লোদী বংশ সম্পর্কে লিখ। লোদী বংশের পরিচয় দাও

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো লোদী বংশ সম্পর্কে লিখ। লোদী বংশের পরিচয় দাও জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের লোদী বংশ সম্পর্কে লিখ। লোদী বংশের পরিচয় দাও। আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।

লোদী বংশ সম্পর্কে লিখ। লোদী বংশের পরিচয় দাও
লোদী বংশ সম্পর্কে লিখ। লোদী বংশের পরিচয় দাও

লোদী বংশ সম্পর্কে লিখ। লোদী বংশের পরিচয় দাও

উত্তর : ভূমিকা : লোদী বংশের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন বাহলুল লোদী। বাহলুল লোদী ১৪৫১–৮৯ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত শাসন করেছিলেন। লোদী বংশ প্রতিষ্ঠার জন্য কোনো সংগ্রাম বা যুদ্ধ করতে হয়নি। 

সৈয়দ বংশের শেষ সুলতান আলাউদ্দিন আলম শাহ ছিলেন সৈয়দ বংশের সবচেয়ে অযোগ্য শাসক। তিনি এতই অকর্মণ্য ছিলেন যে, স্বেচ্ছায় বাহলুল লোদীকে শাসনক্ষমতা অর্পণ করেছিলেন। লোদী বংশ ১৪৫১-১৫২৬ খ্রি. পর্যন্ত শাসন করেছিলেন। লোদী বংশের সর্বমোট শাসক ছিল ৩ জন।

→ লোদী বংশের পরিচয় : লোদী বংশ ছিল দিল্লি সালতানাতের শেষ সুলতান বংশ। এই বংশের প্রতিষ্ঠাতা সুলতান বাহলুল লোদী। জাতিগতভাবে তিনি ছিলেন আফগান লোদী উপদলের শাহু মেল শাখার লোক। 

লোদী উপদলভুক্ত আফগান হওয়ায় বাহলুল লোদীর প্রতিষ্ঠিত রাজবংশ লোদী বংশ নামে পরিচিত। এই বংশের তিনজন সুলতান প্রায় ৭৫ বছর শাসনকার্য পরিচালনা করেন ।

স্থায়িত্বের দিক থেকে বিবেচনা করলে লোদী সৈয়দ বংশের শাসন যেমন দীর্ঘস্থায়ী হয়েছিল, তেমনি গুণ বিচারেও এ বংশের শাসন সৈয়দ বংশের তুলনায় অনেকটা উজ্জ্বল ছিল। এই বংশের তিনজন শাসক হলেন- বাহলুল লোদী, সিকান্দার লোদী এবং ইব্রাহিম লোদী ।

১. বাহলুল লোদী (১৪৫১–৮৯ খ্রি.) : বাহলুল লোদী সিংহাসনে আরোহণ করে রাজ্যের অরাজকতা ও অব্যবস্থার অবসান ঘটিয়ে সুলতানি শাসনকে পুনঃসন্ধীভূত করতে চেয়েছিলেন। 

বাহলুল লোদী ও জৌনপুরের শর্কী রাজ্যের মধ্যে দীর্ঘকাল সংগ্রাম চলে। তিনি ১৪৮৯ খ্রিষ্টাব্দের জুলাই মাসে জালালী নামক স্থানে মৃত্যুবরণ করেন ।

২. সিকান্দার লোদী (১৪৮৯-১৫১৭ খ্রি.) : সুলতান বাহলুল লোদীর মৃত্যুর পর তার তৃতীয় পুত্র নিজাম খান ও অপর পুত্র বরবক শাহের উত্তরাধিকারকে কেন্দ্র করে আমির ও অভিজাতগণ দুটি প্রধান দলে বিভক্ত হয়ে পড়েন। 

এ দ্বন্দ্ব শেষ পর্যন্ত পাঠান অভিজাতদের সংখ্যাগরিষ্ঠের সমর্থন নিয়ে নিজাম খান ১৪৮৯ খ্রিষ্টাব্দের ১৭ জুলাই “সিকান্দার শাহ” উপাধি নিয়ে দিল্লির সিংহাসনে আরোহণ করেন। 

সিকান্দার শাহ একজন সুযোগ্য শাসক ছিলেন। তিনি ছিলেন লোদী বংশের শ্রেষ্ঠ সুলতান । তিনি ১৫১৭ খ্রিষ্টাব্দে আগ্রায় মৃত্যুবরণ করেন।

৩. ইব্রাহিম লোদী (১৫১৭-১৫২৬ খ্রি.) : সিকান্দার লোদীর মৃত্যুর পর তার জ্যেষ্ঠ পুত্র ইব্রাহিম “ইব্রাহিম শাহ” উপাধি ধারণ করে ১৫১৭ খ্রিষ্টাব্দের ২১ নভেম্বর সিংহাসনে আরোহণ করেন। ১৫২৬ খ্রিষ্টাব্দের ২০ এপ্রিল পানিপথের যুদ্ধে ইব্রাহিম লোদী নিহত হন। ফলে লোদী বংশের অবসান ঘটে।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, লোদী বংশ মোটামুটি অনেকদিন দিল্লির সিংহাসনে ছিলেন। কিন্তু লোদী বংশের শেষ সুলতান ইব্রাহিম লোদীর প্রশাসনিক দুর্বলতা, তার ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ ও আফগান আমিরদের ক্ষমতা ও প্রতিপত্তি খর্ব করার প্রচেষ্টায় কায়েমী স্বার্থান্বেষী অভিজাতবর্গ সুলতানের প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে উঠেছিল। 

ফলে বাবর দিল্লি আক্রমণ করলে পানিপথের যুদ্ধে ইব্রাহিম লোদী পরাজিত ও নিহত হন। ফলে ভারতে মুঘল সাম্রাজ্যের ভিত্তি স্থাপিত হয়।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ লোদী বংশ সম্পর্কে লিখ। লোদী বংশের পরিচয় দাও

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম লোদী বংশ সম্পর্কে লিখ। লোদী বংশের পরিচয় দাও । যদি তোমাদের আজকের লোদী বংশ সম্পর্কে লিখ। লোদী বংশের পরিচয় দাও পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ