টুইস্টেড পেয়ার বা কোএক্সিয়াল ক্যাবল কাকে বলে ও এর সুবিধা অসুবিধা

আপনি জানেন ডেটা কমিউনিকেশন মাধ্যম কি? যদি না জেনে থাকেন তাহলে আজকে আমরা জেনে দিবে ডেটা কমিউনিকেশন মাধ্যম কি? পাশাপাশি আমরা এটাও জানিয়ে দিব ক্যাবল মাধ্যম কত প্রকার ও কি কি, কোএক্সিয়াল ক্যাবল কাকে বলে, কো এক্সিয়াল ক্যাবল এর সুবিধা, কো এক্সিয়াল ক্যাবল এর অসুবিধা, টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল কাকে বলে ও টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল এর সুবিধা এবং টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল এর অসুবিধা গুলো।।।
টুইস্টেড পেয়ার বা কোএক্সিয়াল ক্যাবল কাকে বলে ও এর সুবিধা অসুবিধা
টুইস্টেড পেয়ার বা কোএক্সিয়াল ক্যাবল কাকে বলে ও এর সুবিধা অসুবিধা

হ্যালো আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা। আমি আরকে রায়হান। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটা গুরুত্বপূর্ণ টপিক শেয়ার করতে চলেছি। আশা করি আপনারা মনোযোগ সহকারে আমাদের আজকের ডেটা কমিউনিকেশন মাধ্যম কি, কো-এক্সিয়াল ক্যাবল ও কানেক্টরসমূহ বা টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল ও কানেক্টর সমূহ পড়ে নিবে।।
তো বরাবরের মতো আজকেও মুল পোস্টে যাওয়ার আগে আমরা আমাদের সুচিপত্র টি একনজরে দেখে নিই।।

সুচিপত্রঃ ডেটা কমিউনিকেশন মাধ্যম কি | টেলিফোন ক্যাবল কাকে বলে | টুইস্টেড পেয়ার বা কো এক্সিয়াল ক্যাবল এর সুবিধা

ডেটা কমিউনিকেশন মাধ্যম কি (Data Communication Medium) 

যার মধ্য দিয়ে উৎস থেকে গন্তব্যে ডেটা ট্রান্সমিশন স্থানান্তরিত হয় তাকে ডেটা কমিউনিকেশন মাধ্যম বলা হয়। যখন কেউ যােগাযােগ করে বা করতে চায় তখন তাকে কোনাে না কোন ট্রান্সমিশন মাধ্যমের সাহায্য নিতে হয়।

বহুলব্যবহৃত হয় এমন ডেটা কমিউনিকেশন মাধ্যম দুই ধরনের। যথা

  • তার মাধ্যম (Wire Medium) : ক্যাবল/তার, টেলিফোন লাইন, ফাইবার অপটিক লাইন ইত্যাদি। 
  • তারবিহীন বা বেতার মাধ্যম (Wireless Medium) : বেতার তরঙ্গ, মাইক্রোওয়েভ, ইনফ্রারেড ইত্যাদি।

ক্যাবল বা তার মাধ্যম কি বা কাকে বলে (Cable or Wire Medium) 

ডেটা কমিউনিকেশনের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হলাে ক্যাবল বা তার। ক্যাবল | সাধারণত তামা (কপার) ও কাঁচ বা স্বচ্ছ প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি হয়। যার মধ্যে দিয়ে ডেটা || সিগন্যালগুলাে উৎস থেকে গন্তব্যে গমন করতে পারে। স্বল্প দূরত্বের নেটওয়ার্কের ক্ষেত্রে | ডেটা স্থানান্তরে ক্যাবল ব্যবহৃত হয়। তবে ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক (ওয়ান) এর ক্ষেত্রে | হাইস্পিড ডেটা কমিউনিকেশনেও ক্যাবল ব্যবহৃত হয়। ব্যবহারের ধরনভেদে বিভিন্ন | নেটওয়ার্কের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের ক্যাবল বা তার ব্যবহার করা হয়।

অ্যাটিনুয়েশন কি (Attenuation) : 

তারের মধ্য দিয়ে ডিজিটাল বা অ্যানালগ যে কোনাে সিগন্যাল ট্রান্সমিট হবার সময় ধীরে ধীরে এর সিগন্যাল স্ট্রেন্থ বা শক্তি ক্ষয় হতে থাকে। সিগন্যালের এই শক্তিক্ষয়কে অ্যাটিনুয়েশন বা ট্রান্সমিশন লস বলা হয়ে থাকে। ইলেকট্রো-ম্যাগনেটিক ইন্টারফেয়ারেন্স (EMI); ইলেকট্রনিক ডিভাইসসমূহ ওয়্যারলেস রেডিও ফ্রিকোয়েন্সির চৌম্বকীয় প্রভাবের কারণে অনাকাঙ্ক্ষিত নয়েজ তৈরি করে। ডেটা ট্রান্সফারের সময় এ ধরনের তড়িৎ চৌম্বকীয় অনাকাঙ্ক্ষিত নয়েজ ডেটা ট্রান্সমিশনে বাধা সৃষ্টি করে। এটিই হলাে ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ইন্টারফেয়ারেন্স বা ইএমআই। যেহেতু কপার তারের মধ্য দিয়ে ডেটা তরঙ্গ আকারে পরিবাহিত হয় তাই ইএমআই এর প্রভাব বেশি হলে ডেটা পরিবর্তিত বা ক্ষতিগ্রস্ত হবার সম্ভাবনা থাকে।

ক্যাবল মাধ্যম কত প্রকার ও কি কি (Types of Cable Medium) 

নিম্নলিখিত বহুলব্যবহৃত ক্যাবলগুলাে হলাে—

  • টেলিফোন ক্যাবল। 
  • কোএক্সিয়াল ক্যাবল (Coaxial Cable) 
  • টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল (Twisted-Pair Cable) 
  • ফাইবার অপটিক ক্যাবল (Fiber Optic Cable)।

টেলিফোন ক্যাবল কাকে বলে | (Telephone Cable) 

গত শতাব্দির আশির দশক পর্যন্ত সারা পৃথিবীতে ডেটা ট্রান্সমিশনে টেলিফোনের ক্যাবলের ব্যবহার ছিলাে একচ্ছত্র । এই ক্যাবলের মাধ্যমে সে সময় ইন্টারনেট সংযােগের ব্যবহারও ছিল বহুল জনপ্রিয়। তবে বর্তমানে এই ক্যাবলের ব্যবহার উঠে গেছে। তবে প্রত্যন্ত অঞ্চলের কিছু কিছু ফিক্সড/ল্যান্ড টেলিফোন লাইনে এখনও সংযােগের জন্য এ ক্যাবল ব্যবহৃত হয়ে। থাকে।

কোএক্সিয়াল ক্যাবল কাকে বলে (Coaxial Cable) | কোএক্সিয়াল ক্যাবল কত প্রকার | কোএক্সিয়াল ক্যাবল কয় ভাগে বিভক্ত

সাধারণত বাসা-বাড়ীতে যে তার দিয়ে এই ক্যাবল টিভি বা ডিশ টিভি এর কানেকশন দেয়া হয় সেটিই হলাে কো-এক্সিয়াল ক্যাবল। কো-এক্সিয়াল হলাে। এমন এক ধরনের ক্যাবল যার কেন্দ্র দিয়ে থাকে একটি সলিড (Solid) কপার তার এবং তারটিকে ঘিরে জড়ানাে থাকে অপরিবাহী প্লাস্টিক ফোমের ইনস্যুলেশন (Insulation)। ইনস্যুলেশন ফোমের চারপাশ জাল বা নেট আকৃতির তার (metalic shield) দ্বারা সাজানাে থাকে এবং বাইরে প্লাস্টিকের জ্যাকেট দিয়ে ঢাকা থাকে। মেটালিক শিল্ডটি তড়িৎ-চুম্বকীয় বাধা থেকে ডেটা সিগন্যালকে রক্ষা করে থাকে। যেহেতু উভয় তারের অক্ষ একই থাকে একারণে এ কেবলকে কোএক্সিয়াল কেবল নামে আখ্যায়িত করা হয়।

এ ক্যাবল ব্যবহার করে এক কিলােমিটার পর্যন্ত দূরত্বে ডিজিটাল ডেটা প্রেরণ করা যায়। তবে ডেটা ট্রান্সফার রেট তারের দৈর্ঘ্যের উপর নির্ভর করে। কো-এক্সিয়াল ক্যাবলের ডেটা ট্রান্সফার রেট 200 Mbps পর্যন্ত হতে পারে এবং ট্রান্সমিশন লস অপেক্ষাকৃত কম। কোএক্সিয়াল ক্যাবল দু’প্রকার। যথা— থিননেট (Thinnet) এবং থিকনেট (Thicknet)।

  • বিননেট (Thinnet) : এ ক্যাবলের ব্যাস ০.২৫ ইঞ্চি এবং রিপিটার ছাড়া ১৮৫ মিটার পর্যন্ত দুরতে ডেটা পাঠাতে পারে। একে 10 base 2 বলা হয়। এখানে ১০ হল ব্যান্ডউইথ (10 Mbps) এবং ২ ক্যাবলের দৈর্ঘ্য (২০০ মিটার)। 
  • থিকনেট Thicknet): রিপিটার ছাড়া ৫০০ মিটার পর্যন্ত দূরত্বে ডেটা ট্রান্সফার করতে পারে। একে 10 base 5 বলা হয়। এক্ষেত্রে ডেটা ট্রান্সফার রেট 100 Mbps হতে 2Gbps পর্যন্ত হতে পারে।

কো এক্সিয়াল ক্যাবল এর সুবিধা | কো-এক্সিয়াল ক্যাবলের সুবিধা

  • ইউটিপি বা এসটিপি ক্যাবলের তুলনায় সিগন্যাল এটিনুয়েশনের পরিমাণ কম। 
  • ডেটা স্থানান্তর গতি বেশি হয়। 
  • ৫০০ MHz ফ্রিকুয়েন্সিতে ডিজিটাল ও অ্যানালগ ডেটা পাঠানাে যায়। 
  • টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবলের চাইতে অধিক দূরত্বে তথ্য পাঠানাে যায় এবং | সিগন্যাল এটিনুয়েশনের পরিমাণ কম। 
  • ট্রান্সমিশন লস অপেক্ষাকৃত কম হয়। 
  • ক্যাবল TV নেটওয়ার্কে বেশি ব্যবহৃত হয়। 
  • ফাইবার অপটিক ক্যাবলের তুলনায় দামে অনেক সস্তা।

কো এক্সিয়াল ক্যাবল এর অসুবিধা | কো-এক্সিয়াল ক্যাবলের অসুবিধা 

  • ডেটা ট্রান্সফার রেট নির্ভর করে তারের দৈর্ঘ্যের উপর। 
  • রিপিটার ছাড়া ১ কিলােমিটারের বেশি দূরত্বে ডেটা পাঠানাে যায় না। 
  • এই ক্যাবলের সাহায্যে নেটওয়ার্ক ডিভাইসের মধ্যে সংযােগ স্থাপন বেশ কঠিন। 
  • এই ক্যাবল টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবলের চেয়ে ব্যয়বহুল।

কো-এক্সিয়াল ক্যাবলের ব্যবহার 

  • স্যাটেলাইট টিভির ক্ষেত্রে ডিশ এন্টেনা থেকে টেলিভিশন সেটে কানেকশন দিতে। 
  • বিভিন্ন ভিডিও এডিটিং ফার্মে ভিডিও ডেটা ট্রান্সফারের নেটওয়ার্ক (ল্যান) তৈরিতে। 
  • রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি সিগন্যালের রেডিও ট্রান্সমিটার ও রিসিভারকে রেডিও অ্যান্টেনার সাথে যুক্ত করতে।। 
  • বিভিন্ন মিলিটারি ইকুইপমেন্ট এবং আলট্রা সাউন্ড স্ক্যানিং ইকুইপমেন্টে।

ইথারনেট ম্যাক অ্যাড্রেস 

কম্পিউটার ল্যান বা ইথারনেটে ডেটা ডেলিভারির জন্য রাউটিং সিস্টেম কর্তৃক প্রাপককে চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে বর্তমানে ইথারনেট ম্যাক অ্যাড্রেস একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারণা হিসেবে পরিচিত। এর got opet po Medium Access Control (MAC) যা বর্তমানে সকল কমপিউটারে অনবাের্ড নেটওয়ার্ক কার্ড। কর্তৃক জেনারেট হয়ে থাকে। ম্যাক হলাে গ্লোবাল ইউনিক একটি ৬ বাইটের হার্ডওয়্যার অ্যাড্রেস যা ব্যবহার করে ব্রডকাস্ট বা মাল্টিকাস্ট মােডের বিভিন্ন ডেটা সঠিক ডেস্টিনেশনের গ্রাহকের নিকট ডেলিভারি হয়।।

টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল কাকে বলে | টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল এর কমন কালার কোনটি | টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল সাধারণত কতগুলো তার ব্যবহৃত হয় | টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবলের ফ্রিকোয়েন্সি রেঞ্জ কত (Twisted-pair Cable) 

টেলিফোন লাইনের কানেকশন বা স্বল্প খরচে কম দূরত্বে নেটওয়ার্ক তৈরির জন্য যে ক্যাবলটি ব্যবহার হয় সেটিই হলাে টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল। টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবলে মােড়ানাে দুটি কপার তার থাকে এবং তার দু’টিকে পৃথক রাখার জন্য মাঝে অপরিবাহী পদার্থ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এ ক্যাবলে সাধারণত ৪ জোড়া তার একসাথে থাকে এবং প্রতি জোড়া একটি | কমন রঙের (সাদা) হয় এবং বাকি তারগুলাে হয় ভিন্ন রঙের। তারগুলাে সংযােজনের সময় ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮ নম্বরের ভিত্তিতে সংযােগ দিতে হয়। প্রতি জোড়া তার দুটির এক একটির পুরুত্ব হয় ০.৪ মি.মি থেকে ০.৯ মি.মি। এ ক্যাবলে ডেটা ট্রান্সমিশন লস অত্যন্ত বেশি এবং ফ্রিকুয়েন্সি রেঞ্জ 5 MHz। এর ব্যান্ডউইথ 10 Mbps থেকে 1 Gbps । টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল দু'প্রকার। যথা :

  • আবরণহীন টুইস্টেড পেয়ার বা ইউটিপি (UTP – Unshielded Twisted Pair) 
  • আবরণযুক্ত টুইস্টেড পেয়ার বা এসটিপি (STP – Shielded Twisted Pair) 

ইউটিপি (UTP): ইউটিপি ক্যাবল মূলত একাধিক জোড়া টুইস্টেড পেয়ারের সমষ্টি, যা . আবার প্লাস্টিক আবরণে মােড়ানাে থাকে। তারের মধ্য দিয়ে যখন সিগন্যাল অতিক্রম করতে থাকে তখন এর শক্তি বা মান ক্রমান্বয়ে লােপ পেতে থাকে। মােচড়ের দৈর্ঘ্য ৫ থেকে ১৫ cm, LAN এ। ইউটিপি CAT-6 বেশি ব্যবহৃত হয়। এটি 10 Mbps, 1 Gbps রেটে থেকে ডেটা ট্রান্সমিট করতে পারে। বর্তমানে বাজারে যে সকল ইউটিপি ক্যাবল পাওয়া যাচ্ছে তা যথেষ্ট উন্নতমানের। দুটি পৃথক তারকে প্যাচানাের কারণে Radiated Noise এবং EMI (Electromagnetic Interference) দ্বারা ইউটিপি ক্যাবলে সিগন্যাল অপেক্ষাকৃত কম বাধাগ্রস্ত হয়। এ ধরনের ক্যাবলে ১০০ মিটারের বেশি দূরত্বে ডেটা পাঠানাে যায় না।

নিচে UTP ক্যাটাগরির কপার কেবলসমূহের একটি চার্ট সংযােজিত হলাে। যথা

ইউটিপি ক্যাটাগরিডেটা ট্রান্সফার রেট (ব্যান্ডউইথ)সবাের্চ দৈর্ঘ্যপ্রয়ােগ
CATI1 Mbps পর্যন্ত--পুরাতন টেলিফোন লাইনে।
CAT2 4 Mbps পর্যন্ত--টোকেন রিং নেটওয়ার্কে। 
CAT310 Mbps পর্যন্ত100 মিটারটোকেন রিং এবং 10 Base T ইথারনেটে
CAT416 Mbps পর্যন্ত100 মিটারটোকেন রিং নেটওয়ার্কে ।
CAT5100 Mbps পর্যন্ত100 মিটারইথারনেট, ফাস্টইথারনেট এবং টোকেন রিং নেটওয়ার্কে।
CAT5e1 Gbps পর্যন্ত100 মিটারইথারনেট, ফাস্টইথারনেট এবং গিগাবিট ইথারনেটে।
CAT610 Gbps পর্যন্ত100 মিটারগিগাবিট ইথারনেট, 10G ইথারনেট (55 মিটার)
CAT6a10 Gbps পর্যন্ত100 মিটারগিগাবিট ইথারনেট, 10G ইথারনেট (55 মিটার)।
CAT710 Gbps পর্যন্ত100 মিটারগিগাবিট ইথারনেট, 10G ইথারনেট (100 মিটার)।

এসটিপি (STP) : এসটিপি ক্যাবলের বাইরে জ্যাকেট বা প্লাস্টিক আবরণ থাকে এবং প্রতিটি প্যাচানাে জোড়া তারের মধ্যে একটি শিল্ড (Shield) বা শক্ত আবরণ থাকে। এ আবরণটি সাধারণত অ্যালুমিনিয়াম বা পলিস্টার দ্বারা তৈরি, যা এসটিপি ক্যাবলকে ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ইন্টারফেরেন্সের হাত থেকে রক্ষা করে। এ ক্যাবল মােটা ও শক্ত হওয়ায় নড়াচড়া অসুবিধাজনক। এ ক্যাবল দিয়ে ১৬ Mbps থেকে ৫০০ Mbps রেটে ডেটা ট্রান্সমিট হতে পারে।

টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল এর সুবিধা

  • কম দূরত্বে যােগাযােগ ক্যাবল হিসেবে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। 
  • টেলিফোন লাইনে সর্বপ্রথম টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল ব্যবহৃত হয়। 
  • এটি অন্যান্য ক্যাবলের চেয়ে দামে সস্তা। 
  • সহজে স্থাপন করা যায়।

টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল এর অসুবিধা

  • ডেটা ট্রান্সমিশন ডিলেটাইম অন্যান্য ক্যাবলের চেয়ে বেশি। 
  • বেশি দূরত্বে ডেটা পাঠানাের জন্য ২ কি.মি. পরপর রিপিটার ব্যবহার করতে হয়।
  • ট্রান্সমিশন লসও অপেক্ষাকৃত বেশি।

টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল এর ব্যবহার | টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল এর বৈশিষ্ট্য

  • লােকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক বা ইথারনেটে।
  • সকল ধরনের টেলিফোন নেটওয়ার্কে।
  • বাসাবাড়িতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট কানেকশনে।

বিভিন্ন ক্যাবলের কানেক্টর (Connector for different Cables) | ক্যাবল কানেক্টর কি | কানেক্টর কাকে বলে

কানেক্টর হলাে এক ধরনের ফিজিক্যাল ইন্টারফেস যা বিভিন্ন কপার-ক্যাবল (কো-এক্সিয়াল, টুইস্টেড পেয়ার) বা অপটিক ফাইবারসমূহের দ্বারা বিভিন্ন টেলিকমিউনিকেশন বা কম্পিউটার ইকুইপমেন্টসমূহ সংযুক্ত করার সময় এর সাথে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। নিচে বিভিন্ন ক্যাবল ও কানেক্টরসমূহের ব্যবহার উল্লেখ করা হলাে।

কো-এক্সিয়াল ক্যাবল ও কানেক্টরসমূহ 

কো-এক্সিয়াল ক্যাবল সাধারণত দুই ধরনের কাজে ব্যবহার হয়। একটি হলাে কমার্শিয়াল ভিডিও কম্পােজিটের জন্য। অপরটি হলাে ক্যাবল বা ডিশ টিভির নেটওয়ার্কের জন্য। এক্ষেত্রে কো-এক্সিয়াল ক্যাবলের সাথে দুই ধরনের কানেক্টর ব্যবহার হয়। এরা হলাে

BNC কানেক্টরঃ কমার্শিয়াল ভিডিও কম্পােজিটের কাজে কো-এক্সিয়াল ক্যাবলের সাথে BNC কানেক্টর ব্যবহার করা হয়। BNC এর পূর্ণ অর্থ হলাে Bayonet Neill-Concelman কানেক্টর। এটি কো-এক্সিয়াল ক্যাবলের সাথে ব্যবহার হওয়া  একটি রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি কানেক্টর।।

RF কানেক্টর: বাসা-বাড়িতে ডিশ বা ক্যাবল টেলিভিশন নেটওয়ার্কে যে কানেকশন দেয়া হয় সেখানে কো-এক্সিয়াল ক্যাবলের সাথে কো-এক্সিয়াল RF কানেক্টর ব্যবহার করা হয়। 

টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল ও কানেক্টরসমূহ 

সাধারণত টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল এর সাথে ব্যবহৃত কানেক্টরগুলাে RJ বা Registered Jack নামে পরিচিত। মূলত ল্যান বা ইথারনেট এবং টেলিফোন লাইনের ক্ষেত্রে RJ কানেক্টরগুলাে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। নিচে বিভিন্ন RJ কানেক্টর সম্পর্কে বর্ণনা করা হলাে।

RJ11 কানেক্টর: চার-পিন যুক্ত এই RJ কানেক্টর টেলিফোন ইকুইপমেন্টসমূহ সংযুক্ত করতে ব্যবহৃত হয়। 

RJ45 কানেক্টর: ছয়-পিন যুক্ত এই RJ কানেক্টর ল্যান বা ইথারনেট নেটওয়ার্কের ক্ষেত্রে কম্পিউটার ও এর সংশ্লিষ্ট ইকুইপমেন্টগুলাে সংযুক্ত করতে ব্যবহৃত হয়। ল্যান এবং টেলিফোনের সংযােগের জন্য আসলে UTP বা আন-শিল্ডেড টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল এর যথাক্রমে ক্যাটাগরি ৬ (CAT-6) এবং ক্যাটাগরি ১ বা ২(CAT1 or 2) ক্যাবল সর্বাধিক ব্যবহৃত হয়ে থাকে। সুতরাং এই কানেক্টরগুলাে প্রকৃতপক্ষে ইউটিপি ক্যাবলের কানেক্টর হিসেবেই পরিচিত। কো-এক্সিয়াল ক্যাবলের কানেক্টরগুলাে সাধারণভাবে জ্যাক হিসেবে পরিচিত।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ ক্যাবল বা তার মাধ্যম কি বা কাকে বলে | অ্যাটিনুয়েশন কি | ইথারনেট ম্যাক অ্যাড্রেস

তো কেমন লাগলো আমাদের আজকের টুইস্টেড পেয়ার বা কোএক্সিয়াল ক্যাবল কাকে বলে ও এর সুবিধা অসুবিধা। আশা করি তোমাদের আজকের এই কো এক্সিয়াল ক্যাবল এর অসুবিধা, কো-এক্সিয়াল ক্যাবলের ব্যবহার, ইথারনেট ম্যাক অ্যাড্রেস, টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল কাকে বলে, নিচে UTP ক্যাটাগরির কপার কেবলসমূহের একটি চার্ট সংযােজিত হলাে, টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল এর সুবিধা, টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল এর অসুবিধা, টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল এর ব্যবহার ভালো লেগেছে।

যদি ভালো লাগে তাহলে এখনি বন্ধুদের মাঝে শেয়ার ও কমেন্ট করতে ভুলবেন না। আর এই রকম নিত্য নতুন কোন টপিক পেতে আমাদের আর কে রায়হান ওয়েবসাইট টি ভিজিট করুন।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ