সিকান্দার লোদীর শাসনকাল আলোচনা কর
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো সিকান্দার লোদীর শাসনকাল আলোচনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের সিকান্দার লোদীর শাসনকাল আলোচনা কর । আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।.
সিকান্দার লোদীর শাসনকাল আলোচনা কর |
সিকান্দার লোদীর শাসনকাল আলোচনা কর
- অথবা, সংক্ষেপে সিকান্দার লোদীর রাজত্বকাল বর্ণনা কর।
- অথবা, সিকান্দার লোদীর শাসনকাল সম্পর্কে লিখ।
- অথবা, সিকান্দার লোদীর শাসনকাল উল্লেখ কর।
উত্তর : ভূমিকা : ভারতীয় উপমহাদেশে লোদী বংশের শাসনের ইতিহাস এক গৌরবময় অধ্যায় ছিল। লোদী বংশের যেখানে শুরু সৈয়দ বংশের সেখানে শেষ। লোদী শাসনকালের গৌরবময় ৭৫ বছর শাসন করে ৩ জন শাসক।
তাদের মাঝে অন্যতম ও লোদী বংশের শ্রেষ্ঠ শাসক ছিলেন সুলতান সিকান্দার লোদী। তাকে লোদী বংশের শ্রেষ্ঠ বিজেতা বলা হয়। তিনি প্রায় ২৮ বছর কৃতিত্বের সহিত রাজত্ব করে যান। তার শাসনকালকে লোদী শাসনের শ্রেষ্ঠ সময় বলা হয় ।
→ সিকান্দার লোদীর পরিচয় : সিকান্দার লোদী ছিলেন। লোদী বংশের প্রতিষ্ঠাতা সুলতান বাহলুল লোদীর দ্বিতীয় পুত্র। সিকান্দার লোদীর পিতা আফগানিস্তানে থাকাকালীন সেখানেই তার জন্ম হয়।
সিকান্দার লোদী তার আসল নাম নয়। তার আসল নাম নিজাম খান। তিনি সিকান্দার লোদী নাম ধারণ করে ক্ষমতায় আরোহণ করেন।
১. সিংহাসনে আরোহণ : সুলতান বাহলুল লোদী ১৪৮৮ সালে মৃত্যুবরণ করলে তাঁর একমাত্র যোগ্য ছেলে ছিলেন নিজাম খান। পিতার মৃত্যুর পর লোদী সাম্রাজ্যে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়।
এসব বিদ্রোহে ভীত হয়ে অমাত্যবর্গ নিজামখানকে সিংহাসনে বসার অনুরোধ জানান। জৌনপুরের শাসনকর্তা জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা বরবক্ শাহ কনিষ্ঠ ভ্রাতার আনুগত্য অস্বীকার করে জৌনপুরে স্বাধীনতা ঘোষণা করে ১৪৮৯ সালে সিংহাসনে আরোহণ করেন।
২. জৌনপুরে অভিযান : সিংহাসনে আরোহণ করে সিকান্দার লোদী শাহ প্রথম অভিযান পরিচালনা করেছিলেন বরবক্ শাহের বিরুদ্ধে।
বরবক্ শাহের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে আমিররা বিদ্রোহী হলে সিকান্দার লোদী বরবক্ শাহকে বন্দি করেন এবং তাকে পদচ্যুত করে জৌনপুরে লোদী বংশের আনুগত্য ও প্রাধান্য স্বীকার করতে বাধ্য করেন।
৩. বাংলা অভিযান : সুলতান সিকান্দার লোদী শাসন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে বাংলার দিকে নজর দেন। বাংলা দূরবর্তী হওয়ার পরেও তিনি অনেক সাহসের সাথে অভিযান প্রেরণ করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।
ত্রিহুত ও বিহার বিজয় করে সিকান্দার লোদী বাংলায় আক্রমণ চালান। অবশেষে বাংলার সুলতান হুসেন শাহের সাথে সন্ধি স্থাপন করে দিল্লি প্রত্যারর্তন করেন।
৪. সুলতান সিকান্দার লোদীর কৃতিত্ব : সুলতান সিকান্দার লোদী একজন ক্ষমতাশালী শাসক ছিলেন। তিনি শান্তিশৃঙ্খলা স্থাপনে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তিনি প্রচলিত শাসনব্যবস্থা পরিবর্তন না করে সেগুলোকে সংস্কারসাধন করেন।
তিনি সাম্রাজ্যের কৃষিক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য শস্য কর ও অভ্যন্তরীণ শুল্ক উঠিয়ে দেন। বিদ্রোহ মোকাবিলা করার জন্য গুপ্তচর নিয়োগ, করেন।
সরকারি আয়-ব্যয়ের হিসাব সংরক্ষণের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। এছাড়াও তিনি সাহিত্যানুরাগী ছিলেন এবং গুণী ব্যক্তির পৃষ্ঠপোষকতা করতেন ।
৫. সিকান্দার লোদীর চরিত্র : সুলতান সিকান্দার লোদী ছিলেন নিঃসন্দেহে সর্বাপেক্ষা সক্ষম ও শ্রেষ্ঠ সুলতান। সমসামরিক ঐতিহাসিকগণ লোদীর চরিত্রের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
তিনি ব্যক্তিগতভাবে পরম ধার্মিক ও দয়ালু প্রকৃতির শাসক ছিলেন। তিনি একাধারে বিদ্বান ও ন্যায়বিচারক শাসক ছিলেন। প্রজাদের শান্তির লক্ষ্যে সব রকমের ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।
উপসংহার : উক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায় যে, লোদী বংশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ শাসক ছিলেন সুলতান সিকান্দার লোদী। তার গৌরবময় ২৮ বছর শাসনকাল ছিল শান্তি ও সমৃদ্ধির যুগ।
তাইতো ঐতিহাসিক ভি.ডি. মহাজন বলেন, "He patronised the learned people and himself wrote poetry in Persian. It was under his patronage that main Bhua translated into Persian a saskrite work on medicine know a Tibbi Sikandari."
আর্টিকেলের শেষকথাঃ সিকান্দার লোদীর শাসনকাল আলোচনা কর
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম সিকান্দার লোদীর শাসনকাল আলোচনা কর । যদি তোমাদের আজকের সিকান্দার লোদীর শাসনকাল আলোচনা কর পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো।