রাজা ত্রৈলোক্যচন্দ্র কিভাবে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েছিলেন

রাজা ত্রৈলোক্যচন্দ্র কিভাবে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েছিলেন
রাজা ত্রৈলোক্যচন্দ্র কিভাবে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েছিলেন

রাজা ত্রৈলোক্যচন্দ্র কিভাবে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েছিলেন

  • অথবা, রাজা ত্রৈলোক্যচন্দ্রের ক্ষমতা গ্রহণ আলোচনা কর।

উত্তর : ভূমিকা : নবম শতাব্দীর শেষভাগ হতে দক্ষিণপূর্ব বাংলার চন্দ্রবংশ নামে একটি শক্তিশালী রাজবংশের উল্লেখ পাওয়া যায়। দীর্ঘ দিন যাবৎ এ রাজবংশের ইতিহাস অজ্ঞাত ছিল। 

কিন্তু সাম্প্রতিককালে কুমিল্লার ময়নামতিতে তিনখানি, ঢাকায় একখানি ও সিলেটের পশ্চিমভাগে প্রাপ্ত একখানি তাম্রশাসন থেকে এ বংশের শাসন সম্পর্কে বিস্তরিত জানা যায়। এ বংশটি দীর্ঘ দেড়শত বছর শাসনকার্য পরিচালনা করেছিল ।

→ রাজা ত্রৈলোক্যচন্দ্র : প্রকৃতপক্ষে কে চন্দ্রবংশ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন সে সম্পর্কে সঠিকভাবে জানা যায় না। কেউ কেউ বলেছেন পূর্ণচন্দ্র এ বংশ প্রতিষ্ঠা করেছে। 

আবার অনেকে বলেছেন ত্রৈলোক্যচন্দ্র এ রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। তবে ত্রৈলোক্যচন্দ্র নিজ শক্তি ও বুদ্ধিমত্তার দ্বারা এ ক্ষুদ্র রাজবংশকে সুবিস্তৃত করতে সক্ষম হন একথা সত্য । 

লিপি অনুযায়ী জানা যায় যে, ত্রৈলোক্যচন্দ্র চন্দ্রদ্বীপের এবং হরিকেলের অধিপতি ছিলেন। ত্রৈলোক্যচন্দ্র একজন স্বাধীন ও পরাক্রান্ত রাজা ছিলেন। 

তবে অনেক ঐতিহাসিক বলেছেন যে, তিনি সামন্ত রাজা ছিলেন।কারণ তিনি মহারাজা ধিরাজ ছিলেন। সিলেট জেলার অন্তর্গত পশ্চিমভাগে প্রাপ্ত তাম্রশাসন থেকে জানা যায় যে, ত্রৈলোক্যচন্দ্র বঙ্গ ও সমতট জয় করেন। 

টাকার তাম্রশাসন থেকে জানা যায় যে, ত্রৈলোক্যচন্দ্র গৌড়ও জয় করেছিলেন। ত্রৈলোক্য চন্দ্র প্রায় ২৫ – ৩০ বছর রাজত্ব করেছিলেন।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, চন্দ্রবংশের স্থায়িত্ব রক্ষার্থে ত্রৈলোক্যচন্দ্রের অবদান অনস্বীকার্য। তিনি ছিলেন চন্দ্রবংশের একজন শ্রেষ্ঠ শাসক। 

তার সময় বাংলায় চরম উন্নতি সাধিত হয়েছিল। তাই ইতিহাসের পাতায় ত্রৈলোক্যচন্দ্রের নাম স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ থাকবে। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ