পল্লী উন্নয়নে কুমিল্লা মডেল কি । পল্লি উন্নয়নে কুমিল্লা মডেল সম্পর্কে আলোচনা কর

পল্লী উন্নয়নে কুমিল্লা মডেল কি । পল্লি উন্নয়নে কুমিল্লা মডেল সম্পর্কে আলোচনা কর
পল্লী উন্নয়নে কুমিল্লা মডেল কি । পল্লি উন্নয়নে কুমিল্লা মডেল সম্পর্কে আলোচনা কর

পল্লী উন্নয়নে কুমিল্লা মডেল কি । পল্লি উন্নয়নে কুমিল্লা মডেল সম্পর্কে আলোচনা কর

উত্তর : ভূমিকা : বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার শতকরা ৮০ জন লোক গ্রামে বাস করে। তাই বাংলাদেশকে গ্রামপ্রধান দেশ বলা হয়। গ্রামের উন্নয়নই দেশের প্রকৃত উন্নয়ন। 

এজন্য পল্লি উন্নয়নে নানাবিধ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। তম্মধ্যে কুমিল্লা সমবায় সমিতি, যা পল্লি উন্নয়নে 'কুমিল্লা মডেল' হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে এ সংস্থাটি গ্রামীণ জনগণের উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রেখে চলেছে।

পল্লি উন্নয়নে ‘কুমিল্লা মডেল : তৎকালীন পাকিস্তান সরকার ১৯৫৯ সালে পূর্বপাকিস্তান প্রদেশে (বর্তমান বাংলাদেশ) কুমিল্লা পল্লি উন্নয়ন একাডেমি প্রতিষ্ঠা করে। 

এর উদ্দেশ্য ছিল V-AIDV (Village-Agricultural and Industrial Development) কর্মসূচির কর্মীদের প্রশিক্ষণ দান। স্বাধীনতার পর প্রতিষ্ঠানটি Bangladesh Academy for Rural Development (BARD) বা বার্ড নামে পরিচিত পায়। 

১৯৬০ সালে উক্ত একাডেমির পক্ষ থেকে পল্লি এলাকার সমস্যা চিহ্নিতকরণ ওসমাধানে গবেষণা, মানব সম্পদ উন্নয়ন এবং পল্লি জনগোষ্ঠী সংগঠিত করা এ তিনটি লক্ষ্যকে ঠিক রেখে কুমিল্লা সমবায় সমিতি নামে কৃষি সমবায় গড়ে তোলা হয়। পরবর্তীকালে এ সমিতিই 'কুমিল্লা মডেল' নামে পরিচিতি লাভ করে। 

এ সমবায় সমিতির মূল লক্ষ্যগুলো হলো—

ক. কৃষিকে আধুনিকায়ন করা,

খ. সুদি মহাজনির হাত থেকে কৃষকদের রক্ষা করা, 

গ. স্থানীয় সমস্যা সমাধানে পল্লি জনগোষ্ঠীকে সংগঠিত করা, 

ঘ. সঞ্জয় বাড়িয়ে কৃষকদের মূলধন সৃষ্টি করা এবং 

ঙ. গ্রামেগঞ্জে সমবায় সমিতি গড়ে তুলে কৃষিপণ্য সংরক্ষণ করা । 

কুমিল্লা সমবায় সমিতির কার্যাবলি : যেকোনো সমিতি বা সমবায় সমিতিকে নানাবিধ কার্যসম্পাদন করতে হয়। তেমনি কুমিল্লা সমবায় সমিতিকেও নিম্নলিখিত কার্যাদি সম্পাদন করতে হয় : 

১. সমবায় সদস্যদেরকে সমিতি গঠন ও পরিচালনার প্রশিক্ষণ দান, 

২. সকল সদস্যদের সঞ্চয় বাধ্যতামূলক যা পরবর্তীকালে মূলধন সৃষ্টিতে সাহায্য করে,

৩. সকল সদস্যদের প্রয়োজনে তহবিল থেকে ঋণ প্রদান, 

৪. সদস্য কৃষকদের প্রয়োজনীয় কৃষি উপকরণ সরবরাহ করা এবং 

৫. সদস্যদের কৃষি উপকরণ যেমন— সার, বীজ, কীটনাশক,

কৃষি যন্ত্রপাতি সরবরাহ করার পাশাপাশি কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধিতে কৃষি প্রশিক্ষণ দান করে থাকে ।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, উপরিউক্ত কার্যাবলি থেকে বুঝা যায় যে, সত্যিকার মডেল হওয়ার উপযুক্ত কুমিল্লা সমবায় সমিতি । সারা দেশের গ্রামেগঞ্জে কুমিল্লা মডেলকে বিস্তৃত করতে পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। 

ফলে পল্লিবাসী স্বনির্ভর ও অর্থনৈতিকভাবে - উন্নত হয়ে উঠবে। যা আমাদের জাতীয় আয় বৃদ্ধিতে বিশেষ ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে এবং অর্থনীতির ভিত মজবুত করবে। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ