আমার ছেলেবেলা রচনা | আমার শৈশব স্মৃতি রচনা

প্রশ্নঃ আমার ছেলেবেলা রচনা | আমার শৈশব স্মৃতি রচনা রচনা লিখ। 

আমার ছেলেবেলা রচনা - প্রিয় শিক্ষার্থী ভাই বোনেরা তোমাদের জন্য আমার শৈশব স্মৃতি রচনা নিয়ে আসছি। তোমরা যাতে খুব সহজে এখান থেকে পড়তে পারো আমার ছেলেবেলা রচনা। এখন প্রায় সব পরিক্ষায় আমার ছেলেবেলা রচনা আসে। 

আমার ছেলেবেলা রচনা  আমার শৈশব স্মৃতি রচনা
আমার ছেলেবেলা রচনা  আমার শৈশব স্মৃতি রচনা

তোমরা সবাই জানো শৈশব স্মৃতি কি। তোমাদের যদি কারো জানা না থাকে তাহলে নিচের আমার শৈশব স্মৃতি রচনা পড়লেই তোমরা ভালো ভাবে জেনে যাবে। ক্লাস ৬ থেকে ১০ম শ্রেনী পর্যন্ত সবাই এই আমার শৈশব স্মৃতি রচনা পড়তে পারবে। কোনো রকম সমস্যা হবে না আমার ছেলেবেলা রচনা টি পড়তে ও লিখতে। তোমরা যেকোন পরিক্ষায় এই আমার ছেলেবেলা রচনা টি লিখতে পারবে। রচনাটি পড়ার আগে জেনে নাও প্রবন্ধ রচনা লেখার নিয়ম। আমার ছেলেবেলা রচনা রচনা টিতে কি কি থাকতেছে তা সুচিপত্রে দেখে নেই।

আমার ছেলেবেলা রচনা

আমরা তিনটি বালক একসজো মানষ হইতেছিলাম। আমার সঙ্গীদটি আমার চেয়ে ই বইয়ে যখন গুরুমহাশয়ের কাছে পড়া আরম্ভ করিলেন আমারও শিক্ষা সেই সময়ে শুরু হইল, মনেও নাই।

কেবল মনে পড়ে, জল পড়ে পাত নড়ে। তখন ‘কর খল’ প্রভৃতি বানানের তুফান। পাইয়াছি। সেদিন পড়িতেছি, ‘জল পড়ে পাতা নড়ে।' আমার জীবনে এইটেই আদিকবির প্রথম কবিতা। সেদিনের আনন্দ আজও যখন মনে পড়ে তখন বুঝিতে পারি কবিতার মধ্যে মিল জিনিসটার এ এস"শ" কেন। মিল আছে বলিয়াই কথাটা শেষ হইয়াও শেষ হয় না। তাহার বক্তব্য যখন ফুরায় তখনাে তাহা """" ফরায় না, মিলটাকে লইয়া কানের সঙ্গে মনের সঙ্গে খেলা চলিতে থাকে। এমনি করিয়া ফিরিয়া """ আমার সমস্ত চৈতন্যের মধ্যে জল পড়িতে ও পাতা নড়িতে লাগিল।

এই শিশুকালের আর-একটা কথা মনের মধ্যে বাঁধা পড়িয়া গেছে। আমাদের একটি অনেক কালের খাজাঞ্চি ছিল, কৈলাস মুখুজ্যে তাহার নাম। সে আমাদের ঘরের আত্মীয়েরই মতাে। লােকটি ভারি রসিক। সকলের। সঙ্গেই তাহার হাসি-তামাশা। বাড়িতে নূতন সমাগত জামাতাদিগকে সে বিদ্রুপে কৌতুকে বিপন্ন করিয়া তুলিত।

সেই কৈলাস মুখুজ্যে আমার শিশুকালে অতি দ্রুতবেগে মস্ত একটা ছড়ার মতাে বলিয়া আমার মনােরঞ্জন করিত। সেই ছড়াটার প্রধান নায়ক ছিলাম আমি এবং তাহার মধ্যে একটি ভাবী নায়িকার নিঃসংশয় সমাগমের আশা অতিশয় উজ্জ্বলভাবে বর্ণিত ছিল। এই যে ভুবনমােহিনী বধূটি ভবিতব্যতার কোল আলাে করিয়া বিরাজ করিতেছিল, ছড়া শুনিতে শুনিতে তাহার চিত্রটিতে মন ভারি উৎসর্গ হইয়া উঠিত। আপাদমস্তক তাহার যে বহুমূল্য অলংকারের তালিকা পাওয়া গিয়াছিল এবং মিলনােৎসবের যে অভূতপূর্ব সমারােহের বর্ণনা শুনা যাইত, তাহাতে অনেক প্রবীণবয়স্ক সুবিবেচক ব্যক্তির মন চঞ্চল হইতে পারিত– কিন্তু, বালকের মন যে মাতিয়া উঠিত। এবং চোখের সামনে নানাবর্ণে বিচিত্র আশ্চর্য-সুখচ্ছবি দেখিতে পাইত, তাহার মূল কারণ ছিল সেই দতউচ্চারিত অনর্গল শব্দচ্ছটা এবং ছন্দের দোলা। শিশুকালের সাহিত্যরসভােগের এই দুটো স্মৃতি এখনাে জাগিয়া। আছে; আর মনে পড়ে বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর, নদেয় এল বান।' ওই ছড়াটা যে শৈশবের মেঘদত।।

তাহার পরে যে-কথাটা মনে পড়িতেছে তাহা স্কুলে যাওয়ার সূচনা। একদিন দেখিলাম, দাদা এবং আমার। বয়ােজ্যেষ্ঠ ভাগিনেয় সত্য স্কুলে গেলেন, কিন্তু আমি স্কুলে যাইবার যােগ্য বলিয়া গণ্য হইলাম না। উচ্চঃস্বরে কান্না ছাড়া যােগ্যতা প্রচার করার আর-কোনাে উপায় আমার হাতে ছিল না। ইহার পূর্বে কোনােদিন। নাই বাড়ির বাহিরও হই নাই, তাই সত্য যখন স্কুল-পথের ভ্রমণ বৃত্তান্তটিকে অতিশয়ােক্তি-অলংকারে প্রত্যহই। অত্যজ্জল করিয়া তুলিতে লাগিল তখন ঘরে আর মন কিছুতেই টিকিতে চাহিল না। যিনি আমাদের শিক্ষক ছিলেন তিনি আমার মােহ বিনাশ করিবার জন্য প্রবল চপেটাঘাতসহ এই সারগর্ভ কথাটি বলিয়াছিলেন, এখন ০ জলে যাবার জন্য যেমন কাদিতেছ, না যাবার জন্য ইহার চেয়ে অনেক বেশি কাঁদিতে হইবে।” সেই শিক্ষকের নামধাম আকৃতি প্রকৃতি আমার কিছুই মনে নাই। কিন্তু সেই গুরুবাক্য ও গুরুতর চপেটাঘাত স্পষ্ট মনে জাগিতেছে। এতবড়াে অব্যর্থ ভবিষ্যদবাণী জীবনে আর-কোনদিন কর্ণগােচর হয় নাই।

কান্নার জোরে ওরিয়েন্টাল সেমিনারিতে অকালে ভরতি হইলাম। সেখানে কী শিক্ষালাভ করিলাম মনে নাই কিন্তু একটা শাসন প্রনালীর কথা মনে আছে। পড়া বলিতে না পারিলে ছেলেকে বেঞ্চে দাঁড় করাইয়া তাহার দুই হাতের উপর ক্লাসের অনেকগুলি স্লেট একত্র করিয়া চাপাইয়া দেওয়া হইত। এরূপে ধারণা শক্তির অভ্যাস বাইর হইতে অন্তরে সঞ্চারিত হইতে পারে কি না তাহা মনস্তত্ত্ববিদিগের আলােচ্য।

এমাণ করা নিতান্ত শিশুবয়সেই আমার পড়া আরম্ভ হইল। চাকরদের মহলে যে-সকল বই প্রচলিত ছিল। তাহা হয়াহ আমার সাহিত্যচর্চার সূত্রপাত হয়। তাহার মধ্যে চাণক্যশ্লোকের বাংলা অনুবাদ ও কৃত্তিবাসরামায়ণই প্রধান। সেই রামায়ণ পড়ার একটা দিনের ছবি মনে স্পষ্ট জাগিতেছে।।

সেদিন মেঘলা করিয়াছে; বাহির বাড়িতে রাস্তার ধারের লম্বা বারান্দাটাতে খেলিতেছি। মনে নাই, সত্য কী কারণে আমাকে ভয় দেখাইবার জন্য হঠাৎ ‘পুলিশম্যান’ ‘পুলিশম্যান’ করিয়া ডাকিতে লাগিল। পুলিশম্যানের কর্তব্য সম্বন্ধে অন্তত মােটামুটি রকমের একটা ধরণা আমার ছিল। আমি জানিতাম একটা লােককে অপরাধী বলিয়া তাহাদের হাতে দিবামাত্রই, কুমির যেমন খাঁজকাটা দাঁতের মধ্যে শিকারকে বিদ্ধ করিয়া জলের তলে অদৃশ্য হইয়া যায়, তেমন করিয়া হতভাগ্যকে চাপিয়া ধরিয়া অতলস্পর্শ থানার মধ্যে অন্তর্হিত হওয়াই পুলিশ কর্মচারীর স্বাভাবিক ধর্ম। এরূপ নির্মম শাসনবিধি হইতে নিরপরাধ বালকের পরিত্রাণ কোথায় , তাহা ভাবিয়া না পাইয়া একেবারে অন্তঃপুরে দৌড় দিলাম; পশ্চাতে তাহারা অনুসরণ করিতেছে এই অন্ধভয় আমার সমস্ত পৃষ্ঠদেশকে কুণ্ঠিত করিয়া তুলিল। মাকে গিয়া আমার আসন্ন বিপদের সংবাদ জানাইলাম; তাহাতে তাহার বিশেষ উৎকণ্ঠার লক্ষণ প্রকাশ পাইল না। কিন্তু, আমি বাহিরে যাওয়া নিরাপদ বােধ করিলাম না। দিদিমা, আমার মাতার কোনাে এক সম্পর্কে খুড়ি, যে কৃত্তিবাসের রামায়ণ পড়িতেন সেই মার্বেল কাগজ-মণ্ডিত কোণডােমলাট-ওয়ালা মলিন বইখানি কোলে লইয়া মায়ের ঘরের দ্বারের কাছে পড়িতে বসিয়া গেলাম। সম্মুখে অন্তঃপুরের আঙিনা ঘেরিয়া চৌকোণ বারান্দা; সেই বারান্দায় মেঘাচ্ছন্ন আকাশ হইতে অপরাহের মান আলাে আসিয়া পড়িয়াছে। রামায়ণের কোনাে-একটা করুণ বর্ণনায় আমার চোখ দিয়া জল পড়িতেছে দেখিয়া, দিদিমা জোর করিয়া আমার হাত হইতে বইটা কাড়িয়া লইয়া গেলেন।

(-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)

আমার ছেলেবেলা রচনা | আমার শৈশব স্মৃতি রচনা

মানুষের জীবন থেকে শৈশবস্মৃতি কখনো মুছে ফেলা যায় না। জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে সে সোনালি স্মৃতিগুলো বারবার হৃদয়পটে ভেসে ওঠে ধ্রুপদী চলচ্চিত্রের মতো। সমস্ত অতীতই মানুষের স্মৃতিতে একান্ত গোপনে থেকে যায়। আর শৈশব দিনের স্মৃতি, তা মানুষ কখনোই ভুলতে পারে না । এ শৈশবস্মৃতি মানুষকে কখনো কাঁদায়, কখনো হাসায় আবার কখনো অনাবিল আনন্দে দেহ-মনকে ভরিয়ে তোলে। তেমনিভাবে আমার জীবনেও রয়েছে সুখ-দুঃখের শৈশব স্মৃতি। এ মধুময় স্মৃতিকে কখনও জীবনের পাতা থেকে বাদ দেওয়া যায় না।

যশোর জেলার ছোট্ট একটি গ্রামে আমার জন্ম। রূপকথার ছবির মতোই আমার গ্রামটি। কিন্তু বেশিদিন সেখানে থাকার সৌভাগ্য আমার হয়নি সেখানে লেখাপড়ার সুযোগও আমার হয়নি। বাবার চাকরির কারণে চলে আসি ঢাকা শহরের বুড়িগঙ্গার তীরে। সেখানেই গড়ে ওঠে আমার শৈশব-কৈশোর।

এ শৈশবের কথা মনে পড়তেই স্মৃতিপটে ভেসে ওঠে বাড়ির উঠানে চাঁদের আলোয় মাদুর পেতে গল্পের আসরের কথা। দাদির কাছ থেকে শোনা সে রূপকথার গল্পগুলো এখনো আমার স্মৃতিপটে আঁকা রয়েছে। তখন জীবন কত সুন্দর ছিল । কোনো চিন্তা ছিল না। খাওয়াদাওয়া, লেখাপড়া আর গল্প শোনা। এভাবেই কেটে যেত সময়। দাদির মুখে গল্প শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে পড়তাম। খুব সকালে মায়ের অজান্তে বকুল তলায় গিয়ে বকুল ফুল কুড়িয়ে এনে মালা গাঁথতাম। সে মালাগুলো ঘরে ঝুলিয়ে রাখতাম, ঘর ফুলের সুবাসে ভরে যেত । কিন্তু কত দ্রুতই না সেদিন জীবন থেকে মিলিয়ে গেল । এখন শুধু সেসব দিনেরই স্মৃতি রোমন্থন করা ।

বুড়িগঙ্গার তীরে এসে এ বুড়িগঙ্গার সঙ্গে শৈশবের অনেক স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে। নদীতে সাঁতার কেটে, নদীর তীরে দাদার সঙ্গে প্রাতভ্রমণ করে, সবুজ ঘেরা গ্রামের মাথায় উদীয়মান সূর্যের রক্তিম আভা, প্রভাতের হিমশীতল হাওয়া কতই না আনন্দ দিত আমাকে। শৈশবের এ স্মৃতিবিজড়িত লীলাভূমির কথা তাই আজও মনে পড়ে ।

স্কুলজীবনের প্রথম দিনটির কথা আমার আজও মনে পড়ে। স্কুলের হেডমাস্টারের ভাবগম্ভীর চেহারা দেখে কী ভয়ই না পেয়েছিলাম সেদিন। বাবার কাছে কেঁদে বলেছিলাম, আর স্কুলে যাব না। অবশেষে হেডমাস্টার আমাকে আদর করে একটি চকলেট দিলেন এবং খাতায় আমার নামটা লিখে নিলেন। এরপর তিনি স্কুল পালানোর ও পড়াশোনা না করার জন্য শাস্তির কথাও আমাকে জানিয়ে দিলেন। তারপর থেকে নিয়মিত স্কুলে আসা-যাওয়া করতাম ।

আমি ছবি আঁকতে খুব পছন্দ করতাম। তবে কখনো ভালো ছবি আঁকতে পারিনি। ছবি আঁকার প্রতি আমার ঝোঁক দেখে বাবা রং পেনসিল কিনে দিয়েছিলেন । এ ছবি আঁকা নিয়ে একটি মজার ঘটনা মনে পড়ে। মা খাটে একটি সুন্দর দামি সাদা চাদর বিছিয়ে রেখেছিলেন। মা যখন রান্নার কাজে ব্যস্ত, তখন আমি চাদরে রং পেনসিল দিয়ে বড় বড় করে হিজিবিজি ছবি এঁকেছিলাম। ফলে দামি চাদরটি নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। মাকে ঘরে ঢুকতে দেখে দরজার আড়ালে লুকালাম। ঘরে ঢুকে চাদরের অবস্থা দেখে মা চিৎকার-চেঁচামেচি করে আমাকে খুঁজতে লাগলেন । কারণ, তাঁর বুঝতে বাকি ছিল না কাজটি কে করেছে। কান ধরে আমাকে দরজার কাছ থেকে বের করে পিঠের ওপর দাড়ুম দুড়ুম করে কিল বসাতে লাগলেন। বাবা এসে না বাঁচালে সেদিন হয়তো মায়ের হাতের মার আমার কপালে আরও জুটত ।

বিকেল হলেই বন্ধুদের সঙ্গে ঘুড়ি ওড়াতে পাশের মাঠে চলে যেতাম। কার ঘুড়ি কত ওপরে ওঠে এ নিয়ে সবাই পান্না দিতাম । একজন আরেক জনের ঘুড়ির সুতা কেটে দিতাম। সুতা কেটে চিৎকার করে বলতাম, 'ভোকাট্টা।' এ নিয়ে ঝগড়া লাগলেও পরদিন ওদের সঙ্গে আবার মিল হয়ে যেত। অনেক সময় স্কুল পালিয়ে ঘুড়ি ওড়াতে চলে আসতাম। এজন্য হেডস্যারের হাতে মার খেতে হতো। মাঝে মাঝে বাসায়ও এ নিয়ে বাবার কাছে নালিশ আসত।

শৈশবের কয়েকটি শখের মধ্যে মাছ শিকার করা ছিল আমার অন্যতম শখ। মাছ ধরার ছিপ নিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে চলে যেতাম পাশের বিলে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা নাওয়াখাওয়া ভুলে মাছ ধরতাম। মায়ের বকুনি খেয়েই পেট ভরে যেত। আমি খুব ভালো সাঁতার কাটতে জানতাম, ছোট হয়েও - বড়দের সঙ্গে সাঁতারে পাল্লা দিতাম। পানিতে বেশিক্ষণ থাকার অপরাধে মায়ের কানমলা খেয়েছি অনেক।

স্কুলে প্রথম প্রথম কয়েক দিন আমি খুব নিয়মিত ছিলাম। কিন্তু বন্ধুদের পাল্লায় পড়ে মাঝে মাঝে স্কুল ফাঁকি দিতাম। কিন্তু পরদিনই হেডমাস্টারের হাতে ধরা খেতাম । ফলে স্কুল পালানোর শাস্তি পেতে হতো।

শৈশবে বিভিন্ন ধরনের মেলায় যেতাম আমি। মেলার সময় ঘনিয়ে এলে টাকা জমানো শুরু করতাম। বাবা মেলায় যেতে দিতেন না। মেলার দিন বন্ধুদের সঙ্গে লুকিয়ে মেলায় যেতাম। সেখানে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের খাবার কিনে খেতাম, নাগরদোলায় চড়তাম। মার খাওয়ার ভয়ে বেলা শেষ হওয়ার আগেই বাড়ি ফিরে আসতাম ।.

কর্মব্যস্ত এ জীবনে যখন অতীতের কথা মনে হয়, তখন মনে পড়ে সে আনন্দঘন দিনগুলোর কথা। কেউ যদি হতাশার মাঝে, কর্ম কোলাহলের মাঝে আনন্দের সন্ধান পেতে চায় তাহলে তাকে শৈশবের দিনগুলোতে ফিরে যেতে হবে। ফিরে যেতে হবে হারানো সে দিনগুলোর সুশীতল ছায়ায়।

আজ পড়াশোনা ও কাজের ফাঁকে ফাঁকে শৈশব দিনের সেই স্মৃতিগুলো কেবলই মনের কোণে উঁকি দেয়। সেই বৃষ্টিতে ভেজা দিন, মাছ ধরা, সাঁতার কাটা, স্কুল পালানো ইত্যাদি সবই স্মৃতিতে ভেসে ওঠে । বারবার ফিরে যেতে ইচ্ছে করে শৈশবের দিনগুলোতে। মাঠের মাঝে ফড়িং ধরার মাঝে যে কী আনন্দ পেতাম! সেই দিনগুলো আর ফিরে আসবে না। কেবলই গভীর মমতায় শৈশবের সেই আনন্দ-বেদনার স্মৃতিগুলো মনে পড়ে যায় ।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ আমার ছেলেবেলা রচনা | আমার শৈশব স্মৃতি রচনা

শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে আমরা জানলাম আমার শৈশব স্মৃতি রচনা। যদি আজকের এই আমার শৈশব স্মৃতি রচনা টি ভালো লাগে তাহলে এখনি ফেসবুকে বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করুন আর এই রকমই নিত্যনতুন আর্টিকেল পেতে আমাদের সাথেই থাকুন ধন্যবাদ।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ