শশাঙ্কের শ্রেষ্ঠত্ব আলোচনা কর । শশাঙ্কের শ্রেষ্ঠত্ব সম্পর্কে সংক্ষেপে ব্যাখ্যা কর

শশাঙ্কের শ্রেষ্ঠত্ব আলোচনা কর । শশাঙ্কের শ্রেষ্ঠত্ব সম্পর্কে সংক্ষেপে ব্যাখ্যা কর
শশাঙ্কের শ্রেষ্ঠত্ব আলোচনা কর । শশাঙ্কের শ্রেষ্ঠত্ব সম্পর্কে সংক্ষেপে ব্যাখ্যা কর

শশাঙ্কের শ্রেষ্ঠত্ব আলোচনা কর । শশাঙ্কের শ্রেষ্ঠত্ব সম্পর্কে সংক্ষেপে ব্যাখ্যা কর

উত্তর : ভূমিকা : প্রাচীন বাংলা ও বাঙালির ইতিহাসে শশাঙ্ক এক গৌরবের আসন অধিকার করে আছেন। তিনি নিজ দক্ষতা ও যোগ্যতাবলে ৭ম শতকে বাংলার ইতিহাসকে সাফল্যমণ্ডিত করেছেন।

শশাঙ্কের রাজত্বকালে যে সব যুদ্ধ-বিগ্রহ সংঘটিত হয়। সেসব যুদ্ধে শশাঙ্ক শ্রেষ্ঠত্বের পরিচয় দেন। শাসক হিসেবে শশাঙ্কের প্রকৃতি বিশ্লেষণ করলে তার শ্রেষ্ঠত্ব সম্পর্কে ধারণা লাভ করা যায়। 

→ শশাঙ্কের শ্রেষ্ঠত্ব : নিচে শশাঙ্কের শ্রেষ্ঠত্ব সম্পর্কে আলোচনা করা হলো :

১. দক্ষ সেনানায়ক : শশাঙ্ক ছিলেন একজন দক্ষ সেনানায়ক | তিনি নিজে সেনাবাহিনীর সাথে যুদ্ধ ময়দানে উপস্থিত থেকে যুদ্ধে অভিনব কৌশল অবলম্বন করে যুদ্ধ পরিচালনা করতেন।

২. দক্ষ শাসক : শাসক শশাঙ্ক শুধুমাত্র রাজ্য জয়েই ব্যস্ত | ছিলেন না বরং বিজিত রাজ্যে সুষ্ঠুভাবে শাসনকার্য পরিচালনার জন্য তিনি বিভিন্ন ধরনের প্রশাসনিক পদ্ধতির উদ্ভব ঘটান ।

৩. প্রজাহিতৈষী শাসক : শশাঙ্ক একজন প্রজাহিতৈষী শাসক ছিলেন। তার প্রচেষ্টায় কর্ণসুবর্ণ একটি সম্পদশালী শহরে পরিণত হয়েছিল। 

তিনি সেচ ব্যবস্থার সুবিধার্থে দিঘি খনন করেন। সে মেদিনীপুরের দণ্ডভুক্তি অঞ্চলের দিঘি তার এ প্রচেষ্টার সাক্ষ্য বহন করে।

৪. সুচতুর কূটনীতিবিদ : শশাঙ্ক ছিলেন একজন সুচতুর ও দক্ষ কূটনীতিবিদ । তিনি তার কূটনৈতিক বলের মাধ্যমে মৌখরি রাজার উচ্ছেদ সাধন করতে সক্ষম হন। 

তাঁর এ কূটনৈতিক বলেই সমসাময়িক রাজা হর্ষবর্ধনের সাথে মোকাবিলাতেও নিজস্ব প্রভাব প্রতিপত্তি তিনি ধরে রাখতে সক্ষম হন।

৫. পরধর্ম সহিষ্ণু : শশাঙ্ক নিজের শিবের অনুসারী হওয়া সত্ত্বেও পরধর্মের প্রতি তিনি ছিলেন খুবই উদার। হিউয়েন সাৎ শশাঙ্ককে বৌদ্ধ বিদ্বেষী বলে মন্তব্য করেছেন মূলত তা ঠিক নয়। 

তবে স্বীকৃত সত্য এই যে, শশাঙ্ক শিবের উপাসক বা পৃষ্ঠপোষকতা করায় বৌদ্ধ ধর্মের প্রভাব কিছুটা হ্রাস পায়। আর এ দ্বারা শশাঙ্কের বৌদ্ধ বিদ্বেষ মনোভাব ফুটে ওঠে।

৬. ন্যায়পরায়ণ শাসক : তিনি ছিলেন একজন ন্যায়পরায়ণ শাসক। তিনি কখনও অন্যায় প্রশ্রয় দিতেন না। আইনের চোখে সবাই সমান তিনি এ নীতিতে বিশ্বাসী ছিলেন।

উপসংহার : পরিশেষে একথা বলা যায় যে, ৭ম শতকে প্রাচীন বাংলার ইতিহাসে শশাঙ্ক একটি আলোড়ন সৃষ্টিকারী নাম । বাংলাকে বিশ্বের দরবারে একটি শক্তিশালী স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে তুলে ধরার যাবতীয় কৃতিত্ব শশাঙ্কের । 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ