ধর্মপালের বৌদ্ধধর্ম প্রচার ও প্রসারে ভূমিকা আলোচনা কর
ধর্মপালের বৌদ্ধধর্ম প্রচার ও প্রসারে ভূমিকা আলোচনা কর |
ধর্মপালের বৌদ্ধধর্ম প্রচার ও প্রসারে ভূমিকা আলোচনা কর
- অথবা, বৌদ্ধধর্ম প্রসারে ধর্মপালের অবদান কি ছিল?
উত্তর : ভূমিকা : পালবংশের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা ধর্মপাল বৌদ্ধধর্মের অনুসারী ছিলেন। পাল সাম্রাজ্য তিনি যেমন কৃতিত্বের সাথে পরিচালনা করেন তেমনি বৌদ্ধধর্ম প্রচারেও কৃতিত্ব দেখিয়েছেন।
→ বৌদ্ধধর্ম প্রচার ও প্রসারে ধর্মপালের ভূমিকা : পিতার ন্যায় ধর্মপালও বৌদ্ধধর্মের উদার পৃষ্ঠপোষকতা করে সুখ্যাতি অর্জন করেন ।
নিম্নে বৌদ্ধধর্ম প্রচারে তাঁর অবদান আলোকপাত করা হলো :
১. মগধে বিক্রমশীল বিহার প্রতিষ্ঠা : ধর্মপাল সম্রাট আকবরের ন্যায় নিজ ধর্মের পৃষ্ঠপোষকতা করেন এবং মগধে বিক্রমশীল বিহার প্রতিষ্ঠা করেন। এ বিহারে বিভিন্ন সময়ে অধ্যাপনার জন্য ১১৪ জন অধ্যাপক নিযুক্ত ছিলেন।
২. মথুরা কলেজ নির্মাণ : ধর্মপাল বৌদ্ধধর্ম ও অন্যান্য বিষয়ে অধ্যায়নের জন্য বিখ্যাত মথুরা কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। এই কলেজের কৃতিত্ব নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো দেশ বিদেশে ছড়িয়ে পড়ে। মথুরা কলেজে ১১৪ জন শিক্ষক নিয়োগ করেন এবং সেখানে ৩৩৭ টি মন্দির ছিল।
৩. সোমপুর বিহার নির্মাণ : ধর্মপাল অশোকের মতো বৌদ্ধধর্মের উদার পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। তিনি রাজশাহী বিভাগের বর্তমান নওগাঁ জেলার সোমপুর মহাবিহার প্রতিষ্ঠা করেন। এ বৌদ্ধধর্ম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি সমগ্র ভারতবর্ষের মধ্যে সর্ববৃহৎ বৌদ্ধ বিহার ।
৪. ওদগুপুরে বিহার নির্মাণ : ধর্মপাল সম্ভবত ওদণ্ডপুরেও একটি বৌদ্ধ বিহার নির্মাণ করেছিলেন লামাতারনাথের মতে, ধর্মপাল ধর্ম শিক্ষার জন্য ৫০টি শিক্ষাকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, পালবংশের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা ধর্মপাল তাঁর চল্লিশ বছর রাজত্বকালে অসংখ্য বৌদ্ধ বিহার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্মাণ করেন।