উপসংস্কৃতি ও বিপরীত সংস্কৃতির মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় কর

 আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো উপসংস্কৃতি ও বিপরীত সংস্কৃতির মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের উপসংস্কৃতি ও বিপরীত সংস্কৃতির মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় কর ।

উপসংস্কৃতি ও বিপরীত সংস্কৃতির মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় কর
উপসংস্কৃতি ও বিপরীত সংস্কৃতির মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় কর

উপসংস্কৃতি ও বিপরীত সংস্কৃতির মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় কর

  • অথবা, উপসংস্কৃতি ও বিপরীত সংস্কৃতির মধ্যকার পার্থক্যগুলো উল্লেখ কর।

উত্তর : ভূমিকা : সংস্কৃতি মানব পরিচয় বহন করে। পৃথিবীতে বিভিন্ন ধরনের সংস্কৃতি বিদ্যমান। উপসংস্কৃতি ও বিপরীত সংস্কৃতি দুটি ভিন্ন প্রত্যয়। এই দুটি প্রত্যয়ের মধ্যে পার্থক্য বিদ্যমান। সমাজে বিশৃঙ্খলা দূর করার জন্য উপসংস্কৃতি ও বিপরীত সংস্কৃতি সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করা দরকার।

→ উপসংস্কৃতি ও বিপরীত সংস্কৃতির মধ্যে পার্থক্য তুলে ধরা হলো :

প্রথমত, উপসংস্কৃতি হলো বৃহত্তর সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে অপেক্ষাকৃত ক্ষুদ্রতর সংস্কৃতি। অন্যদিকে, বৃহত্তর সংস্কৃতির মধ্যে থেকে উপসংস্কৃতি যখন ব্যাপক বিস্তার লাভ করে, মূল সংস্কৃতির বিরোধী হিসেবে প্রতিপন্ন হয় এবং জাতীয় সংহতির পরিপন্থি হিসেবে প্রতিভাত হয় তখন তাকে বিপরীত সংস্কৃতি বলা হয় ।

দ্বিতীয়ত, বৃহত্তর সংস্কৃতির মধ্যে উপসংস্কৃতির স্বতন্ত্র হলেও এটি বৃহত্তর সংস্কৃতির বিরোধী নয়। অন্যদিকে, বিপরীত সংস্কৃতি একই সাথে বৃহত্তর সংস্কৃতি থেকে স্বতন্ত্র এবং এর বিরোধী ।

তৃতীয়ত, উপসংস্কৃতির ঐশ্বর্য ও বৈচিত্র্য মূল সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ ও মর্যাদাময় করে তুলে। অন্যদিকে, বিরাধী সংস্কৃতিমূলক সংস্কৃতির জন্য হুমকিস্বরূপ।

চতুর্থত, বৃহত্তম সংস্কৃতির উন্নয়ন ও বিকাশের ক্ষেত্রে উপসংস্কৃতি সহায়ক ভূমিকা পালন করে। বিপরীত সংস্কৃতির কারণে বৃহত্তর সমাজে মূল্যবোধের সংকট দেখা দেয় এবং সামাজিক নিয়ন্ত্রণ শিথিল হয়ে পরে এবং বৃহত্তর সংস্কৃতির বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়।

পঞ্চমত, উদাহরণ হিসেবে বেদে কিংবা জেলে সংস্কৃতিকে বাঙালি সংস্কৃতির উপসংস্কৃতি বলা যায়। অন্যদিকে বর্তমান Fm Radio সংস্কৃতিকে বাঙালি সংস্কৃতির বিপরীত সংস্কৃতি বলা যায় ।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, সংস্কৃতি মানুষের পরিচয় বহন করে । সমাজের মূল সংস্কৃতির সাথে উপসংস্কৃতি উপস্থিতি লক্ষ করা যায় । যখন মূল্য সংস্কৃতির সাথে উপসংস্কৃতির সংঘর্ষ দেখা যায় তখন বিপরীত সংস্কৃতির মধ্যে গভীর সম্পর্ক। সমাজে বিশৃঙ্খলা দূরীকরণে বিপরীতধর্মী সংস্কৃতি প্রতিরোধ করতে হবে ।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ উপসংস্কৃতি ও বিপরীত সংস্কৃতির মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় কর

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম উপসংস্কৃতি ও বিপরীত সংস্কৃতির মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় কর । যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ