লোদী বংশের উত্থান পতনের ইতিহাস আলোচনা কর

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো লোদী বংশের উত্থান পতনের ইতিহাস আলোচনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের লোদী বংশের উত্থান পতনের ইতিহাস আলোচনা কর । আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।

লোদী বংশের উত্থান পতনের ইতিহাস আলোচনা কর
লোদী বংশের উত্থান পতনের ইতিহাস আলোচনা কর

লোদী বংশের উত্থান পতনের ইতিহাস আলোচনা কর 

  • অথবা, লোদী বংশের উত্থান ও পতনের ইতহাস ব্যাখ্যা কর।
  • অথবা, লোদী বংশের উত্থান-পতনের ইতিহাস আলোচনা কর।
  • অথবা, লোদী বংশের উত্থান-পতনের ইতিহাস সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা দাও।

উত্তর : ভূমিকা : ভারতীয় উপমহাদেশে মুসলিম শাসনের ইতিহাসে লোদী বংশের উত্থান এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সৈয়দ বংশের অযোগ্য শাসনের ফলে লোদী বংশের উত্থান ঘটে। 

লোদী বংশের অন্যতম শাসক বাহলুল লোদী সৈয়দ বংশের শাসক আলাউদ্দিন আলম শাহকে পরাজিত করে লোদী বংশ প্রতিষ্ঠা করেন । বাহলুল লোদী ক্ষমতায় আরোহণ করে ভারতে গৌরবময় ৭৫ বছর লোদী বংশ শাসন করে যায়। 

তারা সালতানাতের সর্বক্ষেত্রে অনেক অবদান রেখে যান। তাদের অবদান তাদের শাসনের ইতিহাস অনেক গুরুত্বপূর্ণ করে দিয়েছে।

→ লোদী বংশের উত্থান : ১৪৫১ সালে ভারতীয় উপমহাদেশে লোদী বংশের উত্থান ঘটে । নিম্নে সে সম্পর্কে আলোচনা করা হলো :

বাহলুল লোদী : সুলতান বাহলুল লোদীকে লোদী বংশের প্রতিষ্ঠাতা বলা হয়। তিনি ছিলেন আফগান লোদী দলের প্রধান। ১৪৫১ সালে সৈয়দ বংশের শেষ শাসক আলাউদ্দিন আলম শাহকে পরাজিত করে অমাত্য শাসক হিসেবে লোদী বংশ প্রতিষ্ঠা করে। 

তিনি ভারতের দিল্লির বিখ্যাত লোদী বংশের শাসক হিসেবে সিংহাসন আরোহণ করেন। তার শাসনের মাধ্যমে ইতিহাসের লোদী বংশের শাসন শুরু হয়।

কৃতিত্ব : লোদী বংশের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা বাহলুল লোদী যোগ্য শাসকের বাহিরে তিনি ব্যক্তিগতভাবে অনেক অমর হয়ে আছে। সুলতান বাহলুল লোদী খুব সাহসী, অমায়িক ও চরিত্রবান ছিলেন।

সালতানাতে শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য তাকে ইতিহাসে বেশ উচ্চ স্থান দেওয়া যায়। সুলতান বাহলুল লোদী সেই সময় কালের দুঃসাহসিক নরপতি ছিলেন। 

তিনি ব্যক্তিগতভাবে ধর্মীয় ক্ষেত্রে অনেক গভীর প্রকৃতির মানুষ ছিলেন। তিনি ধর্মভীরু থাকার কারণে তার শাসনে তিনি ইসলামি শরিয়ত অনুসরণ করতেন। 

তিনি শাসক হিসেবে অনেক দয়ালু প্রকৃতির ছিলেন। সমাজের মানুষের কল্যাণে সবর্দা নিয়োজিক থাকতেন। তিনি তার সাম্রাজ্যে জ্ঞানী গুণীদের কদর করতেন।

নিম্নে বাহলুল শোণীর কৃতিত্ব আলোচনা করা হলো :

১. অরাজকতার অবসান : সুলতান বাহলুল লোনী ক্ষমতায় আরোহণ করে ও সাম্রাজ্যের মধ্যে অরাজকতার অবসান ঘটান। তিনি ক্ষমতায় আরোহণ করলে সাম্রাজ্যের মাঝে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। সেইগুলো তিনি কঠোর হস্তে মোকাবিলা করেন।

২. কর্মঠ শাসক : সুলতান বাহলুল লোদী একজন কাঠি শাসক ছিলেন। তিনি তার কর্মদক্ষতার মাধ্যমে দিল্লি সাম্রাজ্যের হৃত অঞ্চলগুলো পুনঃজয় করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হন। 

ঐতিহাসিক অতুল চন্দ্র রায়ের মতে, “বাহলুল কিয়াং পরিমাণে সুলতানি সাম্রাজ্যের হৃত গৌরব ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হন" তিনি কর্মঠ শাসক থাকার কারণে সুলতান বাহলুল লোদী হৃতরাজ্য ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হন।

৩. বীর শাসক : সুলতান বাহলুল লোদী একজন বীর শাসক ছিলেন। তিনি বিনয়ের সাথে সৈয়দ সুলতানতের আমলের উজির হামিদ খানের সহযোগিতা কামনা করেন। 

কিন্তু হামিদ খানের কার্যকলাপে অসম্ভষ্ট হয়ে সুলতান তাকে কারাবন্দি করেন। জৌনপুরের আমিররা বিদ্রোহী হলে সিকান্দার বরককে বন্দি করেন। 

বিদ্রোহী আমিররা এতে অসন্তুষ্ট না হয়ে জৌনপুরের পূর্ববর্তী শাসনকর্তা হুসাইন শাহকে আমন্ত্রণ জানালেন। কিন্তু সিকান্দারের কাছে পরাজিত হয়ে হুসাইন শাহ পলায়ন করেন অতঃপর বিহার ও ত্রিহুত বিজয় লাভ করেন।

৪. লোদী বংশের প্রতিষ্ঠাতা : লোদী বংশের শাসকগণ আফগানে অনুগ্রহণ করেন। সেখানে তাদের বেড়ে ওঠা। সুলতান বাহলুল লোদী আফগান জাতীয় লোদী উপদলে সম্ভূত ছিলেন। আফগান হয়েও ভারতীয় উপমহাদেশে তাদের শাসন প্রতিষ্ঠা এক গৌরবময় অধ্যায়। 

সুলতান বাহলুল লোদী আফগান শাসক হিসেবে ভারতীয় উপমহাদেশে তাদের স্বীয় দক্ষতার মাধ্যমে গৌরবময় শাসনকাল সাম্রাজ্য শাসন করে গিয়েছেন। যার মাধ্যমে তাদের ইতিহাস সমৃদ্ধ করে পিয়েছেন।

৫. জৌনপুর ও দোয়াৰে অভিযান : সুলতান বাহলুল লোদী তার শাসনকে সুপ্রতিষ্ঠিত করার জন্য জৌনপুর ও দোয়াবে কাঠোর অভিযান চালায়। তার কঠোর অভিযান চালানোর মাধ্যমে দোয়াব অঞ্চলকে তার নিজ সাম্রাজ্যভুক্ত করেন। 

দোয়াবের পার্শ্ববর্তী অঞ্চল গোয়ালিয়র জয় করে ১৪৮৯ সালে কিন্তু গোয়ালিয়র জয়ের ফেরার পথে সুলতান বাহলুল মৃত্যুবরণ করেন।

৬. বাংলার সুলতানদের সাথে সন্ধি : সুলতান বাহলুল লোদী তার শাসনকালের সময় তিনি পার্শ্ববর্তী বাংলার শাসকদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখেছিলেন। ত্রিহুত ও বিহারে আক্রমণ চালিয়ে সুলতান হুসেন শাহের সাথে সন্ধি করতে বাধ্য করে তিনি দিল্লিতে প্রত্যাবর্তন করেন।

৭. শ্রেষ্ঠ বিজেতা : সুলতান বাহলুল লোদী একজন যোগ্য শাসক ও শ্রেষ্ঠ বিজেতা ছিলেন। বাহলুল লোদীর জ্যেষ্ঠপুত্র বরবক্ শাহ জৌনপুরের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। 

বরবক শাহের বিরুদ্ধে অভিযান প্রেরণ করে বশ্যতা স্বীকার করতে বাধ্য করেন। কিন্তু মুবারক শাহের অত্যাচারে অতিষ্ঠ।|

সিকান্দার লোদীর শাসনব্যবস্থা : সিকান্দার লোদী একজ যোগা শাসক ছিলেন। পিতার মৃত্যুর পর যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে লোদী বংশের শাসনক্ষমতায় আরোহণ করেন। 

ঐতিহাসিক ভিি মহাজন বলেন, "He patronised the learned people and himself wrote poetry in persian. It was under his patronage that main Bhua thanslated into persian a sanskrit work o medicine know a Tibbi Sikandari, অর্থাৎ, সিকান্দার লোদীর শাসনব্যবস্থার সাথে পারসিয়ান শাসকগণ যেমনভাবে শাহ করেছেন দিল্লিও সেভাবে তিনি শাসন করেন।

১. সিকান্দার লোদীর ক্ষমতায় আরোহণ : সুলতান বাহলুল লোদী ১৪৫১-১৪৮৮ সালে পর্যন্ত ভারতীয় উপমহাদেশে পোনী বংশের শাসন পরিচালনা করে যান। ১৪৮৮ সালে সুলতান বাহলুল গোয়ালিওর জয় করে দিল্লিতে ফেরার পথে মৃত্যুবা করলে লোদী বংশের শাসন ক্ষমতায় আরোহণ করেন সুলতান সিকান্দার লোদী। 

তিনিও তার পিতা বাহলুল লোদীর মধ শক্তিশালী যোগ্য শাসক ছিলেন। তার স্বীয় দক্ষতার মাধ্যমে প্রায় ২৯ বছর শাসনকার্য পরিচালনা করেন।

জৌনপুরের সুলতান মাহমুদ শাহ দিল্লি অধিকার করার চেষ্টা করলে দিল্লিতে অবস্থান করে সুলতান মাহমুদ শাহের বিরুদ্ধে অভিযান তাকে পরাজিত করেন। তার বীর দক্ষতার কারণে সুলতান তার আধিপত্য আরো সুপ্রতিষ্ঠিত হয়।

২. ক্ষমতাশীল শাসক : সিকান্দার লোদী একজন ক্ষমতাশীল শাসক ছিলেন। তিনি সাম্রাজ্যের মাঝে শান্তি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন। 

তিনি ক্ষমতায় আরোহণের প্রাক্কালে আফগান আমিরদের বিদ্রোহ ঘটালে সেটা মোকাবিলা করতে সক্ষম হন। তিনি তার পিতার আদর্শে পড়া বিশাল সাম্রাজ্য পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করেই শাসন পরিচালনা করেন।

৩. অর্থ সংক্রান্ত কার্যাবলি : সিকান্দার লোদী শাসনক্ষমতায় আরোহণ করে রাজস্ব সংক্রান্ত কার্যাবলি সংস্কারে বেশ মনোযোগী হন। সরকারি আয়-ব্যয়ের যথাযথ হিসাব রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সুবন্দোবস্ত করেন। শস্য কর এবং অভ্যন্তরীণ শুদ্ধ উঠিয়ে দিয়ে তিনি জনসাধারণের আর্থিক উন্নতি সাধনে অনেক অবদান রাখেন।

৪. সিকান্দার লোদীর ধর্মীয় নীতি : সিকান্দার লোদী অনেক ধর্মপরায়ণ শাসক ছিলেন। ধর্মের প্রতি অন্ধ ছিলেন বটে। বলা হয়ে থাকে তিনি হিন্দুদের প্রতি উদারনীতি পোষণ করতেন না। 

মথুরা রাজ্যে হিন্দুদের মন্দির ভেঙে তদস্থলে মসজিদ ও সরাইখানা নির্মাণের আদেশ দেন। যমুনার ঘাটে হিন্দুদের স্নান করাও নিষিদ্ধ করে দেন।

৫. চারিত্রিক গুণাবলি : সিকান্দার লোদী পরম দয়ালু ও ধার্মিক হিসেবে যথেষ্ট খ্যাতি অর্জন করেন। তিনি উদার মনের অধিকারী ছিলেন। প্রজাসাধারণের শান্তির লক্ষ্যে সকল কাজই করতেন। 

শাসনকার্যে ব্যক্তিগতভাবে আলেমদের পরামর্শ মেনে । চলতেন। ২৮ বছর যোগ্যতার সাথে রাজত্ব করে ১৫১৭ সালে মহান এ শাসক মৃত্যুবরণ করেন ।

→ সুলতান ইব্রাহিম লোদী : সিকান্দার লোদীর মৃত্যুর পর তারই পুত্র ইব্রাহিম লোদী শাসন ক্ষমতায় আরোহণ করেন। তাকে লোদী বংশের সর্বশ্রেষ্ঠ শাসক বলা হয়ে থাকে। নিম্নে তার কৃতিত্ব ও শাসনকাল আলোচনা করা হলো :

১. প্রাথমিক সমস্যা : সিকান্দার লোদীর মৃত্যুর পর অভিজাতবর্গের এক দল সাম্রাজ্যে বিভক্ত করবার দাবি করলে ইব্রাহিম লোদীর কনিষ্ঠ ভ্রাতা জালাল খান লোদী জৌনপুরে শাসন ক্ষমতায় বসার ষড়যন্ত্র করেন। 

ইব্রাহিম ফতেহ খান ও খান জাহানের সহায়তায় জালালউদ্দিন খানকে পরাজিত করে সুলতানি রাজ্যের ব্যবচ্ছেদ রহিত করেন। অতঃপর অন্যান্য উদ্ধত আফগানদের দমনে কঠোর নীতি প্রয়োগ করেন ।

২. ইব্রাহিম লোদীর ভুল নীতি গ্রহণ : ইব্রাহিম লোদী আফগান অভিজাতদিগকে দমন করবার মনোভাব ও পন্থা অবশেষে বিচার বিবেচনাহীন বা অদূরদর্শিতায় পর্যবসিত হল। যে নীতি প্রতিষ্ঠা করার জন্য ইব্রাহিম লোদী লড়াই করেছিলেন তা সুষ্ঠু কিন্তু যে পন্থা অনুসরণ করেন সে সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে তা কার্যকর করার প্রায়স সম্পূর্ণ ভুল ছিল ।

৩. পানিপথের প্রথম যুদ্ধ ও লোদী বংশের পতন : ইব্রাহিম লোদী যদিও মানবিক প্রতিভার অধিকারী ছিল কিন্তু তার সুবুদ্ধি ও সংযমের অভাব ছিল। তার অদক্ষতার কারণে লোদী বংশের পতন- ঘটে। তার কাঠোর নীতি আফগান আমিরদের বিরক্ত করে তোলে। 

ফরিদ খান লোহানীর অধীনে বিহার স্বাধীনতা ঘোষণা। করেন। লাহোরের শাসককর্তা দৌলত খান লোদীর পুত্র দিলওয়ার খানের প্রতি সুলতান ইব্রাহিম লোদীর দুর্ব্যবহারে অভিজাতদের অসন্তুষ্টি চূড়ান্ত পর্যায়ে উপনীত করে ছিল। 

পাঞ্জাবের শাসনকর্তা দৌলত খান লোদী ইব্রাহিম লোদীর উপর অসন্তুষ্ট হয়ে কাবুলের শাসনকর্তা বাবরকে ভারত আক্রমণ জন্য আহ্বান জানান। 

তৈমুরের বংশধর, যুদ্ধ ক্ষমতার অন্যন্য সাধারণ সাম্রাজ্য বিস্তারে অপরিসীম আকাঙ্ক্ষী বাবর ভারতীয় অসন্তুষ্ট অভিজাত মহলের আমন্ত্রণ সাদরে গ্রহণ করেছিলেন। 

তাদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে ১৫২৬ সালে ভারত আক্রমণ করলে পানিপথের প্রথম যুদ্ধে লোদী বংশের শেষ শাসক সুলতান ইব্রাহিম লোদী পরাজিত ও নিহত হন। 

ইব্রাহিম লোদী পরাজয় ও নিহত হওয়ার মাধ্যমে দিল্লিতে তথা ভারতবর্ষে সুলতানি শাসনের অবসান ঘটে এবং মুঘল সাম্রাজ্যের গোড়াপত্তন ঘটে। এ সম্পর্কে ঐতিহাসিক VD Mahajan, "He start well but failed aferward. He was no match for Babar and no wonder he lost the game."

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, সৈয়দ বংশের পতন ঘটিযে লোদী বংশ প্রতিষ্ঠার মধ্যমে যে শতাব্দীকাল ভারতীয় উপমহাদেশে শাসন করে গেছে তার জন্য সত্যিই ইতিহাসের পাতায় স্মরণীয় হয়ে আছে লোদী বংশ। 

সুলতান বাহলুল লোদীর মাধ্যমে লোদী বংশের গোড়াপত্তন ঘটিয়ে সর্বশেষ ইব্রাহিম লোদীর পানিপথের যুদ্ধে নিহত হওয়ার মাধ্যমে তাদের পতন ঘটে। এভাবেই ভারতবর্ষে আফগান সাম্রাজ্যের অবসান ঘটে।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ লোদী বংশের উত্থান পতনের ইতিহাস আলোচনা কর

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম লোদী বংশের উত্থান পতনের ইতিহাস আলোচনা কর। যদি তোমাদের আজকের লোদী বংশের উত্থান পতনের ইতিহাস আলোচনা কর পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ