খলিফা আল আজিজের অমুসলমানদের প্রতি উদারতা ও সহিষ্ণুতার নীতি আলোচনা কর

খলিফা আল আজিজের অমুসলমানদের প্রতি উদারতা ও সহিষ্ণুতার নীতি আলোচনা কর
খলিফা আল আজিজের অমুসলমানদের প্রতি উদারতা ও সহিষ্ণুতার নীতি আলোচনা কর

খলিফা আল আজিজের অমুসলমানদের প্রতি উদারতা ও সহিষ্ণুতার নীতি আলোচনা কর

  • অথবা, খলিফা আল আজিজের খ্রিস্ট ও ইহুদি ধর্মের প্রজাদের প্রতি সহিষ্ণুতার নীতি বর্ণনা কর। 
  • অথবা, খলিফা আল আজিজের খ্রিস্ট ও ইহুদি ধর্মের প্রজাদের প্রতি সহিষ্ণুতার নীতি লিখ।

উত্তর : ভূমিকা : খলিফা আল আজিজ একজন সুযোগ্য শাসক ছিলেন। তিনি ফাতেমীয় খলিফাদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা জ্ঞানী, দানশীল এবং উদার হৃদয়ের ব্যক্তি ছিলেন। তার আমলে দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা অব্যাহত ছিল। 

মুসলিম ও অমুসলিম উভয় শ্রেণির লোকেরা নির্বিবাদে সুখ-সমৃদ্ধির মধ্যে জীবনযাপন করতেন। তার সময়ে ইহুদি ও খ্রিস্টানদের হস্তক্ষেপে অনেক অবাঞ্ছিত ঘটনার জন্ম দেয়, তারপরও তিনি রাজ্যশাসনে সফল হন।

খলিফা আল আজিজের সহিঞ্চুতার নীতি : ফাতেমীয় খলিফা আল আজিজ একজন উদার ও মহান ব্যক্তি ছিলেন। তিনি তার ঘোরতর শত্রু ইফতিকিনকে ক্ষমতা প্রদর্শন করে মহত্ব ও উদারতার পরিচয় দেন। 

তাঁর অধীনে ইহুদি খ্রিস্টানরা পরম শান্তিতে বাসবাস করতেন। তিনি খ্রিস্টানদের মধ্য হতে ইসা ইবনে নাসতুর নামক একজন ব্যক্তিকে তার উজির পদে নিয়োগ দেন। 

খ্রিস্টান ধর্মযাকজ ইব্রাহীম তার দরবারে প্রভৃতি আনুকূল্য লাভ করেন। তার অনুমতিক্রমে ফুস্তাতের নিকটে একটি গির্জা নির্মাণ করা হয়। 

এছাড়াও মানাসা নামক জনৈক ইহুদিও তার দরবারে উচ্চাসন লাভ করে ছিলেন। ইসা ইবনে নাসতুর ও মানাসার সমবেত চেষ্টায় মিশরে সুদীর্ঘকাল শান্তি অব্যাহত থাকে। 

কিন্তু অমুসলিমদের উচ্চপদ দান করায় মুসলমানদের | মধ্যে তীব্র অসন্তোষ দেখা যায়। তবে খলিফা অত্যন্ত বিচক্ষণতার সাথে এ অসন্তোষ দূর করেন।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ