ফাইভার ডটকম কি | Fiverr এ কি কি কাজ পাওয়া যায়

বন্ধুরা আজকে আমরা শিখব ফাইভার কি বা ফাইভার একাউন্ট কি? কিভাবে ফাইভার একাউন্ট তৈরি করে? ফাইভার গিগ কি? ফাইভার গিগ কিভাবে তৈরি করবেন?  বায়ার রিকুয়েস্ট পাবেন কখন? নতুনদের জন্য ফাইভার রুলস এবং কিভাবে ফাইভার থেকে আয় করবেন | Fiverr এ কি কি কাজ পাওয়া যায় - একাউন্ট করা থেকে ইনকাম পর্যন্ত পুরোপুরি বিস্তারিত আলোচনা করব।

ফাইভার ডটকম কি? - কিভাবে ফাইভার থেকে আয় করবেন এবং একাউন্ট করা থেকে ইনকাম পর্যন্ত বিস্তারিত


ফাইভার

ফাইভার একটি অনলাইন মার্কেট প্লেস ফ্রিলেন্সারদের জন্য। ২০১০ সালে ইসরাইলের একটি কোম্পানি এটি প্রতিষ্ঠা করে। যা বিশ্বব্যাপী সেবা প্রদান করে এবং ২০১২ সালের তথ্য মতে তাদের ৩০ লক্ষ সেবা নথিবদ্ধ হয়। প্রতিষ্ঠাতা মিকা কাফম্যান এবং শাই উইনারারের দ্বারা এটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং ফেব্রুয়ারি২০১০ এ এটি চালু করা হয়েছিল।

Fiverr এ কি কি কাজ পাওয়া যায় | ফাইভার ডট কম কী?

ফাইভার হলো এমন একটি সাইট যেখান থেকে আপনি আপনার কাজ বিক্রির মাধ্যমে আয় করতে পারবেন। এখানে আপনি আপনার যেকোন সার্ভিস 5 ডলারের বিনিময়ে বিক্রয় করতে পারবেন। আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ পারেন। তো সেক্ষেত্রে আপনি যে কোন লোগো ডেজাইন, টি শার্ট ডেজাইন করে দেওয়ার মাধ্যমে আয় করতে পারেন।

ধরেন আপনি একটা টি শার্ট ডিজাইন করলেন তার বিনিময়ে আপনি ৫ ডলার পাবেন । যদি কোন বায়ার ইউটুবের জন্য থাম্বনাইল তৈরী করাতে চায় তাহলে সে ৫ ডলারের বিনিময়ে আপনাকে দিয়ে কাজটি করিয়ে নিতে পারে। ইউটুবের থাম্বনাইল ছাড়াও এখানে কাজের বিভিন্ন ক্যাটাগরী রয়েছে। যেমন:-

১,ডিজিটাল মার্কেটিং
২, গ্রাফিক্স ডিজাইন
৩, রাইটিং 
৪, ভিডিও এডিটিং
৫, প্রোগ্রামিং
৬,  ডাটা এন্ট্রি
৭, বিজনেস
৮, লাইফ স্টাইল

 ইমেইল মার্কেটিং করেও আয় করতে পারেন।
ইউটুব ভিডিও এস ই ও [SEO]এর কাজ করার মাধ্যমে আয় করতে পারেন। ওয়েব এস ই ও [SEO] করে আয় করতে পারেন।  ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভ করেও আপনি আয় করতে পারেন। ফাইভারে আপনি ছোট বড় সব কাজ করে আয় করতে পারবেন


কিভাবে ফাইভার একাউন্ট তৈরি করবেন?

আমরা অনেকেই হয়তো জানিনা কিভাবে ফাইভারে অ্যাকাউন্ট খুলতে হয়। অনেকে হয়তো অ্যাকাউন্ট খোলার ভয়ে অনলাইনে কাজ শুরুই করতে পারি না। ফাইভারে অ্যাকাউন্ট খোলা মোটেও কঠিন কোনো কাজ নয়। আমরা অনলাইনে অনেক জায়গায় অ্যাকাউন্ট খুলে থাকি। তেমনি ফাইভারেও খুব সহজে কম সময়ে আমরা একটি অ্যাকাউন্ট তৈরী করে নিতে পারি। এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়লে আপনিও আপনার নিজের জন্য ফাইভারে একটি অ্যাকাউন্ট খুলে আজ থেকেই টাকা আয় করা শুরু করতে পারবেন।


ফাইভারে একাউন্ট খুলবেন যেভাবে


প্রথমে আপনার ল্যাপটপ বা কম্পিউটারের কোনো একটা ব্রাউজার ওপেন করে অ্যাড্রেস বারে www.fiverr.com লিখে এন্টার চেপে তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন। ফাইভারের ওয়েবসাইটে গেলে আপনি নিচের চিত্রের মতো করে হোমপেজটি দেখতে পাবেন।


কিভাবে ফাইভার একাউন্ট তৈরি করবেন?



হোমপেইজের মধ্যে উপরে কর্ণারে একটি বক্সে “Join” লিখা বাটনটিতে ক্লিক করুন। ক্লিক করার পর নিচের ছবির মতো করে একটি পেইজ আসবে।


কিভাবে ফাইভার একাউন্ট তৈরি করবেন?

আপনার কাজের সুবিধার জন্য ব্রাউজারে নতুন আরেকটি ট্যাব ওপেন করে সেটাতে আপনার ব্যবহৃত ইমেইল অ্যাকাউন্টটি ওপেন করে রাখুন। আবার ফাইভারের পেইজটিতে ফিরে আসুন। এখানে আপনাকে আপনার ইমেইল অ্যাড্রেস লিখতে বলা হয়েছে। আপনার সক্রিয় ইমেইল অ্যাড্রেসটি লিখে “Continue” বাটনে ক্লিক করুন। এখন নিচের ছবির মতো একটি পেইজ আপনার সামনে আসবে।


কিভাবে ফাইভার একাউন্ট তৈরি করবেন?

এখানে প্রথম বক্সে আপনাকে একটি ইউজার নেম পছন্দ করতে বলা হয়েছে। অর্থাৎ আপনাকে এমন একটি ইউজার নেম এখানে ব্যবহার করতে হবে যা এখানে আগে কেউ ব্যবহার করেনি। সহজ ভাবে বলতে গেলে ইউজার নেমটি ইউনিক হতে হবে। পরবর্তি বক্সে আপনাকে একটি পাসওয়ার্ড পছন্দ করতে বলা হয়েছে। এখানে কয়েকটা শর্ত দেয়া আছে। পাসওয়ার্ডটি অবশ্যই আটটি ক্যারেকটার বা এর বেশি হতে হবে এবং পাসওয়ার্ডে অবশ্যই বড় হাতের ও ছোট হাতের অক্ষরসহ নাম্বারও ব্যবহার করতে হবে। তবেই এটি গ্রহণযোগ্য হবে।


ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ড দেয়া শেষ হলে “Join” বাটনে ক্লিক করুন। এখন ফাইভারে আপনার অ্যাকাউন্ট অ্যাক্টিভ করার জন্য আপনার কাছে একটি ই-মেল আসবে। আপনার ই-মেল অ্যাড্রেসে প্রবেশ করলে নিচের চিত্রের মতো করে একটি ইমেইল আপনি দেখতে পাবেন।


কিভাবে ফাইভার একাউন্ট তৈরি করবেন?


এই ই-মেলে যেখানে লিখা আছে “Active Your Account” সেখানে ক্লিক করে আপনার অ্যাকাউন্টটি অ্যাক্টিভ করুন। অ্যাকাউন্ট অ্যাক্টিভ হওয়ার পর নিচের ছবির মতো একটি পেইজ আসবে। যেখানে আপনার অ্যাকাউন্ট অ্যাক্টিভ হয়েছে বলে একটি মেসেজ দেয়া থাকবে।

কিভাবে ফাইভার একাউন্ট তৈরি করবেন?

এখন আপনি ফাইভারের একজন সদস্য হয়ে গেলেন। কিন্তু আপনার কাজ এখানেই শেষ না। আপনাকে এখন নিজের প্রোফাইল আপডেট করতে হবে। এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনি আপনার সম্পর্কে সব সঠিক তথ্য দিবেন। কারণ, কোনো রকম ভুয়া তথ্য দিলে প্রাথমিকভাবে হয়তো কোনো সমস্যা হবে না। কিন্তু পরবর্তিতে আপনার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিতে পারে।


তাই সাবধানতা বজায় রাখার জন্য আপনি আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা জন্ম সনদ অনুযায়ী আপনার প্রোফাইল আপডেট করতে পারেন। প্রোফাইল আপডেট করতে ড্যাশবোর্ড অপশনে যান। সেখানে যাওয়ার পর নিচের চিত্রের মতো করে একটি পেইজ আসবে।


কিভাবে ফাইভার একাউন্ট তৈরি করবেন?

এখানে বলেছে আপনার প্রোফাইলটি এখনো সম্পূর্ণ নয়। তাই এখানে ক্লিক করে আপনার প্রোফাইল আপডেট করতে বলা হয়েছে। ক্লিক করার পর, আপনি দেখবেন যে নিচের ছবির মতো একটি পেইজ আপনার সামনে আসবে।


কিভাবে ফাইভার একাউন্ট তৈরি করবেন?


দেখুন এখানে আপনাকে প্রথমেই আপনার ছবি আপলোড করতে হবে। এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার নিজের ছবি আপলোড করুন। অনেকেই ভাবছেন নিজের ছবি না দিয়ে অন্য কোনো ছবি দিলেও তো সমস্যা নেই। কিন্তু না, সমস্যা আছে!!!

হয়তো আপনি অন্য কোনো ছবি আপলোড করতে পারবেন। কিন্তু আপনি নিজেই একবার ভেবে দেখুন আপনি যদি কাউকে কাজ দিতে চান আর তার প্রোফাইলে যদি নিজের ছবিই দেয়া না থাকে তাহলে আপনার কি তার উপর ভরসা হবে? আপনি তো তাকে ফেইক ভাবতে পারেন।

তাই বলছি নিজের ছবিই আপলোড করুন, এতে আপনার কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে। তারপর লেখা আছে “What’s your story in one line?”। এখানে আপনাকে নিজের সম্পর্কে এক লাইন লিখতে বলা হয়েছে। এখানে কখনোই আপনার নাম, ঠিকানা, বাবার নাম এসব লিখতে যাবেন না। কারণ আপনার সম্পর্কে এসব জানার কোনো প্রয়োজন নেই তাদের।

তাহলে এখানে কি লিখবেন? এখানে আপনি লিখবেন আপনি কি ধরনের কাজ জানেন এবং আপনি কি কি সেবা প্রদান করতে চান। আর অবশ্যই আপনি যে-সব কাজ জানেন তার একটি করে আউটপুট আপলোড করতে পারবেন যা আপনার প্রোফাইলে দেখাবে সবসময়। এর ফলে যারা আপনাকে কাজ দিবে তারাও আপনার কাজ সম্পর্কে আগে থেকেই একটা ধারণা পেয়ে যাবেন।

এখন ডানে দেখুন লিখা আছে “Create a New Gig”। এটা দেখে ভয় পাবার কিছু নেই, গিগ কিভাবে তৈরী করবেন তা এখানে ক্লিক করার পর একটা ভিডিও টিউটোরিয়ালের মাধ্যমে আপনাকে শিখিয়ে দেয়া হবে। এছাড়া এখানে আপনার ইংরেজী ভাষার উপর দক্ষতা তারা জানতে চেয়েছে। আপনার পড়াশুনা, কোন কাজে আপনি পারদর্শী, কোনো সার্টিফিকেট আছে কিনা এসব বিষয়ে জানতে চেয়েছে। এখানে আপনি চাইলে আপনার “Facebook, Google, Dribbble, Stack Overflow, Linkedin” এ-সব অ্যাকাউন্ট কানেক্ট করতে পারেন।

উপরের সবগুলো কাজ করে থাকলে আপনার অ্যাকাউন্ট এখন সম্পূর্ণ। আপনি এখন থেকেই কাজ শুরু করতে পারেন। কাজ শুরু করার জন্য আপনার ফাইভার অ্যাকাউন্টটিতে প্রবেশ করুন। এখানে একটি অপশন আছে “Buying ”। এখানে ক্লিক করে আপনি আপনার দক্ষতা অনুযায়ী অনেক কাজ খুঁজে পাবেন।

অনলাইনে আয় করার যত ক্ষেত্র আছে, ফাইভার হলো অন্য সবগুলোর থেকে সহজবোধ্য। এখানে কোনো ঝামেলা ছাড়াই অ্যাকাউন্ট খোলা যায় আর অনেক কাজ করার সুযোগ পাওয়া যায়। যারা এই পেশায় নতুন তাদের জন্য ফাইভার অন্যতম। এছাড়াও আপনি আপনার স্মার্টফোনে ফাইভারের অ্যাপ ডাউনলোড করে সহজেই ব্যবহার করতে পারবেন। এভাবে আপনি ফাইভারে কাজ করার মাধ্যমে অনলাইন থেকে টাকা উপার্জন করতে পারবেন।


আরো পড়ুনঃ




ফাইভার গিগ কি?


গিগ হলো আপনার অফার করা একটি সার্ভিস এর নাম। প্রাথমিক ভাবে ফাইবার আপনার গিগটির মূল্য $৫ ডলারে অফার বা বিক্রি করছে কাস্টমারের / বায়ারের কাছে এবং আপনাকে গিগটি তৈরির সময় আপনার দেওয়া শর্ত অনুসারে সম্পন্ন করতে হবে।

আপনি কী ধরনের কাজ করেন, তার ওপর নির্ভর করে আপনার গিগ সাজাতে পারেন। মনে রাখবেন, একটা ভালো গিগ আপনার ভাগ্য ঘুরিয়ে দিতে পারে

গিগ তৈরি করার সময় আমাদের কিছু কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে। আসলে আমরা অনেকেই জানি যে টাইটেল হচ্ছে গিগের মুল অংশ। আর এটা একজন বায়ারের কাছেও খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আপনি যদি টাইটেল না ব্যবহার করেন তাহলে বায়ার আপনার গিগ খুঁজে পাবেনা। আর আপনাকে এমন একটি টাইটেল ব্যবহার করতে হবে যেনো টাইটেলটা দেখেই ভিজিটর আপনার গিগ ভিজিট করে দেখে।

তার পরের বিষয় নিয়ে যদি আমি কথা বলি তাহলে বলবো গিগে আপনি আপনার সেরা ৮-১০টি ডিজাইন দিয়ে গিগ তৈরী করবেন। এক্ষেত্রে আপনাকে ভালো মানের গিগ তৈরি করা শিখতে হবে। সেজন্য আপনি ভালো রকমের ডিজাইনারের প্রোফাইল ঘুরে দেখতে পারেন।




ফাইভার গিগ কিভাবে তৈরি করবেন?

ফাইভারে গিগ তৈরি করতে হলে প্রথমে ভাবতে হবে আপনি কি ধরনের কাজ করবেন। তার উপর ভিত্তি করে গিগ তৈরি করতে হবে। কাজের ভিন্নতার কারনে গিগেও কিছুটা ভিন্নতা আসতে পারে। মনে রাখবেন একটি ভালো গিগ আপনার ভাগ্যটাকে বদলে দিতে পারে। তাই গিগ তৈরি করতে হবে অত্যন্ত যত্ন সহকারে। প্রথমে খেয়াল রাখতে হবে টাইটেলের দিকে। কারন টাইটেল হচ্ছে গিগের মূল কান্ডারী। টাইটেল যদি ভালো হয় তবে বায়ার সহজে আপনার গিগ দেখবে এবং কাজ পাওয়ার সম্ভবনা বেড়ে যাবে। তারপর অন্যান্য ৪/৫ টি গিগ দেখে ধারনা নিয়ে সুন্দর একটি গিগ তৈরি করুন। মনে রাখাবেন কারো গিগ দেখে হুবহু কপি করার চেষ্টা করবেন না। তাহলে ফাইভার আপনাকে সাসপেন্ড করে দিতে পারে।

এবার আসুন মূল কাজে। প্রথমে ফাইভারে আপনাকে প্রোফাইল তৈরি করতে হবে। অর্থাৎ রেজিষ্ট্রেশন করে আইডি তৈরি করতে হবে এবং ভেরিফাই করতে হবে। তারপর ক্রেয়েট গিগে যেতে হবে। তখন নিচের মতো একটি ইন্টারফেস দেখতে পাবেন। একটি পূর্নাঙ্গ গিগ তৈরি করতে গেলে ফাইভার আপনাকে ৬টি পেজের একটি লিস্ট দিবে। এই ৬টি টপিক আপনাকে সঠিক ভাবে ফুলফিল করে পাবলিশ করতে হবে। ইন্টারফেসে টিক মার্ক দেওয়া টপিক গুলোর কাজ সঠিক ভাবে সম্পূর্ন করতে হবে। নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

Fiverr Gig Create Page :


1. Overview :

এখানে লাল তীর চিহ্ন দেওয়া Gig Title এ আপনি যে বিষয়ে গিগ তৈরি করতে চান তা 80 কেরেক্টারের মধ্যে লিখতে হবে। কোন শব্দ দুইবার লেখা উচিত না। বাক্যটি অবশ্যই যথাযুক্ত অর্থবোধক হতে হবে। Category থেকে আপনার বিষয় সংশ্লিষ্ট ক্যাটাগরি সিলেক্ট করে দিন। Service Type থেকে আপনার সার্ভিস রিলেটড ক্যাটাগরি সিলেক্ট করে দিন। তারপর Gig Metadata থেকে ইন্ডাসটিরি এক্সপারটিসে বিভিন্ন ক্যাটাগরি টিক চিহ্ন দিন। Language সিলেক্ট করে দিন। তারপর একেবারে নিচে Search Tags থেকে আপনার গিগ রিলেটেড ট্যাগ লিখে দিন। এখানে সর্বোচ্চ ৫টি ট্যাগ লিখতে পারবেন। তারপর Save বাটনে ক্লিক করুন।

ফাইভার গিগ কিভাবে তৈরি করবেন?



2. Pricing :

এখানে আপনার প্যাকেজ নির্ধারন করে দিতে হবে। Basic, Standard, Premium কোন প্যাকেজে কি পরিমান কাজ কত ডলারের বিনিময়ে করে দিবেন তা লিখুন। ডেলিভারি টাইম কত দিন হবে তা সিলেক্ট করে দিন। অন্যান্য সুবিধা কি কি দিবেন তা টিক চিহ্ন দিয়ে দিন। মনে রাখবেন কাজের সময়টা দু-এক দিন বেশী নেওয়া ভালো। তাতে আপনার কাজ করে দিতে সুবিধা হবে। তারপর সেভ বাটনে ক্লিক করুন।



ফাইভার গিগ কিভাবে তৈরি করবেন?



3. Description & FAQ :

এখানে আপনার কাজের যোগ্যতা কি আছে এবং এই কাজের গুনাগুন কি বা উপকারিতা কি ইত্যাদি বিষয়ে ৪/৫ লাইনের মধ্যে বর্ননা লিখুন। তারপর কি কি সার্ভিস দিবেন তা পয়েন্ট আকারে লিখুন। এছাড়া আপনার সার্ভিসের বিশেষত্ব কি কি আছে লিখুন। ডিসক্রেপশন নিজের থেকে লিখুন কারো থেকে কপি করার চেষ্টা করবেন না। আর সার্ভিস টাইপ গুলো অন্যান্য গিগ দেখে আগে পিছে কিছু লেজ লাগানোর চেষ্টা করুন। Add FAQ এ কিছু লিখতে হবে না। তারপর সেভ বাটনে ক্লিক করুন।


ফাইভার গিগ কিভাবে তৈরি করবেন?

4. Requirements :

রিকোয়ারমেন্টসে আপনার কাজের সুবিধার্থে কি কি প্রয়োজন তা লিখে বায়ারকে জানাতে হবে। যেমন : Website Link, Title, Description, Tag/keyword, Image ইত্যাদি লিখুন। তবে আপনার বিষয় অনুযায়ী রিকুয়ারমেন্ট ভিন্ন ভিন্নও হতে পারে। এ গুলো বায়ার তার Attachment ফাইলের মাধ্যমে আপনাকে সরবরাহ করবে। এ গুলো আপনার বিষয় রিলেটেড কাজের ক্ষেত্রে প্রয়োজন পড়বে। তারপর সেভ বাটনে ক্লিক করুন।


ফাইভার গিগ কিভাবে তৈরি করবেন?


5. Gallery :

গিগ গ্যালারীতে দুই ধরনে রিকুয়ারমেন্ট উপস্থাপন করা যায়। এক, ভিডিও দুই, থাম্বনিল বা ফটো। তবে নতুন সেলারদের ভিডিও এর প্রয়োজন নেই। শুধু একটি থাম্বনিল বা ফটো আপলোড দিলেই হবে। ব্রাউজ করে আপনি আপনার কম্পিউটার থেকে একটি থাম্বনিল আপলোড করুন। থাম্বনিলের মাপ হতে হবে 550 Px by 370 Px সাইজ। থাম্বনিলের একটি সেম্পল নিচে তুলে ধরা হলো। আপনি আপনার বিষয় রিলেটেড থাম্বনিল তৈরি করে আপলোড করবেন। তারপর সেভ বাটনে ক্লিক করুন।

ফাইভার গিগ কিভাবে তৈরি করবেন?
ফাইভারে নতুন প্রোফাইল এবং গিগ তৈরি করে পাবলিশ করার পর সেটা সার্চ লিস্টে শো করতে ৭২ ঘণ্টা সময় লাগে। তবে ভাগ্য ভাল হলে অনেকের টা সাথে সাথেই সার্চ রেজাল্টে চলে আসে। সার্চ রেজাল্টে আসার পর সেটা রেঙ্কিং ঠিক করা এবং সেখান থেকে প্রথম অর্ডার পাওয়ার জন্য একটু অপেক্ষা করা লাগে। কারো জন্য সেই অপেক্ষা ১-২ দিন, কারো ১০-১৫ দিন বা কারো হয়তো ৬ মাসের বেশি। সব কিছু আপনার ভাগ্য এবং পারিপার্শ্বিক অন্যান্য বিষয় মিলে বিবেচিত হয়। আমি প্রথম অর্ডার পেয়েছিলাম ১৩ দিনের মাথায়।

তবে আপনি ইচ্ছে করলেই এতদিন অপেক্ষা না করেও যেদিন গিগ পাবলিশ করেছেন সেদিন থেকেই  হয়তো আপনার অর্ডার পাওয়া শুরু করতে পারেন। আর সেটা হল Buyer Request এর মাধ্যমে। আমার প্রথম অর্ডারসহ এখন পর্যন্ত সবগুলো অর্ডারই আমি Buyer Request থেকে পেয়েছি। Buyer Request এ কিভাবে এপ্লাই করবেন সেটা জানার জন্য ইউটিউবে অসংখ্য ভিডিও আছে। একটু খুঁজে দেখে নিতে পারেন। How to send buyer request in fiverr লিখে সার্চ দিলেই হবে।

তবে নতুনদের জন্য এটা বিরাট একটা সমস্যা! আমি নিজেও যখন নতুন ছিলাম তখন অনেক কিনফিউসনে থাকতাম এই বিষয় নিয়ে। বিভিন্ন গ্রুপ ঘুরে, গুগোল ঘেঁটে, ফাইভারে বিভিন্ন ফরামে ঘুরে অবশেষে সমস্যার সমাধানে এসেছি।


ফাইভার বায়ার রিকোয়েস্ট - বায়ার রিকুয়েস্ট পাবেন কখন?

সাধারনত আমেরিকায় সকালে, দুপুরে, সন্ধায় ওরা জব পোষ্ট করে। সেই অনুযায়ী ওদের সকাল মানে আমাদের সন্ধ্যা ৬-৯ টা, ওদের দুপুর বা লাঞ্চ আওয়ার মানে আমাদের রাত ২-৩ টা, ওদের সন্ধ্যা বা রাত মানে আমাদের সকালে ৯-১০ টা। তবে বেষ্ট হল আমরা আমাদের সময়ে সন্ধ্যায়ই রিকুয়েস্ট সেন্ড করার ট্রাই করবো। তখনই বেশি পাওয়া যায়।

বায়ার রিকুয়েস্টে কখনোই রবোটিক টাইপ কিছু লিখবেন না। মানে টেক্সট পড়লেই যেন মনে না হয় যে এটা রোবট লিখছে। এরকম রিকুয়েস্ট হাজারটা পাঠালেও লাভ হবে না।

সবার আগে মনোযোগ দিয়ে বায়ার কি লিখেছে সেটা পড়ুন। সে কি কাজ করাতে চাচ্ছে সেটা আগে বুঝুন। আপনি সেই কাজ ভাল মতো পারেন কিনা সেটা দেখুন। কাজ টি তার কতদিনের মধ্যে লাগবে সেটা দেখুন। সব কিছু দেখে যদি বুঝেন যে আপনি পারবেন তাহলে এবার রিকুয়েস্টে এপ্লাই করেন।


বায়ার রিকুয়েস্টে কি লিখবেন?


এমন কিছু যেটা আর বাকি ১০ জনের থেকে আলাদা। এমন কিছু যেটা চোখে পড়া মাত্র রবোটিক মনে হবে না। এমন কিছু যেটা পরে বায়ার আপনার প্রোফাইলে আসতে বাধ্য হবে। যেটা দেখে মনে হবে আপনি আসলেই বায়ারের কি রিকুয়েস্ট ছিল সেটা মনোযোগ দিয়ে পড়েই তার কাজের জন্য এপ্লাই করেছেন।
এগুলোর যথাযথ না থাকলেই বায়ার আপনার পাঠানো প্রপোজাল না পড়েই বাদ দিয়ে দিবে। কারন আপনি বাকিদের মতই একই ধরনের কমন লেখা লিখছেন।


নিচের Buyer Request টি খেয়াল করেন-

I am interested in preparing a two-sided brochure that contains a conference schedule, map, and notes section. I have example design. Can you turn this around in one-two days in psd format?



এখানে বলা হচ্ছে যে তার ডাবল সাইডের একটা Brochure ডিজাইন লাগবে কোন একটা কনফারেন্স শিডিউল এর জন্য এবং সেটা তার ১/২ দিনের মধ্যেই লাগবে। সাথে সে একটা স্যাম্পল ডিজাইন এড করে দিয়েছে যেটা দেখে আপনি আইডিয়া পাবেন তার কি রকম ডিজাইন পছন্দ।


এখন আপনি কি লিখবেন?

Hi I am তমুক। I can do your work. please give me the order. I am new please give the order. I will satisfy you with my work. হেন তেন হাবি যাবি ব্লা ব্লা ব্লা… এভাবে লিখে কোন লাভ নাই। এভাবে লিখি বলেই ঘোড়ার ডিম পাই। কাজ আর পাই না।

আপনি লিখতে পারেন এভাবে…

Hi, I just saw your job post that you are looking for a DOUBLE Side BROCHURE for your conference Schedule. I have seen your attachment. I can make that brochure design within a FEW HOURS. And I will charge (আপনার বাজেট লিখবেন) for that. If its ok for you then please INBOX ME for further discussion. I will be happy to help you. Here’s my portfolio: (আপনার পোর্টফলিও লিঙ্ক দিবেন) Thank you.


এরকম ভাবে লিখলে বায়ার বুঝবে যে আপনি আসলেই তার লিখা ভাল মতো পড়েছেন। তখন সে আপনাকে নক করতে বাধ্য যদি আপনার কপাল ভাল হয়। আপনার লেখায় প্রধান যে বিষয় গুলো সেগুলো Capital Letter এ লিখে দিবেন যেমন টা আমার উপরের লেখায় আছে। তাতে মেইন জিনিস গুলো বায়ারের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে। যেমন- সময়, বাজেট, কি ডিজাইন করবেন, আপনাকে ইনবক্স করতে বলা এসব জিনিস Capital করে দিবেন।

আরেকটা সমস্যা হল ফাইভারে বায়ার রিকুয়েস্ট বেশিক্ষণ থাকে না। তাই এত কিছু লিখে সাথে সাথে সেন্ড করা সম্ভব হবে না। তাই আপনি আগে থেকেই এরকম ৩/৪ টা ডেমো টেক্সট লিখে ওয়ার্ড ফাইলে সেভ করে রাখতে পারেন। রিকুয়েস্ট পড়ে সেই মতো শুধু ডিজাইনের নাম আর সময় বা বাজেট এগুলো পরিবর্তন করে সেন্ড করে দিবেন কপি পেস্ট করে। কিভাবে সেন্ড করবেন সেটার জন্য ভিডিও দেখার কথা শুরুতেই বলেছিলাম।

তবে একই টেক্সট এক নাগারে অনেক দিন ব্যাবহার করবেন না। লেখার ধরন চেঞ্জ করবেন। একই কথা অন্য ভাবে ঘুরায় লিখে নতুন করে আবার ৩/৪ টা তৈরি করবেন। হতে পারে সেটা ১৫ দিন পর বা এক মাস পর।

বায়ার কে Sir/ Madam কিছু বলার দরকার নাই। সে আপনার Boss না যে তাকে Sir/Madam ডেকে ডেকে মুখে ফেনা তুলে ফেলবেন। Hi বা Hi there বা Hello দিয়ে শুরু করতে পারেন। বায়ার কে Boss নয় বন্ধুর মতো ভাবুন। তাহলে কাজ করতে সুবিধা হবে।

সবশেষে বলবো ইংলিশে ভাল হতে হবে। ইংলিশ বোঝা এবং ইংলিশে লেখার জন্য যত টুক ভাল হওয়া প্রয়োজন ঠিক ততটুকই ভাল হতে হবে। তার চেয়ে বেশি হতে পারলে আরও ভাল। কারন আপনি সুন্দর বায়ার রিকুয়েস্ট লিখলেন কিন্তু তাতে ১০১ টা গ্রামাটিকেল ভুল করে আছেন। তখন কোন লাভ হবে না কিন্তু। বায়ার আপনার ভুল ইংলিশ দেখেই দৌড় দিবে সে আপনি তারে কাজ মাগনা করে দেয়ার অফার ই দেন না কেন! সো ইংলিশ এখানে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

আরেকটা কথা আমি যে ডেমো টেক্সট লিখে দিলাম এটাই আবার সবাই কপি পেস্ট করে দেয়া শুরু করবেন না কিন্তু।  এটার মতো করে নিজের ব্রেইন কাজে লাগিয়ে নিজের মতো করে কিছু লিখবেন।



নতুনদের জন্য ফাইভার রুলস 2021 বা ফাইভার টিপস

নতুনদের জন্য ফাইভার রুলস 2021 বা ফাইভার টিপস
Fiverr এ কি কি কাজ পাওয়া যায়



ফাইবারে নতুনরা কাজ করতে নেমে অনেকেই অনেক সমস্যা ফেস করেন আবার অনেকেই ফাইবারে হিডেন রুলসগুলো জানেন না। এক্ষেত্রে অনেকেই শুরুতেই ধাক্কা খেয়ে যান।
আজকে সেইসব পয়েন্টগুলো তুলে ধরব যেগুলো মেনে চললে ফাইবারে লং টাইম কাজ করতে পারবেন।


 ১. প্রথমেই আসি ফাইবার প্রোফাইল নিয়ে। ফাইবার প্রোফাইল তার নামেই খুলবেন যার ভোটার আইডি বা পাসপোর্ট আছে। কারন যেকোন সময় ভ্যারিফিকেশনে পড়তে পারেন।



 ২. ফাইবারে যদি আপনি লং টাইম কাজ করার জন্য আসেন তাহলে ফাইবারে কোন দুই নাম্বারি করা যাবে না। ফাইবারে গিগ যেহেতু একটা প্রোডাক্টের মত। প্রোডাক্ট যত আকর্ষনীয় করে তুলবেন তত সেল হবে। ফাইবারে গিগের ইমেজ বা ড্রেসক্রিপশন কখনই কারও কপি করা যাবে না। হ্যা আপনি অন্যদের দেখে আইডিয়া নিতে পারেন তাই বলে কপি করতে পারবেন না। নাছাড়া অনেকদূর এগিয়ে যাওয়ার পর একদিন দেখবেন আপনার গিগ রিমুভ।



 ৩. ফাইবারে অনেক ক্যাটাগরির গিগ রিমুভ করে দিয়েছে যেগুলা অবৈধ কাজের মধ্যে পড়ে যেমন ইউটিউব লাইক,সাবস্ক্রাইব, রিভিউ ইত্যাদি। তাই অবশ্যই ইউনিক বিষয়ে গিগ খুলবেন নাছাড়া অনেকদূর যাওয়ার পর দেখবেন একদিন গিগ রিমুভ।



৪. গ্রুপে অনেক পোস্ট দেখি যে আমি ইংরেজী ভালো পারি না কিন্তু কাজ পারি তাহলে কি আমি ফাইবারে কাজ করতে পারব? উত্তরটা আপনার কাছেই আছে। সাপোস আপনি কাজ পারেন আপনার কাছে একজন জার্মান ক্লায়েন্ট আসছে তার সাথে যদি জার্মান ভাষায় কথা বলতে না পারেন তাহলে আপনি তার থেকে কাজ বুঝে নেবেন কিভাবে আর করবেন কিভাবে। তেমনি ইংলিশ বিষয়টাও সেম। কাজ করার ক্ষেত্রে কমুনিকেশন রাখাটা খুব জরুরী আপনি কাজ না বুঝে নিতে না পারলে কাজ কখনই করতে পারবেন না। আর ইংলিশ বোঝার জন্য একবার একে একবার ওকে নক দিতে তো পারেন না। আর গুগল ট্রান্সলেট কখনই ১০০% রাইট আউটপুট দেয় না। 
সো আপনার যদি মনে হয় আপনি ইংলিশ পারেন না। তাহলে ২-৩ মাস ইংলিশ শিখুন অন্তত কমুনিকেশন এর মত ইংলিশ জানলেও চলবে। ব্যাপারটা এমন না যে ফাইবারে আপনি ২-৩ মাস পর আসলে কাজ ফুরাই যাবে বা কাজ পাবেন না। 
ফাইবারে গিগ খুলে ডাইরেক্ট খুব কম অর্ডার পাওয়া যায়। কারন বায়াররা নিউ সেলারদের উপর তেমন ভরসা করতে পারে না। বায়াররা সময় নষ্ট করতেও চায় না তাই তারা বেশি রিভিউ থাকা গিগগুলোতেই ডাইরেক্ট অর্ডার বেশি করে। সাপোস আপনি এমাজনে যখন একটা প্রোডাক্ট কিনতে যাবেন তখন আপনি নিজেও কিন্তু ভালো রিভিউ প্রোডাক্ট দেখেই কিনবেন। গ্রুপে রেগুলার পোস্ট দেখি গিগ খুলেছি অর্ডার পাই না। তাদের উত্তরটাই এতক্ষন দিলাম। তাহলে অর্ডার পাবেন কিভাবে? অর্ডার পেতে হলে ডেইলি ১০টা ইউনিউকভাবে বায়ার রিকুয়েস্ট করতে হবে। যদি কপি পেস্ট বায়ার রিকুয়েস্ট করেন অর্ডার পাবেন না। আমি বলব না কিভাবে করবেন। জাস্ট বায়ারের জায়গায় নিজেকে বসান আর ভাবুন আপনাকে কিভাবে বললে আপনি প্রোডাক্টটা কিনতেন উত্তর পেয়ে যাবেন। গিগে যখন অনেক রিভিউ আসবে আস্তে আস্তে তখন ডাইরেক্ট গিগ থেকে অর্ডার পাওয়া শুরু করবেন। গিগ খুলেই যদি ৩-৪দিন পর গ্রুপে পোস্ট দ্যান ভাই গিগ খুলছি অর্ডার পাচ্ছি না কি করব তাহলে তো হল না। অনেকে ২-৩ মাস পরও প্রথম অর্ডার পেয়েছিল। ধৈর্যশক্তি আপনার মধ্যে না থাকলে ফ্রিলান্সিং আপনার দ্বারা হবে না। 
 নতুনদের জন্য বায়ার রিকুয়েস্ট করার জন্য ৮০% সাকসেস রেট থাকতে হবে। সো আপনি অর্ডার পেয়েছেন কিন্তু দেখছেন বায়ার হ্যাপি না তখন ক্যানসিল করে দিন।



৫. প্রথম দিকে আপনার টার্গেট থাকবে প্রতিটা অর্ডারে ফাইবস্টার আনা কারন উপরে আমি লিখে দিয়েছি ৮০% সাকসেস না থাকলে বায়ার রিকুয়েস্ট করতে পারবেন না। তাই ফোকাস কাজের দিকে দিবেন। আর যত কষ্ট হউক বায়ারকে ফুল স্ট্যাটিস্ফাইড করবেন। একটা প্রোফাইল দাড় করাতে হলে প্রথম দিকে অনেক কষ্ট করতেই হবে।



৬. বায়ারের সাথে ইমেইল, স্কাইপি কোনরকম যোগাযোগের মাধ্যম শেয়ার করার ইচ্ছাটাও মনে রাখা যাবে না। মনে রাখবেন ফাইবার আপনার থেকেও অনেক চালাক। বায়ার আপনার সাথে বাইরে যোগাযোগ করতে চাইলে তাকে স্পষ্টভাবে বলেদিন এইটা ফাইবার রুলস ব্রেক করবে তাই আমাদের এখানেই কথা বলতে হবে। কাজের প্রয়োজনে বায়ার আপনাকে ইমেইল দিতে পারে সেক্ষেত্রে সমস্যা নেই।


৭. কাজের প্রয়োজনে কিছু কিছু ওয়ার্ড ব্যবহার করার সময় মধ্যে গ্যাপ দিবেন। যেমন আপনি ওয়েব ডিজাইনে কাজ করেন এক্ষেত্রে পেপাল পেমেন্ট সেট করার জন্য বায়ারের পেপাল একাউন্ট দরকার বা ইমেইল দরকার সেক্ষেত্রে pa ypal, e mail লিখবেন। আর অনেকেই বায়ারকে বাইরে যোগাযোগ করা যাবে না জন্য outside of fiverr এইটা একসাথে লিখেন এইটা করবেন না। কথাটা এভাবে লিখতে পারেন। Sorry fiverr doesn't support to talk outside. So we have to talk here. ফাইবারে এখন রিউভিউ নিয়ে অনেক কড়াকড়ি। তাই রিভিউ চাওয়ার ক্ষেত্রে সাবধান হবে। যদি দেখেন বায়ার আপনার কাজে সন্তুষ্ট তাহলে ডেলিভারিতে লিখে দিবেন যে, আমার কাজ আপনার যদি ভালো লাগে 5* রিভিউ দিতে ভুলবেন না এইটা আমার অনলাইন ক্যারিয়ার গড়তে অনেক সহায়তা করবে।



 ৮. বায়ার মানে হল লক্ষী। বায়ারের সাথে ভালো বন্ধুত্বপূর্ন সম্পর্ক তৈরী করুন। বায়ারকে কিছু এক্সট্রা সুবিধা দিন এতে বায়ার আপনাকে ছাড়া অন্য কোন সেলারের কাছে যাবে না লিখে দিতে পারি। কাজ শেষে ম্যাসেজে তাকে ধন্যবাদ দিন। তার নেক্সটে কোন হেল্প লাগলে আপনাকে যেন নক দেয় বলে দিন। এছাড়া অর্ডার কমপ্লিট হওয়ার পর যদি বায়ার নক করে আপনাকে কিছু হেল্প করে দিতে যদি বলে করে দিন। এতে বায়ার খুশি হবে। আমি নিজেই অনেক করে দেই। ম্যাক্সিমাম বায়ারের কাছে একটা কথা শুনেছি যে তাদের অর্ডার কমপ্লিট হওয়ার পর কোন দরকার হলে সেলারকে নক দিলে ঠিক মত রিপ্লে দেয় না। এই কাজ করবেন না এতে বায়ার আপনার কাছে আর আসবে না। বায়াররা সব সময় হেল্পফুল আর ট্রাস্টেড মানুষ খুজে।



৯. কোন বায়ার যদি আপনাকে খারাপ রিভিউ দেয় এর জন্য তাকে ইনবক্সে বা ফাইভার সাপোর্ট এ ভুলেও নক দেবেন না। আপনি রিসলুশন থেকে ডাইরেক্ট রিভিউ মডিফাইড এর রিকুয়েস্ট করতে পারেন ডিটেইলস লিখে।



১০. ভেজাল টাইপের বায়ার এড়িয়ে চলুন। আপনাকে সব সময় মাথা কুল রাখতে হবে বায়ার যাই আচরন করুক না কেন। আগেই বলছি আপনার কাজ না পছন্দ হলে ক্যানসিল করে দিবেন নাছাড়া বায়ার সাপোর্টে রিপোর্ট করলে আপনি ওয়ার্নিং খাবেন।



১১. ইন্ডিয়ান , পাকিস্তান ক্লায়েন্ট একদম ই না। বিশেষ করে ইন্ডিয়ানরা নিউ সেলারদের টার্গেট করে। তাই কাজের লোভে তাদের ফাদে পা বাড়াবেন না।



১২. সব সময় অন টাইমের মধ্যে ডেইলিভারি দিবেন। আর যারা গ্রাফিক্সে কাজ করেন ভুলেও ফাকা ডেলিভারি দিবেন না। কিছু না কিছু এটাচ করে দেবেন।



১৩. যদি কখনও দেখেন বায়ার অর্ডার করছে কিন্তু প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট দেয় নাই এইদিকে বায়ার অনলাইনেও আসে না সময় শেষ হয়ে যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে অর্ডার সময় শেষ হওয়ার ৩০ মিনিট আগে ডেলিভারি দিবেন। আর লিখে দিবেন যে, আমি আপনার রেস্পন্স এর জন্য অপেক্ষা করছিলাম না আপনি মে বি ব্যস্ত আছেন। অর্ডার ডেলিভারি সময় শেষ হয়ে যাচ্ছিল তাই আমি ডেলিভারি দিয়েছি। আপনি যখন অনলাইনে আসবেন তখন রিভিশনে ক্লিকে করে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট দিবেন প্লিজ। 


 
১৪. খুব প্রয়োজন না হলে ভুলেও কখনও সাপোর্টে নক দিবেন না।



১৫. যে গিগে অর্ডার পেয়েছেন ভালো রিভিউ পেয়েছেন সেই ইডিট করবেন না। সর্বপরি আপনাকে ফাইবারে ওনেস্টলি ফাইবারের সব রুলস মেনে চলে কাজ করতে হবে। ফাইবারে সব সময় মনে করতে হবে বায়ার ঠিক আপনি ভুল। বায়ারদের সাথে কখনই বেশি ক্যাচাল করতে যাবেন না কারন তাতে আপনার ই ক্ষতি হবে। ফাইবার সব সময় বায়ারের পক্ষে তাই যা করার বুঝে শুনে করতে হবে। দুই নাম্বারি করে বেশিদিন কখনই টিকে থাকতে পারবেন না। হার্ড ওয়ার্কাররা কখনও পড়ে থাকে না। আপনাকে জাস্ট একটা জিনিস মনে রাখতে হবে। আশে পাশে আপনাকে কেউ হেল্প করবে না ডাইরেক্টলি। তাই যা করার আপনাকেই করতে হবে। 


আরো পড়ুনঃ



Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ