হুমায়ুনের সাথে সংঘর্ষে শেরশাহ জয়লাভ করে কেন


হুমায়ুনের সাথে সংঘর্ষে শেরশাহ জয়লাভ করে কেন
হুমায়ুনের সাথে সংঘর্ষে শেরশাহ জয়লাভ করে কেন

হুমায়ুনের সাথে সংঘর্ষে শেরশাহ জয়লাভ করে কেন

উত্তর : ভূমিকা : ভারতবর্ষের ইতিহাসে মুঘল ও আফগান দ্বন্দ্ব মুঘল সম্রাট হুমায়ূনের সময় নতুন মাত্রা লাভ করে। 

বিশেষ করে এসময় হুমায়ূনের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে শেরশাহ সুকৌশলে তার নিজস্ব শক্তি বৃদ্ধি করে এবং এক সময় সুযোগমত শেরশাহ হুমায়ূনকে আক্রমণ করে বসে। যার ফলে সাময়িকভাবে পতন ঘটে মুঘল সাম্রাজ্যের।

→ হুমায়ূনের বিরুদ্ধে শেরশাহের সাফল্যের কারণ : হুমায়ূন ও শেরশাহের মধ্যে চৌসার ও বিলগ্রামের দুইটি যুদ্ধে হুমায়ূন সাফল্য লাভ করেন এবং নিচির সিংহাসন দখল করেন। নিম্ন শেরশাহের সাফল্যের কারণসমূহ আলোচনা করা হলো।

১. দৃঢ় আফগান জাতীয়তাবোধ : শেরশাহের সাফল্য লাভের | পিছনে প্রধান কারণ ছিল দৃঢ় আফগান জাতীয়তাবোধ। আফগানরা পানিপথের যুদ্ধে হেরে যাওয়ার পর প্রতিশোধ গ্রহণের সুযোগ খুঁজছিল। 

তাই হুমায়ূনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে আফগানরা নিজস্ব জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে একত্রিত হন এবং প্রাণপণে যুদ্ধ করেন।

২. শেরশাহের বলিষ্ঠ নেতৃত্ব : শেরশাহের বলিষ্ঠ নেতৃত্ব শেরশাহের বিজয়ের তথা সাফল্য লাভের আরেকটি উল্লেখযোগ্য কারণ। শেরশাহ তার সহযোদ্ধাদেরকে জাতীয়তাবোধের ভিত্তিতে একত্রিত করতে সক্ষম হন। যার ফলে সকলেই একত্রিত হয়ে যুদ্ধ করে এবং বিষয়কে ছিনিয়ে আনে।

৩. সামরিক দক্ষতা ও উন্নত রণকৌশল : শেরশাহের সাফল্য লাভের আরেকটি উল্লেখযোগ্য কারণ হচ্ছে আফগানদের উন্নত রণকৌশল ও সামরিক দক্ষতা। 

আফগানরা তথা শেরশাহ ছিলেন যুদ্ধে অত্যন্ত পারদর্শী। তাছাড়া তাদের পরিকল্পনা ছিল। অতর্কিত আক্রমণ করে শত্রুদের কোণঠাসা করে ফেলা ।

৪. মুঘল বাহিনী সম্বন্ধে অভিজ্ঞতা : শেরশাহ প্রাথমিক | জীবনে বাবরের অধীনে সামরিক বাহিনীতে চাকরি করেন। যার ফলে মুঘল সেনাবাহিনীর পরিকল্পনা, তাদের সামরিক অস্ত্র, সৈন্যদের অভিজ্ঞতা ইত্যাদি সম্বন্ধে শেরশাহের পূর্ণ অভিজ্ঞতা ছিল। যার ফলে শেরশাহ যুদ্ধে অনেক সুযোগ পায় এবং হুমায়ূনকে পরাজিত করেন।

৫. হুমায়ূনের দুর্বলতা : শেরশাহ জানতেন যে, হুমায়ূন চারিত্রিক দিক থেকে কিছুটা দুর্বল। বিশেষ করে হুমায়ূন ছিল আরামপ্রিয়। হার কারণে শেরশাহ প্রথমে টোপ দিয়ে হুমায়ূনকে গৌড়ে নিবন্ধ রাখেন। 

আর এদিকে শেরশাহ হুমায়ূনের ফিরে যাওয়ার সব পথ বন্ধ করেন। এতে শেরশাহ সাফল্যের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছান।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, শেরশাহ মূলত নিজ মেধা ও বুদ্ধির দ্বারাই হুমায়ূনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সাফল্য লাভ করেন। তবে শেরশাহকে আফগান বাহিনী চূড়ান্তভাবে সহযোগিতা করেছিল।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ