আওরঙ্গজেবের ধর্মীয় নীতির ফলে সৃষ্ট কৃষক বিদ্ৰোহ সম্পর্কে লিখ

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো আওরঙ্গজেবের ধর্মীয় নীতির ফলে সৃষ্ট কৃষক বিদ্ৰোহ সম্পর্কে লিখ জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের আওরঙ্গজেবের ধর্মীয় নীতির ফলে সৃষ্ট কৃষক বিদ্ৰোহ সম্পর্কে লিখ। আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।

আওরঙ্গজেবের ধর্মীয় নীতির ফলে সৃষ্ট কৃষক বিদ্ৰোহ সম্পর্কে লিখ
আওরঙ্গজেবের ধর্মীয় নীতির ফলে সৃষ্ট কৃষক বিদ্ৰোহ সম্পর্কে লিখ

আওরঙ্গজেবের ধর্মীয় নীতির ফলে সৃষ্ট কৃষক বিদ্ৰোহ সম্পর্কে লিখ

  • অথবা, আওরঙ্গজেবের ধর্মীয় নীতির কারণে যে কৃষক বিদ্রোহের সৃষ্টি হয় তা বর্ণনা কর।

ভূমিকা : সম্রাট আওরঙ্গজের অন্যান্য মুঘ সম্রাটদের মতো উদার প্রকৃতির শাসক ছিলেন না। তিনি কঠোরভাবে সুন্নি মুসলিম ছিলেন এবং কঠিনভাবে ইসলামের রীতিনীতি পালন করেন। 

তাই স্বাভাবিকভাবে হিন্দুধর্মের নেতা ও রাজারা যে স্বাধীনতা ভোগ করতো বিশেষ করে সম্রাট আকবরের সময় হিন্দুদের সাথে যে সখ্যতা তৈরি হয়েছিল সম্রাট আওরঙ্গজেবের সময় তা রক্ষিত হয়নি।

কৃষক শ্রেণির বিদ্রোহ : নিয়ে আওরঙ্গজেবের ধর্মনীতির ফলে সৃষ্ট কৃষক শ্রেণির বিদ্রোহসমূহ আলোচনা করা হলো :

১. আওরঙ্গজেবের অনুদার নীতি : সম্রাট আওরঙ্গজেবের ধর্মীয় নীতি অন্যান্য মুঘল শাসকদের মতো উদার ছিল না। তিনি ধর্মীয় ক্ষেত্রে ছিল সংকীর্ণ, অনুদার ও গোড়া যা ঐ সময়ের হিন্দু বিশেষত মারাঠা, জাঠ, শিখ, বুন্দেলা, রাজপুত প্রভৃতি জাতির অসন্তুষ্টির কারণ হয়। ফলে কৃষকরা হিন্দু জমিদারদের নেতৃত্বে সংগঠিত হওয়ার সুযোগ পায় এবং বিদ্রোহ করে।

২. রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কারণ : সম্রাট আওরঙ্গজেবের সময় কৃষক বিদ্রোহের পিছনে কিছু সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কারণও ছিল। এ সময় ঐতিহাসিকদের অনেকেই আওরঙ্গজেবের বিরুদ্ধে এ বিদ্রোহকে নিছক হিন্দু বিদ্ৰোহ বলেই পণ্য করেন। কারণ বিদ্রোহীরা বেশিরভাগ ছিল হিন্দু।

৩. মুসলিম-হিন্দু বন্দ্ব : সম্রাট আওরঙ্গজেবের সময় কৃষক বিদ্রোহকে মুসলিম শাসনের বিরুদ্ধে হিন্দু সম্প্রদায়ের যুদ্ধ বলে প্রচার করা হয়। ফলে তিনি হিন্দু কৃষক ও জমিদারদের অসন্তোষ দূর করার ব্যাপারে কোনো চেষ্টা করেননি। মূলত সম্রাট ও হিন্দুদের ভুলবোঝাবুঝির কারণে এ কৃষক বিদ্রোহ হয়।

৪. মুঘল কর্মচারীদের অত্যাচার : সম্রাট আওরঙ্গজেবের সময় হিন্দু কৃষক ও জমিদারদের নিকট হতে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ বেড়ে যায়। তাছাড়া স্থানীয় মুঘল কর্মচারীরা হিন্দু প্রজাদের উপর অত্যাচার করতো। ফলে এ কৃষিজীবী শ্রেণি হিন্দু জমিদারদের নেতৃত্ব মেনে নেয়। ফলে কৃষক বিদ্রোহ করে।

৫. হিন্দু অভিজাতদের সাথে দূরত্ব : সাধারণত অন্যান্য মুঘল সম্রাটরা হিন্দু অভিজাত শ্রেণি তথা রাজপুত, মারাঠা ও অন্যান্য অভিজাত শ্রেণির হিন্দুদের সাথে সখ্যতা রাখার চেষ্টা করতো এবং তারা মুঘল সাম্রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন থেকে রাজা পরিচালনায় সাহায্য করতো। 

কিন্তু আওয়ার সময় হিন্দু- মুসলিম দূরত্ব বৃদ্ধি পায়। ফলে অভিজাত হিন্দু নেতা সাধারণ কৃৎকদের উস্কে দেয়। তদুপরি মুঘল কর্মচারীরা হিন্দুদের উপর অত্যাচার ইত্যাদি বিবিধ কারণে কৃষকরা বিদ্রোহ করে।

উপসংহার : উপরিউক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা এ কথা বলতে পারি যে, সম্রাট আওরঙ্গজেবের সময় যে কৃষক বিদ্রোহ সংঘটিত হয় তা মূলত কৃষক বিদ্রোহই ছিল। 

এটা কোনো সংগঠিত হিন্দু বিদ্রোহ ছিল না। আর ভুলটা হয় এখানেই। আওরঙ্গজেব মুসলিম শাসন বিরোধী সংগ্রাম ভোর তাদেরকে দমনের সিদ্ধান্ত নেন। ফলে সাম্রাজ্যে হিন্দু-মুসলিম বিভেন তৈরি হয়।।a

আর্টিকেলের শেষকথাঃ আওরঙ্গজেবের ধর্মীয় নীতির ফলে সৃষ্ট কৃষক বিদ্ৰোহ সম্পর্কে লিখ

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম আওরঙ্গজেবের ধর্মীয় নীতির ফলে সৃষ্ট কৃষক বিদ্ৰোহ সম্পর্কে লিখ । যদি তোমাদের আজকের আওরঙ্গজেবের ধর্মীয় নীতির ফলে সৃষ্ট কৃষক বিদ্ৰোহ সম্পর্কে লিখ পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ