Affiliate Marketing Ki Bangla | এফিলিয়েট মার্কেটিং টিউটোরিয়াল

আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং কি (What is Affiliate Marketing) জানতে চান? যদি এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সুবিধা অসুবিধা এবং এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবো জানতে চান তাহলে আমাদের আজকের পোষ্ট Affiliate Marketing meanings in Ki Bangla পুরোটা মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। কারন আমরা বাংলায় এফিলিয়েট মার্কেটিং টিউটোরিয়াল নিয়ে আমাদের আজকের পোষ্ট সাজিয়েছি । তো চল বন্ধুরা আমরা জেনে নিই এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে করবো?

এফিলিয়েট মার্কেটিং টিউটোরিয়াল

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি | এফিলিয়েট মার্কেটিং কি

বিশ্বের সব ধরনের ব্যবসায়ীরাই চায় তাদের ব্যবসাকে আরাে এগিয়ে নিতে, আরাে প্রসার করতে ইন্টারনেটের ব্যবসায়ীদেরও এর ব্যতিক্রম হতে দেখা যায় না। 

তবে ব্যবসাতাে আর এমনিতেই প্রসারিত হয় না। একে বিভিন্ন উপায়ে প্রসারিত করতে হয়। এই উপায় গুলাের মধ্যে Affiliate Marketing প্রধান। আমরা সকলেই জানি যে অনলাইনে অনেক ধরনের ফিজিক্যাল এবং ডিজিটাল প্রােডাক্ট কেনা বেচা হয়। 

এখন এই ইন্ডাস্ট্রি গুলাে থেকে যদি আপনি আপনার রেফার এর মাধ্যমে কোন প্রােডাক্ট বিক্রি করতে পারেন তাহলে সেই কোম্পানি আপনাকে আপনার সেলের উপর একটা কমিশন দিবে।

আবার মনে করুন আপনি একটি সাইটে রেজিস্ট্রেশন করেছেন। এখন আপনার রেফারেন্স ব্যবহার করে যদি অন্য কেই ঐ সাইটে রেজিস্ট্রেশন করে এবং এর বিনিময়ে আপনি যদি কোনভাবে লাভবান হন তবে একে Affiliate Marketing বলে। 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুধু রেজিস্ট্রেশন এর মাধ্যমেই না আরাে অনেক উপায়ে আছে। যেমনকোন পণ্য বা সেবা বিক্রির মাধ্যমে, ডাউনলােডের মাধ্যমে ইত্যাদি। 

এফিলিয়েট মার্কেটিং আয়ের একটি ভালাে উৎস হতে পারে। মনােযােগ দিয়ে যদি Affiliate Marketing করেন তাহলে এর মাধ্যমে আপনি প্রচুর অর্থ আয় করতে পারেন। Affiliate Marketing Ki Bangla বা এফিলিয়েট মার্কেটিং টিউটোরিয়াল শিখুন ।

এফিলিয়েট মার্কেটিং কেন করবো

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর বড় একটা সুবিধা হল যে আপনি অ্যাকটিভ না থাকলেও আপনার Income বন্ধ থাকবে না। আর তাছাড়া এখানে Income করার জন্য আপনাকে দিন এর পর দিন বিড করে যেতে হবে না এবং আপনি ভাল ইংরেজী না জানলেও চলবে। 

এটা সম্পূর্ণ আপনার উপর নির্ভর করবে। এখানে আপনার ইনকাম এর কোন Limitation ও নেই। আপনি যত বেশি কাজ করবেন তত বেশি ইনকাম হবে। Affiliate Marketing Ki Bangla বা এফিলিয়েট মার্কেটিং টিউটোরিয়াল শিখুন ।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে করব

১। পণ্য বিক্রির মাধ্যমে (Product Sell)

কিছু কিছু ই-কমার্স সাইট আছে যারা শুধুমাত্র অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং-এর মাধ্যমেই তাদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। 

অন্যান্য অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং-এর চেয়ে এই পদ্ধতিতে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সবচেয়ে লাভজনক। আপনি যদি কোন ই-কমার্স সাইটের কোন পণ্য বা সেবা বিক্রি করে দিতে পারেন তবে ঐ পণ্য বা সেবার বিক্রিত অর্থ থেকে কিছু অংশ আপনিও পাবেন। 

পণ্যের দামের উপর ভিত্তি করে আপনাকে অর্থ প্রদান করা হবে। অর্থাৎ দামি কোন জিনিস বিক্রি করতে পারলে আপনার লাভও বেশি হবে।

২। রেজিস্ট্রেশন এর মাধ্যমে (Registration)

ইন্টারনেটে হাজারাে সাইট রয়েছে যারা ইউজার Registration এর জন্য অর্থ প্রদান করে। অর্থাৎ আপনি সাইটে Registration করার পর আপনাকে একটি রেফারেল লিঙ্ক দেয়া হবে। ঐ লিঙ্কটির মাধ্যমে যদি কোন ইউজার ঐ সাইটে Registration করে তবে আপনি প্রতিটি ইউজার রেজিস্ট্রেশন এর জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ পাবেন।

৩। ডাউনলােড এর মাধ্যমে (Download)

এমন কিছু Website রয়েছে যাদের সার্ভার থেকে কোন File ডাউনলােড করলে প্রতিটি ডাউনলােড এর জন্য অর্থ প্রদান করা হয়। 

ব্যাপারটা আরেকটু বুঝিয়ে বলি মনে করুন abc.com নামে একটি ফাইল শেয়ারিং সাইট রয়েছে। এখন আপনি abc.com এ রেজিস্ট্রেশন করে তাতে একটি ফাইল আপলােড করে রাখলেন। 

এরপর এই ফাইলটি যতবার ডাউনলােড হবে আপনি প্রতিবারই ডাউনলােড এর জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ পাবেন। Affiliate Marketing Ki Bangla বা এফিলিয়েট মার্কেটিং টিউটোরিয়াল শিখুন ।

এফিলিয়েট মার্কেটিং সাইট | অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ওয়েবসাইট

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য অনেক সাইট আছে তার মধ্যে উল্লেখযােগ্য Website গুলাে হল:

পণ্য বিক্রির মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং 

www.amazon.com এ সাইটটিতে রয়েছে আয়ের এক বিশাল সুযােগ। এখানে আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং-এর জন্য বিভিন্ন ধরনের পণ্য পাবেন যেগুলাে বিক্রির জন্য আপনি পণ্যটির মূল্য অনুযায়ী ৪% থেকে ১০% পর্যন্ত Commission পেতে পারেন।

www.clickbank.com এই সাইটটি Digital প্রােডাক্ট এর জন্য বিখ্যাত। এই সাইট থেকে আপনি ডিজিটাল প্রােডাক্ট প্রমােট করতে পারেন। এখানে আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে ভাল আয় করতে পারেন।

www.clicksure.com এই সাইট টির মাধ্যমে আপনি ভাল ইনকাম করতে পারেন। এই সাইটের কোন প্রােডাক্ট সেল করতে পারলে আপনার Commission হবে ২০০ ডলার থেকে ৩০০ ডলার। তবে এখানে সমস্যা হল একটা প্রােডাক্ট একবারই সেল করতে পারবেন। 

www.jvZoo.com এই সাইট এ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য সব চেয়ে মজার বিষয় হল এখান থেকে কোন Product সেল হলে সেই কমিশন সাথে সাথে আপনার থার্ড ব্যাংক Account অর্থাৎ Paypal এ জমা হবে। 

www.ebay.com এ সাইটটিও amazon এর মতােই একটি সাইট। এখানে আপনি Product প্রমােট - এর জন্য বিভিন্ন ধরনের পণ্য পাবেন যেগুলাে বিক্রির জন্য আপনি পণ্যটির মূল্য অনুযায়ী অর্থ পাবেন।

রেজিস্ট্রেশন এর মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং

WWW.payza.com এখানে প্রতিটি ইউজার Registration করানাের মাধ্যমে আপনি ০.৫ ডলার থেকে সর্বোচ্চ ১০ ডলার পেতে পারেন।

www.bravenet.com এখানে আপনার লিংক ধরে কেউ Sign Up করে তাদের যে কোন একটি টুল ব্যাবহার করলেই প্রতি ইউজার সাইনআপ এর জন্য দেয়া হবে ১ ডলার।

www.chitika.com এই বিজ্ঞাপন প্রতিষ্ঠনের সাইটে আপনার লিংক থেকে কেউ Sign Up করলে তার ব্লগ বা ওয়েবের আয়ের ২৫ শতাংশ আপনিও পাবেন।

এছারা প্রতিটি পি.টি.সি সাইটে Affiliate Marketing-এর ব্যবস্থা থাকে। আপনার রেফারেল লিংক ব্যবহার করে কেও যদি তাদের সাইটে রেজিস্ট্রেশন করে তাহলে তার প্রতিটি ক্লিকের জন্য আপনিও নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ পাবেন।

ডাউনলােড এর মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং 

www.ziddu.com এ সাইটে আপনি পাবেন ০.০০১ ডলার। আপনার একাউন্টে ১০ Dollar হলে আপনি সেই অর্থ উত্তোলন করতে পারবেন। 

Www.hotfile.com এ সাইটে আপনি পাবেন ০.০০১ ডলার। আপনার একাউন্টে ১০ ডলার হলে আপনি সেই অর্থ উত্তোলন করতে পারবেন। তবে হটফাইলে যে সমস্যাটি আছে তা হল Download কাউন্ট হয় শুধু ৪৮ টি দেশ থেকে। তবে ঐ দেশগুলাের Traffic পেলে সাফল্য পেতে পারেন। 

Affiliate Marketing Ki Bangla বা এফিলিয়েট মার্কেটিং টিউটোরিয়াল শিখুন ।

এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবো

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করার জন্য আপনার মাঝে চারটি বিষয় থাকতে হবে সেগুলাে হল:

1. Strategy 

2. Time 

3. Effort 

4. Money

এই চারটা বিষয় আপনার মাঝে থাকলে আপনি Affiliate Marketing শুরু করতে পারেন। প্রথমত আপনাকে কাজের বিষয়ে কৌশলী হতে হবে। 

দিত্বীয়ত কাজ করার জন্য আপনার যথেষ্ট সময় থাকতে হবে কারণ এটি একটি দীর্ঘ সময়ে Business তাই আপনাকে সময় ব্যয় করতেই হবে নতুবা আপনি সাকসেস হতে পারবেন না। 

তৃতীয়ত আপনার সাকসেস হওয়ার জন্য প্রচেষ্টা করতে হবে কারণ এটি একটি কম্পেটেটিভ বিজনেস। সব শেষে আপনার যেটা দরকার সেটি হল টাকা। 

এখানে আপনার বিভিন্ন কাজে টাকা ব্যয় করা লাগতে পারে আপনার বিজনেস সঠিক ভাবে চালানাের জন্য। Affiliate Marketing Ki Bangla বা এফিলিয়েট মার্কেটিং টিউটোরিয়াল শিখুন ।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য কি কি দক্ষতা থাকতে হবে?

Affiliate Marketing শুরু করার জন্য আপনার খুব বেশি যােগ্যতার প্রয়ােজন হবে না। আপনি যদি মনে করেন নিচের চারটি গুণই আপনার মধ্যে আছে তাহলেই কেবল আপনি Affiliate Marketing করার জন্য সমর্থ হবেন।

গুণ চারটি হলাে:

১. বিশ্বাস 

২. ধৈর্যশীলতা 

৩. সততা 

৪. আত্মবিশ্বাস

এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সুবিধা

১. যে কোন পণ্য বিক্রয়: 

Affiliate মার্কেটার তার ইচ্ছা অনুযায়ী পণ্য নির্বাচন করতে পারেন এবং তা বিক্রয় করতে পারেন। তার কোন বাধ্যবাধকতা নেই যে সে এই পণ্য বা ঐ পণ্য তাকে বাজার জাত করতে হবে। সে তার ইচ্ছা অনুযায়ী যে কোন পণ্য প্রােমােট করতে পারবে।

২. ব্যক্তি স্বাধীনতা: 

এই ধরনের কাজে রয়েছে সম্পূর্ণ ব্যক্তি স্বাধীনতা। একজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার তার ইচ্ছা অনুযায়ী যখন খুশি তখন কাজ করতে পারেন। আমাদের প্রচলিত চাকরি ব্যবস্থায় ব্যক্তি স্বাধীনতা থাকেই না। সব সময় প্রতিষ্ঠানের নিয়ম অনুযায়ী কাজ করতে হয়।

৩, ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে আয়: 

এটি এমন একটি পদ্ধতি যেখানে আপনি ঘুমিয়ে থাকলেও আয় হতে থাকবে। কেননা আপনার রেফারাল লিংক ধরে যে যখনই কোন পণ্য ক্রয় করবে তখনই আপনি আপনার Commission পাবেন।

৪. কোন অর্ডার প্রসেস করতে হয় না: 

আপনি প্রােডাক্ট বিক্রি করে কমিশন পাবেন। কিন্তু এই জন্য আপনাকে কোন রকম অর্ডার প্রসেস এর ঝামেলায় যেতে হবে না। 

৫. বিশ্বব্যাপি বাজার সুবিধা: 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য সব চেয়ে বড় সুবিধা হল আপনি আপনার পন্য বিশ্বের যে কোন দেশে প্রােমােট করতে পারেন। 

৬. ঘরে বসে কাজ পরিচালনা: 

এই কাজের আরও একটি উল্লেখযােগ্য সুবিধা হল ঘরে বসেই আপনি আপনার কার্য পরিচালনা করতে পারবেন।

৭. অধিক আয়ের সুবিধা: 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ রয়েছে অনেক বেশি আয়ের সুবিধা। এখানে আপনি যত বেশি পরিশ্রম করবেন তত বেশি ইনকাম করতে পারবেন।

ডিজিটাল মার্কেটিং, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ও ইন্টারনেট মার্কেটিং কি?

আমরা মার্কেটিং কি কম বেশি সবাই জানি। মার্কেটিং হচ্ছে বসুন্ধরা সিটি যেয়ে গার্লফ্রেন্ড এর জন্য ঈদ এ নতুন জামা ও জুতা কেনা। তাই না? 

আসলে কিন্তু না আসলে মার্কেটিং হচ্ছে যে কোন পণ্য অথবা সার্ভিস এর Promotion করা, প্রচার করা ও ওই পণ্য এর ক্রেতা তৈরি করা। এই মার্কেটিং আপনি যখন অনলাইন এ করবেন সেটা হবে “ডিজিটাল মার্কেটিং” । 

আপনি যখন আপনার এই “ডিজিটাল মার্কেটিং” স্কিল টা নিজের কোন প্রডাক্ট অথবা সার্ভিস এর বিক্রয় ও প্রমােশন এর জন্য ব্যাবহার করবেন, তখন সেটা হবে ইন্টারনেট মার্কেটিং। 

আর আপনি যখন আপনার Digital Marketing স্কিল টা ব্যাবহার করে অন্য কারও প্রডাক্ট অথবা সার্ভিস কমিশন ভিত্তিক প্রমােশন করবেন সেটা হবে Affiliate Marketing। Affiliate Marketing Ki Bangla বা এফিলিয়েট মার্কেটিং টিউটোরিয়াল শিখুন ।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি আপনার জন্য?

Affiliate Marketing আপনার জন্য ভালাে একটি ক্যারিয়ার হবে কিনা তা এখনি জানা যাবে। আমি নিচে কিছু লিখবাে, সব গুলাে যদি আপনার সাথে মিলে যায়, তাহলে Affiliate Marketing আপনার জন্য। একটিও যদি না মিলে, যত দিন আপনি ওই জিনিস টি মিলাতে না পারবেন, ভালাে মার্কেটার হতে ওই একটি বাঁধা আপনার রয়ে যাবে।

  • আমার কম্পিউটার টি আমার মন মত, এই Computer এ আমি কাজ করে আনন্দ পাই। 
  • আমার Internet লাইন টি আনলিমিটেড আর আমি সহজেই Youtube এ আটকানাে ছাড়া ভিডিও দেখতে পারি। 
  • আমার একটি Printer আছে। 
  • আমার একটি আলাদা কাজ এর জায়গা আছে, আর কাজের সময় আমাকে কেও Disturb করে না।
  •  আমি স্বপ্ন দেখতে পছন্দ করি আর তাই স্বপ্ন সত্যি করার জন্য আমি নিরলস পরিশ্রম করতে রাজি।
  •  আমার English খুব ই ভালাে, আমি যা শুনী সহজেই বুঝি, আর আমি কোন সমস্যা ছাড়া English লিখতে পারি।
  • নতুন বিষয়ে Study করতে, গবেষণা করতে আমার ভালাে লাগে। 
  • খুব সূক্ষ্ম ভুলও আমার চোখ এড়ায় না, যা করি একদম ভালাে মত করি। 
  • বন্ধু, আড্ডা, খেলা, ঘুরে বেরানাে সব কিছুর চাইতে বেশি আমি আমার ক্যারিয়ার কে মূল্য দেই। 
  • আমি কখনই হার মানি না, একটি কাজ শুরু করলে সেইটা শেষ করেই ছাড়ি। 
  • আমি প্রতিদিন অন্তত ৩ ঘণ্টা Affiliate Marketing এ কাজ করতে পারব। 
  •  Affiliate Marketing এ এখনি কামাই করার চাইতে, শিখা টা আমার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। 
  • মানুষ এর মন মানসিকতা ও চিন্তাধারা (Customer Phycology) সম্পর্ক জানতে ভালাে লাগে। 
  • যেকোনাে কিছু সম্পর্কে আমি Details তথ্য খুঁজে বের করতে পারি গুগল থেকে। 
  • আমার মধ্যে লােভ খুব একটা কাজ করে না। তাড়াতাড়ি বড়লােক হওয়াতে আমি বিশ্বাসী না।। 
  • আমি জানি আমি পারব, আমি সম্পূর্ণ আত্মবিশ্বাসী, সামনে বছর এই সময় আমি একজন সফল Marketer হয়ে দেখাব।

সবগুলাে যদি আপনার সাথে মিলে যায় তাহলে, শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য, Affiliate Marketing এ সফল আপনি হবেন ই, ইনশাল্লাহ। Affiliate Marketing Ki Bangla বা এফিলিয়েট মার্কেটিং টিউটোরিয়াল শিখুন ।

এফিলিয়েট মার্কেটিং গাইডলাইন শুরু করার আগে আপনার ৩ টি টপিক জানা লাগবে - 

১। নিস কিঃ নিস কে সহজ ভাষায় বলা যায় “ইন্ডাস্ট্রি”। মার্কেট এ গেলে যেমন দেখা যায় কাপড় এর দোকান, খাওয়ার দোকান, জিম, বিউটি পার্লার ইত্যাদি। আপনি জানেন Internet এও রয়েছে ফুড এর Website, ড্রেস এর ওয়েবসাইট, বিভিন্ন বিউটি প্রডাক্ট ইত্যাদি। 

এখন খাওয়ার দোকান যেমন হচ্ছে “ফুড ইন্ডাস্ট্রি” এর মধ্যে, একইরকম “ফুড এর Website” হচ্ছে “ফুড নিস” এ। অফলাইন এ ইন্ডাস্ট্রি আর Online এর ভাষায় “নিস”। নিশ কে Internet এর বিভিন্ন ওয়েবসাইট ও প্রডাক্ট এর Category ও বলা চলে। যেমন: “Career & Jobs” এই ক্যাটাগরি তে পরবে যত রকম জব ও ক্যারিডভর ভিত্তিক Website, প্রডাক্ট, সার্ভিস। 

আপনি যদি কোন ক্যারিয়ার Related প্রডাক্ট নিয়ে কাজ করতে চান, উধাহরন সরূপ বলা যায় oDesk যদি প্রমােট করেন, তাহলে আপনার নিশ হচ্ছে “Career & Jobs”. উল্লেখ্য অনেকেই হয়তাে ভাববেন, oDesk হবে Freelancing ক্যাটাগরি / নিস এ। হা এইটা সত্য, Upwork আসলেই “Freelancing/Outsorcing” নিস এ, কিন্তু একই সাথে আবার “Career & Jobs” এও। 

একটু পেঁচানাে মনে হচ্ছে? হওয়াটাই স্বাভাবিক। নিস এর মধ্যে একটি জিনিষ আছে সেটা হচ্ছে “সাব নিস”। এখানে oDesk যদি প্রডাক্ট হয় তাহলে এটির নিস হবে Career & Jobs > Freelancing/Outsourcing. অর্থাৎ প্রধান Niche হচ্ছে “Career & Jobs আর সাব নিস হচ্ছে “Freelancing/Outsourcing”। আরও কিছু উধাহরন দেয়া যায় যেমন Food & Cooking > Recipies অথবা Sports > Football > Shoes। আপনি একটি প্রধান নিস এর যত | ভিতরে যাবেন (সাব নিস) আপনার জন্য তত সহজ হবে কাজ শুরু করা।

২। কিভাবে ও কোথায় আপনার পছন্দের নিস থেকে ভালাে মানের কমিশন ভিত্তিক প্রডাক্ট পাবেন প্রমােশন এর জন্যঃ বিভিন্ন Marketplace রয়েছে যেখানে আপনি আপনার পছন্দ মত প্রােডাক্ট পাবেন আপনার পছন্দের নিশ এ। 

আপনি একটু গুগল এ সার্চ করলেই অন্তত ৫০টি ভালাে মানের অ্যাফিলিয়েট মার্কেটপ্লেস পাবেন। তবে শুরু করার জন্য সবচাইতে ভালাে হচ্ছে ClickBank.com, বাংলাদেশ থেকে কিভাবে ক্লিকব্যাংক এ কাজ করবেন এইটা এই ভিডিও টি দেখলে শিখতে পারবেন। 

এছাড়া আপনি শুরু করতে পারেন Jvzoo এ, অথবা LinkShare এ। মার্কেটপ্লেস এ একাউন্ট ওপেন করা, কাজ শুরু করা কোন ব্যাপার ই না YouTube এ খুঁজলেই অনেক ভিডিও পাবেন। 

আর আপনি যদি ClickSure এ কাজ শুরু করতে চান, তাও করতে পারেন, তবে আমার মতে শুরু করার জন্য সবচাইতে ভালাে হচ্ছে ClickBank. আপনি এই Marketplace গুলােতে আপনার মন মত প্রােডাক্ট পাবেন।

৩। কিভাবে সেই প্রডাক্ট টি অনলাইন এ মার্কেটিং করে কমিশন আয় করবেনঃ এই ছােট্ট প্রশ্ন টির সঠিক উত্তর আমি আজ ৭ বছর ধরে শিখছি, এখনও মনে হয় কিছুই শিখতে পারিনি। 

আমি আপনাদের খুব সহজ ভাষায় বলব আর কিছু Idea দিবাে যেন আপনি গুগল ও youtube থেকে নিজ গুনে এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারেন। 

পণ্য টি আপনি ২ ভাবে মার্কেট করতে পারেন। এক হচ্ছে ডিরেক্ট মার্কেটিং, অর্থাৎ সরাসরি কাস্টমার দের প্রােডাক্ট এর সেলস পেইজ এ পাঠিয়ে দিয়ে। 

আর দ্বিতীয় হচ্ছে একটি সেলস ফানেল করে কাস্টমার দের কন্টাক্ট ইনফো নিয়ে, ওদের প্রােডাক্ট এর গুণাগুণ সম্পর্কে জানিয়ে এর পর প্রােডাক্ট এর সেলস পেইজ এ পাঠিয়ে। ২ টি মেথড ই আমি একটু পরে আলােচনা করবাে, তবে যে মেথড এই কাজ করেন আপনার তিনটি জিনিষ জানা লাগবে তা হল 

১। কাস্টমার চেনা (Traffic Targetting) 

২। তাদের প্রােডাক্ট পেইজ এ নিয়ে আশা (Drive Traffic) 

৩। কনভারসন টেকনিক।

আর বলা বাহুল্য বেশিরভাগ সফল মার্কেটার সেলস ফানেল এর মাধ্যমে Marketing এ কাজ করে, আর আমি চাই আপনিও সেলস ফানেল করে কাজ করেন, তবে এর জন্য আপনার জানতে হবে সেলস ফানেল কি ও কিভাবে তৈরি করবেন, যেটা একটু পরেই আমরা আলােচনা করবাে। Affiliate Marketing Ki Bangla বা এফিলিয়েট মার্কেটিং টিউটোরিয়াল শিখুন ।

কিভাবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ কাজ শুরু করবেন?

আপনি যদি Direct মার্কেটিং করতে চান, যেটা শর্টকাট অথবা যদি এমন ভাবেন আগে একটু চেষ্টা করে দেখি যদি কিছু নগদ “নারায়ণ” আসে তাহলে ভালাে ভাবে শুরু করবাে, তাহলে কিভাবে শুরু করবেন বলার খুব একটা কিছু নাই। 

একটি প্রােডাক্ট সিলেক্ট করেন, আর এর পর ট্রাফিক সেন্ড করেন সেই প্রােডাক্ট পেইজ এ। আর যদি সত্যিকার মার্কেটার এর মত কাজ করতে চান, ক্যারিয়ার করতে চান, তাহলে অবশ্যই সেলস ফানেল করে কাজ করেন। 

কিভাবে ও কোথা থেকে Affiliate Marketing এ কাজ শুরু করবেন এর জন্য আমি নিচে স্টেপ বাই স্টেপ নােট করে দিচ্ছি -

১। প্রস্তুতিঃ যদি সফল হতে চান তাহলে প্রথমেই নিজের সাথে কমিটমেন্ট করতে হবে যে কোন মূল্যে সফল হবােই”। সাধারণ মানুষ এর চাইতে কমিটেড মানুষ দের সাফল্য অনেক গুন বেশি। আর এই Comitment টি করতে হবে একদম মন থেকে, আপনাকে আপনি বলবেন যে কোন মূল্যে আমি সফল হবােই। 

কমিটমেন্ট করার পর একটি প্লান করবেন কবে থেকে কাজ শুরু করবেন, কত টাকা আপনার ইনভেস্টমেন্ট, দিনে কত ঘণ্টা কাজ করবেন, কত ঘণ্টা কাজ শিখার জন্য দিবেন, কি কি ওয়েবসাইট ফলাে করবেন ইত্যাদি। 

কাজ সম্পর্কিত সকল কিছু একটি প্লান এর মধ্যে নিয়ে আসবেন, মনে মনে রাখলে পরে ভুলে যাবেন, তাই সব কিছু প্রথমেই প্লান আকারে নােট করে নিবেন।

২। নিস সিলেকশনঃ সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে Niche সিলেকশন। আপনি যদি আপনার জন্য পারফেক্ট নিস সিলেক্ট না করতে পারেন, তাহলে সফলতার হার কাজ শুরু করার আগেই কমে যাবে! 

আমরা অনেকেই নিস Selection এর জন্য সবচাইতে বেশি গুরুত্ব দেই Keyword Research, Market Analysis ইত্যাদি জটিল সব বিষয় কে আর সহজ একটি জিনিশ ভুলে যাই “আমার কি ভাল লাগে”। 

যে কোন কাজ এ সফল হওয়ার জন্য প্রচুর পড়াশােনা করতে হয়, আর যদি আপনার টপিক টি আপনার পছন্দের না হয় তাহলে এর উপর প্রচুর পড়াশােনা করা প্রায় অসম্ভব। 

নিস সিলেকশন এর জন্য আমার বেক্তিগত মতামত হচ্ছে মার্কেট রিসার্চ, কম্পিটিশন, keyword ইত্যাদি বিষয় এর চাইতে বেশি গুরুত্ব দেয়া লাগবে আপনার কি ভাল লাগে, আপনি কি পারেন, আপনার দক্ষতা কোথায় তার উপর। 

উদাহারন আপনি হয়ত একজন ওয়েব ডিজাইনার, আপনার নেশা, পেষা, ভালবাসা সব কোডিং আর ডিজাইনিং ঘিরে কিন্তু সাইড ইনকাম এর আসায় অ্যাফিলিয়েট এ কাজ করার চেষ্টা করছেন “Make Money” তে !! 

আপনার উচিত আপনার কাজের সাথে সামঞ্জস্য রেখে আপনার ভাল লাগে এমন নিস সিলেক্ট করতে উদাহারন আপনার ওয়েব ডিজাইনার হলে আপনার জন্য ভাল হবে থিম প্লাগিন এর অ্যাফিলিয়েট করলে। 

সুতরাং আপনার পছন্দ মত একটি নিস সিলেক্ট করে ফেলেন, যদি হেল্প লাগে এ বেপারে কমেন্ট এ জানাতে পারেন আপনার কি ভাল লাগে, কি কাজ করেন আপনি আমি সাজেশন দিয়ে দিবাে।

৩। নিস অথরিটিঃ সবাই ক্লিক পায় আর কিছু মানুষ সেল পায় এর কারন টা এইটা আমরা বেশিরভাগ ই যে কোন একটা নিস সিলেক্ট করে “ক্লিক আনার যুদ্ধে নেমে পরি! 

আপনার মার্কেট থেকে সেল নিতে হলে ওই মার্কেট এ আপনার অথরিটি থাকা লাগবে, আপনার ওই নিস সম্পর্কে দক্ষতা লাগবে, আর এই দক্ষতাই আপনাকে হেল্প করবে ভাল মানের কন্টেন্ট বানাতে, এড লিখতে, ল্যান্ডিং পেইজ বানাতে, ফলােআপ করতে।

নিস সিলেক্ট করার পর অন্তত ১৪ দিন ( ২ সপ্তাহ ) সময় দিন নিস অথরিটি পাওয়ার জন্য। কিভাবে পাবেন বলছি যদি আপনার নিস হয় “Weight Loss” তাহলে আপনি প্রথমেই খুঁজে বের করবেন এর উপর ভাল মানের ৫-৬ টা ব্লগ, ভাল মানের আর্টিকেল গুল সব প্রিন্ট করে ফেলবেন এর পর পরীক্ষার সময় যেভাবে পড়ে নােট নিতেন ঠিক সেইভাবে আর্টিকেল গুল পরবেন, যা যা ভাল লাগবে নােট নিবেন। 

মার্কেট এ ভাল মানের কি কি প্রােডাক্ট আছে সব গুলাের সম্পূর্ণ সেলস Video দেখবেন, রিভিও পরবেন, ব্লগ | ভিডিও তে কমেন্ট গুলাে পরবেন। 

সব মিলিয়ে আপনার ভাল ধারনা হবে, মার্কেট এ কি রকম প্রােডাক্ট আছে, মানুষ কি রকম প্রােডাক্ট চায়, তাদের কি সমস্যা, আর কোন প্রােডাক্ট এর কোন গুণাবলি সেই সমস্যা সমাধান এ কাজে দিবে। 

এছাড়াও আপনি যখন আপনার নিস সম্পর্কে জানবেন আপনার নিজের মধ্যে ভাল Confidence কাজ করবে, প্রত্যেকটি কাজ সাবলীল ভাবে করতে পারবেন। অন্তত ২ সপ্তাহ ভাল ভাবে নিস সম্পর্কে পড়াশােনা করার পর আপনি এর পর এর ধাপ এ কাজ করবেন। 

আর কাজ শুরু করার পর প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট সময় দিবেন নিস এ নতুন কিছু শিখার জন্য। ভাল হয় যখনি ভালাে কোন ভালাে আর্টিকেল দেখবেন সাথে সাথে প্রিন্ট করে রাখবেন, আর প্রতিদিন ৩০ মিনিট করে পরবেন। 

আপনি আমার এই কথাটি সিরিয়াস নেন আর না নেন, কিন্তু এইটাই সত্যি আপনি যদি আপনার নিস সম্পর্কে ভালাে ভাবে না জানেন তাহলে আপনি ভালাে করতে পারবেন না, আর আপনি যদি প্রতিদিন আপনার নিস সম্পর্কে নতুন নতুন জিনিস না শিখেন তাহলে আপনার আয় বাড়বে না। 

আর একটা কাজ করবেন যখন ভালাে Article দেখেবন, ভালাে কোন এড দেখবেন যা যা ভালাে লাগে নােট করে রাখবেন পড়ে আপনার কাজে লাগবে। লাগবে। একটা 

বেপার মাথায় রাখেবন আপনি যত কম কম্পিটিশন এর ই নিস বের করেন না কেন আপনি যদি জানেন সেখানে ভালাে করার সুযােগ নাই, আর আপনি যেই নিস ভালাে জানেন সেখানে যতই কম্পিটিশন থাক আপনার ভালাে করার সুযােগ আছে।

৪। মার্কেট সিলেকশনঃ নিস সিলেক্ট করার পর সিলেক্ট করবেন মার্কেটপ্লেস। একসাথে অনেক গুলাে মার্কেট এ কাজ করার চাইতে যে কোন একটায় কাজ শুরু করা ভালাে। 

এতে আপনি বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বােধ করবেন। অনেক গুলাে মার্কেটপ্লেস আছে তবে শুরু করার জন্য ভালাে হচ্ছে ClickBank.com অথবা JvZoo.com. এছাড়া অন্য কিছু মার্কেটপ্লেস হচ্ছে ClickSure.com, ClickBetter.com, PayDot.com, VIPAffiliates.com, TwistDigital.com, LinkShare.com, Cj.com, Payspree.com ইত্যাদি। 

যেই মার্কেট এ কাজ করবেন সেই মার্কেটপ্লেস এর অফিসিয়াল YouTube চ্যানেল এ অনেক টিপস । how to ভিডিও পাবেন ওগুলাে দেখে নিলে অনেক উপকার পাবেন।

৫। প্রােডাক্ট সিলেকশনঃ মার্কেটপ্লেস ঠিক করার পর আপনি মার্কেট এর প্রােডাক্ট ক্যাটাগরি থেকে আপনার পছন্দের নিস এর ক্যাটাগরি তে ঢুকে প্রােডাক্ট গুলাে কাস্টমার হিসাবে দেখেন। 

আপনি যদি ” নিস অথরিটি” এর জন্য ২ সপ্তাহ সময় দিয়ে থাকেন, তাহলে ১০-১৫ টা প্রােডাক্ট চেক করলে ১টি ভালাে প্রােডাক্ট খুঁজে বের করা আপনার জন্য কোন বেপার না। 

ভালাে প্রােডাক্ট কখনও “সার্চ” ভলিউম এর উপর নির্ভর করে না, ভালাে প্রােডাক্ট এ “Clear benefit” থাকে, ভালাে মানের সেলস পেইজ থাকে, ভালাে সাপাের্ট থাকে এবং একি সাথে ভালাে রিভিও থাকে। 

আমি ইভেন্ট এ, ও আমার এডভান্স টিটরিয়াল এ প্রােডাক্ট সিলেকশন এর উপর বিস্তারিত আলােচনা করেছি, আসা করি ব্লগ এ ও একটি আর্টিকেল দিতে পারব তাড়াতাড়ি। এছাড়া আপনি Google ও YouTube 4 “How to select/find a good/profitable product for affiliate marketing/promotion” লিখে সার্চ করলে ভালাে রিসাের্স পাবেন।

৬। সেলস ফানেলঃ প্রথমেই বলি সেলস ফানেল কি? সেলস ফানেল মূলত একটি ” ফানেল” জার মাধ্যমে ট্রাফিক কে ঘুরিয়ে আনলে সেলস এর প্রবাবিলিটি বারে। উদাহারন সরূপ বলা যায় কাস্টমার একটি হােস্টিং কিনবে, আপনি যদি তাকে সরাসরি হস্টিং এর সেলস পেইজ এ পাঠিয়ে দেন তাহলে সেটি ডিরেক্ট মার্কেটিং হচ্ছে, আর আপনি যদি একটি পেইজ বানান যেখানে আপনি সেই হােস্টিং এর বেনিফিট গুলাে তুলে ধরেছেন, হয়তাে কিছু ভিডিও করে দিয়েছেন কিভাবে এই হােস্টিং টি ব্যাবহার করতে হয় সেই ভিডিও গুলাে দেখলে, আর ভালাে ভাবে জানলে কিন্তু তখন পটেনশিয়াল কাস্টমার এর কেনার উৎসাহ বেড়ে যাবে। 

এই যে আপনার এই একটি পেইজ অথবা, ভিডিও অথবা আর্টিকেল যাই হক কাস্টমার কে সেলস পাইজ এ পাঠানর আগেই কেনার জন্য উৎসাহী করে তুলবে এইটাই মূলত সেলস ফানেল। 

ভালাে মানের একটি সেলস ফানেল তৈরি করতে ৫ থেকে ১০ দিন লাগা টা স্বাভাবিক আর ১০০ থেকে ৩০০ খরচ হওয়া টাও স্বাভাবিক। 

আপনার যত ভালাে সেলস ফানেল তত বেশি ইনভেস্টমেন্ট এর উপর রিটার্ন পাবেন। তবে অল্প তেও শুরু করা যায় যেমন Fiverr.com থেকে মাত্র ৮৫ দিয়েও আপনি চাইলে একটি Squueze Page বানিয়ে নিতে পারবেন। Affiliate Marketing Ki Bangla বা এফিলিয়েট মার্কেটিং টিউটোরিয়াল শিখুন ।

সেলস ফানেল হিসাবে সবচাইতে ভালাে কাজ করে ভিডিও ল্যান্ডিং পেইজ, এর পর হচ্ছে মাইক্রো ব্লগ, এর পর নরমাল ল্যান্ডিং পেইজ। আর ভালাে হয় যদি আপনি একটি ওয়েবসাইট / ব্লগ করতে পারেন আর আপনার ব্লগ এর আর্টিকেল এর সাথে ভিডিও ল্যান্ডিং পেইজ লিঙ্ক করেন।

ভালাে একটি প্রােডাক্ট সিলেক্ট করার পর আপনার একটি সেলস ফানেল তৈরি করা লাগবে। আমার করা ১ নাম্বার ভিডিও টি দেখে আপনি ল্যান্ডিং পেইজ করতে পারবেন। 

আমি ভিডিও তে একটি ল্যান্ডিং পেইজ ডিজাইন করে দেখিয়েছি। আপনি যদি নিজে ভালাে ডিজাইন করতে না পারেন তাহলে fiverr.com/ oDesk.com/ eLance.com/ Guru.com থেকে আপনার ল্যান্ডিং পেইজ ডিজাইন করিয়ে নিতে পারেন। আর Authority Niche Blogging টিউটরিয়াল টি দেখলে ব্লগ এর সাথে কিভাবে ল্যান্ডিং পেইজ লিঙ্ক করে কাজ করবেন শিখতে পারবেন।

৭। Tracking, Split Test, Optimization: সেলস ফানেল এ ইনভেস্ট করার আগে অবশ্যই আপনার ফানেল টি কেমন কনভার্ট হয় এইটা টেস্ট করা লাগবে। 

আপনি অল্প কিছু ট্রাফিক কিনে আপনার ল্যান্ডিং পেইজটি আরও ভালাে কনভার্ট হওয়ার জন্য Optimize করতে পারেন। 

ট্রাফিক ট্র্যাক করার জন্য আপনি Google Analytics, Clicky.com অথবা Hypertracker.com ব্যাবহার করতে পারেন, কোন ট্রাফিক থেকে আপনি বেশি Subscriber / Lead পাচ্ছেন এইটা বের করতে পারবেন adtrackzgold.com এই সফটওয়্যার টি ব্যাবহার করে। 

একই সেলস ফানেল বিভিন্ন ছবি / কন্টেন্ট । ভিডিও দিয়ে স্পিট টেস্ট করে দেখতে পারেন কোন হেডার / ভিডিও / কন্টেন্ট এর দ্বারা সবচাইতে বেশি কনভার্ট হচ্ছে। স্পিট টেস্ট করার একটি সহজ সফটওয়্যার হচ্ছে adtracksgold.com, টেস্ট এর জন্য ভালাে মানের ১০০০ থেকে ২০০০ ক্লিক যথেষ্ট আর এই টেস্ট গুলাে করে আপনি সহজেই আপনার সেলস ফানেল কে Optimize করতে পারবেন।।

৮। ট্রাফিকঃ টেস্ট করে ভালাে একটি সেলস ফানেল পেলে ( ভালাে মানে অন্তত ৪০% Subscriber পাওয়া যায়) এর পর আপনি সেই ফানেল এ ট্রাফিক নিয়ে আসবেন। 

আমাদের সবার ধারনা ট্রাফিক” মানেই সবকিছু ভুল। ভালাে সেলস ফানেল ই সব কিছু, কারন ভালাে সেলস ফানেল এ ইনভেস্ট করলে রিটার্ন আসে, আর খারাপ সেলস ফানেল এ ইনভেস্ট করলে ক্লিক আসবে কিন্তু সেল আসবে না। কিভাবে ট্রাফিক টানবেন এর উপর কিছু ভিডিও আমি করে দিয়েছি আমার YouTube চ্যানেল এ। 

এছাড়াও কিছু টিপস দিয়ে দিচ্ছি ফ্রি ট্রাফিক চাইলে ব্লগ কমেন্ট, রিলেটেড ফোরাম এ একটিভ হওয়া, Yahoo Answer ভালাে, তবে বেস্ট হচ্ছে সােশাল মিডিয়া মার্কেটিং। 

আর পেইড ট্রাফিক চাইলে ভালাে হচ্ছে PPC, আর PPC এর জন্য ভালাে কিছু সাইট হচ্ছে, facebook.com, adknowledge.com, adbrite.com, 7search.com, bidvertiser.com, এছাড়াও সিন হায়েসে এর এই আর্টিকেল টি পড়তে পারেন “The Top 22 Pay-Per-Click PPC Advertising Network”। এছাড়া আপনি google এ “Top PPC networks” সার্চ করলে আর অনেক পাবেন। 

এছাড়া Banner Ad (Media Buy) থেকে ভালাে মানের ট্রাফিক পাওয়া যায়, মূলত ভালাে ব্লগ গুলােতে যােগাযােগ করে সরাসরি এড দেয়া ভালাে, কিন্তু চাইলে আপনি Media Buy marketplace ব্যাবহার করতে পারেন। 

কিছু ভালাে Media Buy/Sell Market হচ্ছে BuySellAds.com, AdEngage.com, ProjectWonderful.com, SiteScout.com, BlogAds.com ইত্যাদি। এছাড়াও আপনি পেইড ট্রাফিক এর জন্য PPV, CPV, CPVR, SOLO, SWIPE, Mobile Traffic, Agency ইত্যাদি ট্রাফিক মেথড ব্যাবহার করতে পারেন। 

আপনি চাইলে একটি ব্লগ করে আপনার ব্লগ এ SEO করতে পারেন, এটি অবশই পেইড ট্রাফিক এর মধ্যেই পরবে কারন ভালাে ভাবে SEO করাতে আপনার ৮৫০০ ৬১০০০ খরচ হবে। 

আপনি SEO করাতে চাইলে Upwork থেকে SEO Expert হায়ার করে নিতে পারেন, এরা Google এর প্রথম পেইজ এ আছে মানে নিঃসন্দেহে ভালাে SEO সার্ভিস দিতে পারবে। 

বর্তমান এ মােট ২৮ টি ট্রাফিক মেথড রয়েছে, সব গুলােই ভালাে কাজ করে, তবে ভালাে মার্কেটার রা অল্প কিছু ট্রাফিক মেথড এ master হয়। 

আপনি ও তাই করেন, যে কোন ১টি অথবা ২টি মেথড এ কাজ করেন, এবং এটা নিয়েই লেগে থাকেন, আস্তে আস্তে আপনার যত ট্রাফিক দরকার আপনার ওই একটি মেথড ই আপনাকে দিতে পারবে। 

যেমন আমার সকল ট্রাফিক আসে CPVR থেকে, আর এই একটি মেথড এই আমি সব সময় কাজ করি। আবার অনেকেই শুধু FB PPC তে কাজ করছে, ওই একটি থেকেই তার সব ট্রাফিক আসছে। 

সুতরাং আপনিও শুরু করার জন্য যে কোন ১টি ট্রাফিক মেথড বেছে নিন ভালাে হয় যে কোন PPC নেটওয়ার্ক এ কাজ শুরু করতে পারলে।

৯। Constant Monitoring & Improving: একজন ভালাে মার্কেটার তার প্রতিটি ক্যাম্পেইন এর প্রতি মুহূর্তে প্রতিটি খুঁটিনাটি মনিটর করে। 

আপনার সব সময় Adtracksgold অথবা একি রকম কোন সফটওয়্যার ব্যাবহার করে চেক করা লাগবে কোন ট্রাফিক সাের্স এর কোন এড থেকে আপনি বেশি লিড পাচ্ছেন, কোন ল্যান্ডিং পেইজ ভালাে কনভার্ট হচ্ছে, কোন প্রােডাক্ট এর কত EPC, আপনার কোন CPC এই প্রতিটি জিনিস সব সময় মনিটর করা লাগবে, আর কোন টি খারাপ মনে হলে সাথে সাথে ওই ক্যাম্পেইন বন্ধ করে যেখানে সমস্যা সেটা ঠিক করা লাগবে। 

কোন সেলস ফানেল এ সারাজীবন কামাই করে না, প্রতিটি সেলস ফানেল এর একটা মেয়াদ থাকে, আপনি ক্যাম্পেইন টা এখন Profitable দেখে নাকে তেল দিয়ে ঘুমাতে গেলে ঘুম থেকে উঠার পর এ যে Profitable থাকবে তা নাও হতে পারে। 

প্রফিট বাড়ানাের একটি ভালাে উপায় হচ্ছে লস না দেয়া। এর জন্য পারলে একটি ট্যাব অথবা ভালাে মােবাইল কিনে নিবেন যেখানে আপনার দরকারি সব App যেমন “GetResponse”, “Google Analytics” ইত্যাদি ইন্সটল করে নিবেন, এর সাথে সব কাজের ওয়েবসাইট গুলাে বুকমার্ক করে রাখবেন হােমস্ক্রীন এ, যেন যে কোন সময় ক্যাম্পেইন এর কি অবস্থা এক নজর এই বুঝা যায়।

আপনি এভাবে শুরু করতে পারবেন, তবে প্রফিট করার জন্য আপনার অভিজ্ঞতা দরকার হবে, আর সেটা পাবেন। অন্তত ৩-৪ মাস কাজ করার পর। Affiliate Marketing Ki Bangla বা এফিলিয়েট মার্কেটিং টিউটোরিয়াল শিখুন ।

এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় কত টাকা আয় করা যায়?

Daily যদি আপনি ১ ঘন্টা সময় অপচয় করেন তবে মাসে 100$ বা বাংলাদেশী ৮০০০ টাকা আয় করতে পারবেন।

অনেক Bigineer মনে করেন আমি বাংলাদেশে থেকে কি করে বিদেশী দের কাছে Product সেল করব! আবার অনেকে Affiliate Marketing এর জন্য নিজস্ব একটা ওয়েবসাইট থাকতে হবে বলেন। কিছু দিন আগে ও একটা পােস্ট পড়লাম যেটা তে সেই রকম ই বলা হল । 

যা হােক আমি ছােট্ট একটা উপায় বলব যেটা দিয়ে আপনি মাসে সর্ব নিম্ন 100$ বা ৮০০০ টাকা আয় করতে পারবেন But আপনার কোন Web সাইট এর দরকার নেই। Affiliate Marketing Ki Bangla বা এফিলিয়েট মার্কেটিং টিউটোরিয়াল শিখুন ।

Affilate marketing থেকে আয় করার কিছু সহজ Tips কি?

Tips 1:

ভালাে একটা Affiliate Website select করুন আর রেজিস্ট্রেশন করুন। খুব সুন্দর করে ১ টা Review লিখুন । 

মনে রাখবেন একটার বেশী আর্টিকেল লেখার কোন দরকার নেই। গুগল সার্চ করে বেশ ক দিন সময় নিয়ে আর্টিকেল লিখুন। কেননা এই একটা আর্টিকেল ই আপনাকে টাকা এনে দেবে। 

এমন ভাবে আর্টিকেল লিখুন যাতে আপনার আর্টিকেল পড়ে অন্য লােকে প্রােডাক্ট কিনতে আগ্রহী হয়। যা হােক আমি ধরে নিলাম আপনার আর্টিকেল লেখা শেষ । 

এখন প্রধান কাজ করার সময়। আপনি আপনার প্রােডাক্ট এর উপর গুগলে সার্চ দিয়ে ফোরাম খুঁজে বের করুন আর ফোরাম এ আপনার আর্টিকেল টা পােস্ট করুন আর আর্টিকেল এর শেষে আপানার Affiliate Link টা দিয়ে দেন। Sign Up করার পর Affiliate ওয়েব সাইট এই লিঙ্ক টা আপনাকে দেবে। 

আপনি এটা খুব যত্ন করে রাখবেন আর এই লিঙ্ক টা ফেসবুক এ ও শেয়ার করতে পারেন। একটা গােপন কথা শেয়ার করলাম যা আপনাকে অন্য কেউ বলবে না। 

ফোরাম থেকে Review পড়ে ৯৫% প্রােডাক্ট বিক্রি হয়। যদি আপনার আর্টিকেল ভালাে হয় তবে Sell হতে সময় লাগবে না। 

প্রতিদিন ১ ঘণ্টা সময় অপচয় করে ফোরাম খুঁজে বের করে আর্টিকেল পােস্ট করতে থাকুন। আর যদি সময় থাকে তবে ফোরাম গুলােতে অ্যাক্টিভ থাকুন।

Tips 2:

প্রথমে ১০ টি নতুন ফেইসবুক Id খুলুন। Id গুলাে মেয়েদের নামে হবে এবং প্রতিটা Id তে মিনিমাম ৫ টা ছবি রাখবেন যাতে id টা fake মনে না হয়। 

এবার facebook এর search ঘরে american group লিখে search দেন। দেখবেন অনেক group এর নাম এসেছে সেখানে প্রবেশ করুন এবং ঐ group এর wall এ যারা যারা status দিয়েছে তাদের profile দেখুন। যদি দেখেন তারা আমেরিকান তাহলে friend request পাঠান। 

এভাবে ওখান থেকে ১০ জনকে পাঠান। এবর ঐ ১০ জনের যত friends আছে সবাইকে friend request পাঠান। এভাবে friend request প্রতিদন পাঠাতে থাকুন। দেখবেন আপনর ফরেনার friend বেড়েই চলেছে। এটাতাে গেল ১টা id এর কথা। ১০টি Id দিয়ে আপনি ১০টি ধনী দেশের friend বাড়ান।

কিনতু ভুলেও bangladeshi, pakistani, indian friend বানাবেন না। কারন তাতে এসব দেশের মানুষে friend request এ আপনার account ভরে যাবে। আপনাকে লক্ষ্য রাখতে হবে আপনার ৫০০০ friends এর সবাই যেন american হয়। 

যন আপনর ১০টা id তে ২৫০০০ friend হয়ে যাবে তখন আপনি আপনার status এ আপনার পন্যের ads দিন আপনার দেয়া status থেকে যদি দিনে ১০০০০ ডলারের পণ্য sell হয় তাহলে আপনি পাবেন ১০০০০*১৫%=১৫০ ডলার বা ১০০০০ টাকা । Affiliate Marketing Ki Bangla বা এফিলিয়েট মার্কেটিং টিউটোরিয়াল শিখুন ।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ এফিলিয়েট মার্কেটিং গাইডলাইন | আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং কি

আমরা এতক্ষন জানলাম Affiliate Marketing Ki Bangla ও এফিলিয়েট মার্কেটিং টিউটোরিয়াল সম্পর্কে।  আশা করি আমাদের আজকের এই এফিলিয়েট মার্কেটিং গাইডলাইন ও আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং কি ভালো লেগেছে। যদি আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি ভালো লাগে তাহলে এখনি বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিন। আর এই রকম নিত্য নতুন আর্টিকেল পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইট টি ভিজিট করুন।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ