প্রথম খলিফা হিসেবে ওবায়দুল্লাহ আল মাহদীর চরিত্র ও কৃতিত্ব ব্যাখ্যা কর

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো প্রথম খলিফা হিসেবে ওবায়দুল্লাহ আল মাহদীর চরিত্র ও কৃতিত্ব ব্যাখ্যা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের প্রথম খলিফা হিসেবে ওবায়দুল্লাহ আল মাহদীর চরিত্র ও কৃতিত্ব ব্যাখ্যা কর । আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।

প্রথম খলিফা হিসেবে ওবায়দুল্লাহ আল মাহদীর চরিত্র ও কৃতিত্ব ব্যাখ্যা কর
প্রথম খলিফা হিসেবে ওবায়দুল্লাহ আল মাহদীর চরিত্র ও কৃতিত্ব ব্যাখ্যা কর

প্রথম খলিফা হিসেবে ওবায়দুল্লাহ আল মাহদীর চরিত্র ও কৃতিত্ব ব্যাখ্যা কর

  • অথবা, প্রথম খলিফা হিসেবে ওবায়দুল্লাহ আল মাহদীর চরিত্র ও কৃতিত্ব সংক্ষেপে লিখ ।

উত্তর : ভূমিকা : প্রথম ফাতেমীয় খলিফা হিসেবে ওবায়দুল্লাহ আল মাহদীর বিশেষ কৃতিত্ব হলো ফাতেমীয় খিলাফত প্রতিষ্ঠা করা। 

তিনি ৯০৯ সালে উত্তর আফ্রিকায় কাররোয়ানে আঘলাবীয় বংশের ধ্বংসস্তূপের উপর শিয়া ফাতেমীয় খিলাফাত প্রতিষ্ঠা করেন। এছাড়াও রাজধানী স্থানান্তর ও প্রশাসন কাঠামোর সুদৃঢ়করণে তার অবদান চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

→ শাসক হিসেবে আল মাহদীর কৃতিত্ব : নিচে শাসক হিসেবে ওবায়দুল্লাহ আল মাহদীর কৃতিত্ব তুলে ধরা হলো-

১. খিলাফাত প্রতিষ্ঠা : ফাতেমীয় খিলাফত প্রতিষ্ঠা করা ওবায়দুল্লাহ আল মাহদীর সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব। তিনি আঘলাবীয় ধ্বংসস্তূপের উপর উত্তর আফ্রিকায় আব্বাসীয় খিলাফতের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ৯০৯ সালে শিয়া ফাতেমীয় খিলাফত প্রতিষ্ঠা করেন।

২. বিদ্রোহ দমন : ওবায়দুল্লাহ আল মাহদী সিংহাসনে আরোহণের পর অসংখ্য বিদ্রোহ দেখা দেয়। তিনি কঠোর হস্তে এসব বিদ্রোহ দমন করেন। এভাবে খিলাফতের প্রশাসন কাঠামো সুদৃঢ় করেন । নিচে তার সময়ে গুরুত্বপূর্ণ বিদ্রোহগুলো তুলে ধরা হলো-

(ক) খারিজি বিদ্রোহ : ওবায়দুল্লাহ আল মাহদীর সময়ে খারিজিরা বিদ্রোহ করলে খলিফা তাদের বিরুদ্ধে কাতামা গোত্রের প্রধান সেনাপতি আরুব ইবনে ইউসুফকে প্রেরণ করেন। খারিজিদের এলাকায় ৮ হাজার অধিবাসীকে হত্যা করা হয় ।

(খ) কাতামা বিদ্রোহ : খলিফার সময় কায়রোখানের কাতামগণ বিদ্রোহ শুরু করে। কাতামাদের বিদ্রোহ দমন করার জন্য তদীয় পুত্র আবুল কাসেমকে প্রেরণ করেন।

(গ) ত্রিপলীর বিদ্রোহ : ত্রিপলীর উপনিবেশে ৯১১ সালে বার্বার ও আরবদের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। ত্রিপলীর বিদ্রোহ দমন করার জন্য আবুল কাসেমকে বিশাল নৌবহর দিয়ে প্রেরণ করা হয়।

৩. রাজ্য বিজয় : খিলাফতে আরোহণের পর রাজ্য বিস্তারে ওবায়দুল্লাহ আল মাহদীর অবদান অপরিসীম। নিচে কয়েকটি উদাহরণ তুলে ধরা হলো-

(ক) মাল্টা দখল : ওবায়দুল্লাহ আল মাহদী ৯২০ সালে মাল্টা দখল করেন, যা ভূমধ্যসাগরীয় দ্বীপে অবস্থিত ।

(খ) সিরিয়া জয় : ফাতেমীয় বাহিনী ৯১৫ সালে সিরিয়া জয় করেন ।

(গ) বার্কা দখল : খলিফা ওবায়দুল্লাহ আল মাহদী ৯২০ সালে বার্কা দখল করেন।

(ঘ) কসির্কা দ্বীপ : ৯২০ সালে কসিকা দ্বীপ দখল করা হয় ৷

৪. রাজধানী প্রতিষ্ঠা : ৯২০ সালে খলিফা আল মাহদী কায়রোয়নের ৩৬ মাইল দক্ষিণ-পূর্বে একটি নতুন নগরী প্রতিষ্ঠা করেন এবং তার নাম দেন মাহদীয়া । পরবর্তীতে সেখানে রাজধানী প্রতিষ্ঠা করা হয় ।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, একজন শাসক হিসেবে ওবায়দুল্লাহ আল মাহদীর কৃতিত্ব অপরিসীম। তিনি খিলাফত প্রতিষ্ঠা করেন এবং বিভিন্ন বিদ্রোহ দমন করে প্রশাসন কাঠামো সুদৃঢ় করেন । এছাড়াও তিনি রাজ্য বিস্তারে সক্ষম হন।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ প্রথম খলিফা হিসেবে ওবায়দুল্লাহ আল মাহদীর চরিত্র ও কৃতিত্ব ব্যাখ্যা কর

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম প্রথম খলিফা হিসেবে ওবায়দুল্লাহ আল মাহদীর চরিত্র ও কৃতিত্ব ব্যাখ্যা কর। যদি তোমাদের আজকের প্রথম খলিফা হিসেবে ওবায়দুল্লাহ আল মাহদীর চরিত্র ও কৃতিত্ব ব্যাখ্যা কর পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ