পাল শাসনকে কয়টি স্তরে বিভক্ত করা যায় এবং কী কী

পাল শাসনকে কয়টি স্তরে বিভক্ত করা যায় এবং কী কী
পাল শাসনকে কয়টি স্তরে বিভক্ত করা যায় এবং কী কী

পাল শাসনকে কয়টি স্তরে বিভক্ত করা যায় এবং কী কী

  • অথবা, পাল শাসনের স্তরগুলো কী কী?

উত্তর : ভূমিকা : পাল শাসন প্রতিষ্ঠা প্রাচীন বাংলার ইতিহাসের এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। চার শত বছরব্যাপী বাংলায় পাল শাসকগণ কৃতিত্বের সাথে পালবংশ পরিচালনা করেন। 

বাংলার সামাজিক প্রেক্ষাপট, রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট, অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট এক নতুন ধারায় পরিবর্তিত হয়। যার সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন পাল শাসকগণ ।

→ পাল শাসনের স্তরসমূহ : নিচে পাল শাসনের স্তরসমূহ সম্পর্কে আলোকপাত করা হলো :

১. পাল শাসনের প্রথম স্তর : ৭৫০ খ্রিষ্টাব্দে গোপাল পালবংশ প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি শুরু থেকে বিশ বছর অর্থাৎ ৭৫০-৭৭০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত রাজ্য শাসন করেন। 

এ সময়ে ধর্মপাল ও দেবপালও রাজ্য শাসন করেন। তাছাড়া বিগ্রহপাল, রাজ্যপাল, দ্বিতীয় গোপাল প্রমুখ ও রাজ্য শাসন করেন তবে তারা ততটা উল্লেখযোগ্য ছিলেন না।

২. পাল শাসনের দ্বিতীয় স্তর : প্রথম মহীপাল পাল শাসনের দ্বিতীয় স্তরের সর্বশ্রেষ্ঠ শাসক। তিনি রাজ্য শাসন করেছিল ৯৮৮- ১০৩৮ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত, এছাড়া ন্যায়পাল, তৃতীয় বিগ্রহপাল প্রমুখ সে সময় কার শাসক ছিলেন।

৩. পাল শাসনের তৃতীয় স্তর : দ্বিতীয় মহীপাল হচ্ছে পাল শাসনের তৃতীয় স্তরের শাসক। তাঁর শাসনকালে কৈবর্ত বিদ্রোহের ফলে পাল সাম্রাজ্যের সূর্য প্রায় অস্তমিত হয়েছিল। 

পাল সাম্রাজ্যের শেষ শাসক ছিলেন রামপাল। তিনি দ্বিতীয় মহীপালের পর রাজ্যের সিংহাসনে বসেন। রামপাল পাল রাজ্যশাসন কৃতিত্বের সাথে করেছিলেন।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, পাল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার পেছনে যেসব শাসকগণের নাম ঐতিহাসের অগ্রভাগে লেখা থাকবে তাদের মধ্যে সর্বাপ্রথমে আসবে গোপাল এবং সর্বশেষ শাসক রামপাল । রামপালের মৃত্যুর পর পাল সাম্রাজ্য বিলীন হয়ে যায়। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ