হেপাটাইটিস কি এবং কত প্রকার সংক্ষেপে লিখ

 আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো হেপাটাইটিস কি এবং কত প্রকার সংক্ষেপে লিখ জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের হেপাটাইটিস কী ।

হেপাটাইটিস কি এবং কত প্রকার সংক্ষেপে লিখ
হেপাটাইটিস কি এবং কত প্রকার সংক্ষেপে লিখ

হেপাটাইটিস কি এবং কত প্রকার সংক্ষেপে লিখ

  • হেপাটাইটিস কি ও কত প্রকার

উত্তর : ভূমিকা : হেপাটাইটিস বা যকৃৎ প্রদাহ রোগটি বর্তমানে খুবই পরিচিত। সাধারণত জন্ডিস ও হেপাটাইটিস ভাইরাস এক কথা নয়। 

হেপাটাইটিসের ভাইরাসে যকৃৎ ও লিভারের নানা ধরনের ক্ষতি হতে পারে। হেপাটাইটিস বিভিন্ন কারণে হতে পারে তবে এটি ভাইরাসজনিত কারণে বেশি হয়।

→ হেপাটাইটিস : হেপাটাইটিস শব্দটি শব্দটি ইংরেজি শব্দ। গ্রিক শব্দ হেপার এবং আইটিস শব্দ থেকে এর উৎপত্তি। হেপার অর্থ লিভার এবং আইটিস অর্থ প্রদাহ। 

সুতরাং একত্রে অর্থ হলো যকৃৎ প্রদাহ বা লিভার প্রদাহ। হেপাটাইটিস বলতে সাধারণত যকৃতের জ্বালা প্রদাহ স্ফীত ইত্যাদিকে বোঝায়। 

হেপাটাইটিস ভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তি যকৃৎ বা লিভারের প্রদাহ সৃষ্টি করে। মানব শরীরে যকৃৎ বা লিভার কোনো ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হলে তাকে হেপাটাইটিস বলে। কামেলা, জন্ডিস বাওলা ইত্যাদি নামে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পরিচিত।

→ হেপাটাইটিস প্রকারভেদ :

১. হেপাটাইটিস এ ভাইরাস : যখন যকৃৎ প্রদাহের এ ভাইরাস হেপাটাইটিস এ ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয় তখন তাকে হেপাটাইটিস এ বা ভাইরাস টাইপ বলা হয়। এ (HEV) জনিত প্রদাহের ভাইরাসের নাম হলো (RNA Virus) আরএনএ ।

২. হেপাটাইটিস বি ভাইরাস : বি ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হলে হেপাটাইটিস টাইপ বি বলা হয়। যকৃৎ প্রদাহের বি ভাইরাস হলো ডিএনএ (DNA Virus) ভাইরাস।

৩. হেপাটাইটিস সি : হেপাটাইটিস সি সাধারণত নন এ নন বি (Non-A-Non-B) গ্রুপের সদস্য। এ ভাইরাসের সাথে বি ভাইরাসের মিল আছে।

৪. হেপাটাইটিস ডি ভাইরাস : হেপাটাইটিস ডি ভাইরাস একটি ত্রুটিপূর্ণ আর এন এ (RNA) ভাইরাস। সংক্রমণ সৃষ্টির জন্য তার যকৃৎ প্রদাহের বি ভাইরাস প্রয়োজন। বি ভাইরাস বাহকের দেহ এটা সাধারণত উপসংক্রমণ হিসেবে প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে এবং পুরনো প্রদাহকে আরো বাড়িয়ে দেয়।

৫. হেপাটাইটিস ই ভাইরাস : হেপাটাইটিস ই ভাইরাস (ENANB) আন্ত্রিক অর্থাৎ মুখবিবরণ বা মলপথে ছড়ায়। ১৯৫৬ সালে দিল্লিতে এর প্রথমে প্রকোপ দেখা দেয়। হেপাটাইটিস এ ভাইরাসের সাথে E এর মিল আছে।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, হেপাটাইটিস একটি | মারাত্মক সংক্রামক রোগ এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির লিভার আক্রান্ত হয়ে এর কার্যকারিতা হারাতে পারে। কিডনি ফেল, লিভার সিরোসিস লিভার ক্যান্সার হতে পারে ।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ হেপাটাইটিস কি এবং কত প্রকার সংক্ষেপে লিখ

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম হেপাটাইটিস কি এবং কত প্রকার সংক্ষেপে লিখ । যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
Example.com - Your ACME Website Winner