উত্তর আফ্রিকায় ফাতেমীয় খিলাফতে ওবায়দুল্লাহ আল মাহদীর অবদান লিখ

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো উত্তর আফ্রিকায় ফাতেমীয় খিলাফতে ওবায়দুল্লাহ আল মাহদীর অবদান লিখ জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের উত্তর আফ্রিকায় ফাতেমীয় খিলাফতে ওবায়দুল্লাহ আল মাহদীর অবদান লিখ । আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।

উত্তর আফ্রিকায় ফাতেমীয় খিলাফতে ওবায়দুল্লাহ আল মাহদীর অবদান লিখ
উত্তর আফ্রিকায় ফাতেমীয় খিলাফতে ওবায়দুল্লাহ আল মাহদীর অবদান লিখ

উত্তর আফ্রিকায় ফাতেমীয় খিলাফতে ওবায়দুল্লাহ আল মাহদীর অবদান লিখ

উত্তর : ভূমিকা : ফাতেমীয় খিলাফত প্রতিষ্ঠা উত্তর আফ্রিকার ইতিহাসে এক যুগান্তকারী ঘটনা। ফাতেমীয় খিলাফত প্রতিষ্ঠায় ওবায়দুল্লাহ আল মাহদীয় ভূমিকা অনস্বীকার্য।

→ ফাতেমীয় খিলাফতে ওবায়দুল্লাহ আল মাহদীর অবদান : উত্তর আফ্রিকায় ফাতেমীয় খিলাফত প্রতিষ্ঠায় ওবায়দুল্লাহ আল মাহদী বে অবদান রাখেন, তা নিম্নে আলোচনা করা হলো :

১. রাজধানী পরিবর্তন : ওবায়দুল্লাহ আল মাহদীর সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব ছিল ফাতেমীয়দের জন্য রাজধানী নির্মাণ ।বার্বার সেনাবাহিনী থেকে রক্ষার জন্য রাজধানী স্থানান্তর করা হয়েছিল। 

৯২০ খ্রিস্টাব্দে কায়রোয়ানের ১৬ মাইল দক্ষিণে উপকূল অঞ্চলে তিনি তার নামানুসারে মাহদীয়া নগরী নির্মাণ করেন।

২. কাতামা বিদ্রোহ দমন : একটা প্রভাবশালী গোত্রের নাম হলো কাতামা । রাজ্যশাসন প্রারম্ভে এ গোত্র প্রাধান্য লাভ করলে আরবদের সাথে তাদের শত্রুতা বাধে। যার ফলে কায়রোয়ানে দাঙ্গা বাধে। 

উক্ত দাঙ্গায় কাতামা গোত্রের ১০০০ লোকেরা মৃত্যু হলে এ গোত্র বিক্ষুব্ধ হয় অবশেষে মাহদী এবং তার ছেলে আবুল কাসেম কর্তৃক বহু কষ্টে কাতামা বিদ্রোহ দমন করতে সক্ষম হয়।

৩. শিয়া ও সুন্নি ইসলামের সমন্বয় : মূলত ওবায়দুল্লাহ আল | মাহদী শিয়া মতবাদে বিশ্বাসী ছিলেন। আর এ অঞ্চলে তখন | সংখ্যাগরিষ্ঠ সুন্নি মতাদর্শীরা তার শিয়া মতবাদের শাসন মেনে | নিতে চাইলেন না। তাই তিনি বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে শিয়া ও সুন্নী মুসলমানদের মধ্যে সমন্বয়সাধন করেন।

৪. খারেজী বিদ্রোহ দমন : যখন ফাতেমীয় খিলাফত অস্বীকার করে মুহাম্মদ ইবনে খাজাকে আমির হিসেবে ঘোষণা করা হয় তখন ওবায়দুল্লাহ আল মাহদী সেনাপতি আরুব ইবনে ইউসুফকে প্রেরণ করে তিনদিন অবরোধ করে এবং আট হাজার অধিবাসীকে হত্যা করে খারেজী বিদ্রোহ দমন করা হয়।

৫. কার্মাতীয়ান ও হাজরে আসওয়াদ : কার্মাতীয়ানরা হাজরে আসওয়াদ পাথরটি তাদের রাজধানীতে নিয়ে যায় । অতঃপর পাথরটি যথাস্থানে বসানোর জন্য ওবায়দুল্লাহ আল মাহদী কার্মাতীয়ানদের নিকট তিনি পত্র প্রেরণ করেছিলেন।

উপসংহার : উপরোক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায়, ওবায়দুল্লাহ আল মাহদী ফাতেমীয় খিলাফতের প্রতিষ্ঠা হিসেবে স্মরণীয় হয়ে আছেন। নব প্রতিষ্ঠিত সাম্রাজ্যের স্থায়িত্ব বিধানে তার অবদান অনস্বীকার্য।

কেননা, সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করার পর তার অভ্যন্ত রের এবং বহিঃ শত্রুর হাত থেকে উক্ত সাম্রাজ্য রক্ষার জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করতে হয়। ওবায়দুল্লাহ আল মাহদী দক্ষতার সাথেই তার শাসনামলে সেই কার্যক্রম পরিচালনা করেন ।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ উত্তর আফ্রিকায় ফাতেমীয় খিলাফতে ওবায়দুল্লাহ আল মাহদীর অবদান লিখ

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম উত্তর আফ্রিকায় ফাতেমীয় খিলাফতে ওবায়দুল্লাহ আল মাহদীর অবদান লিখ। যদি তোমাদের আজকের উত্তর আফ্রিকায় ফাতেমীয় খিলাফতে ওবায়দুল্লাহ আল মাহদীর অবদান লিখ পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ