়।

মুহাম্মদ ঘুরী : মুহাম্মদ ঘুরী ভারতীয়দের এই বিশাল বাহিনীকে তীব্রভাবে আক্রমণ করে পরাজিত করেন। পৃথ্বীরাজ মুসলিমদের হাতে হস্তে পরাস্ত ও নিহত হন। 

হিন্দুরা সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়েও তাদের চিরাচরিত যুদ্ধরীতি ও সেনাবাহিনী পরিচালনার জন্য একক অধিনায়কত্বের অভাব তাদের পরাজয়ের কারণ ছিল। হিন্দুদের এ যুদ্ধে পরাজয়ের ফলে উত্তর ভারত তুর্কিদের অধীনে আসে। 

হানিস, সামান, গুহরাম ও অন্যান্য কয়েকটি সুরক্ষিত দুর্গ মুহাম্মদ ঘুরীর নিকট আত্মসমর্পণ করে। আজমির নগরটি বার্ষিক করদানের বিনিময়ে পৃথ্বীরাজের পুত্রের শাসনাধীনে রাখা হয় ।

ঐতিহাসিক ভি. স্মিথের মতে, ১১৯২ সালে অনুষ্ঠিত তরাইনের দ্বিতীয় যুদ্ধের ফলে হিন্দুস্তানে মুসলিম আক্রমণের চরম সাফল্যের সূচনা হয়।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, তরাইনের দ্বিতীয় যুদ্ধ সম্পর্কে ঐতিহাসিক হেগ বলেছেন, তরাইনের বিজয়ের জন্য উত্তর ভারতের দিল্লিসহ সকল শহরের ফটক মুহাম্মদ ঘুরীর জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হলো। 

গজনিতে ফিরে যাওয়ার পূর্বে মুহাম্মদ ঘুরী তার বিশ্বস্ত সেনাধ্যক্ষ কুতুবউদ্দিনকে ভারতের বিজিত রাজ্যের শাসনকর্তা নিযুক্ত করে যান।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ তরাইনের দ্বিতীয় যুদ্ধ সম্পর্কে আলোচনা করো

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম তরাইনের দ্বিতীয় যুদ্ধ সম্পর্কে আলোচনা করো । যদি তোমাদের আজকের তরাইনের দ্বিতীয় যুদ্ধ সম্পর্কে আলোচনা করো পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ