আধিপত্য কাকে বলে বা হেজিমনি কাকে বলে

আধিপত্য কাকে বলে বা হেজিমনি কাকে বলে

  • আধিপত্য কাকে বলে? 
  • অথবা, সাম্রাজ্যবাদ কাকে বলে?
  • অথবা, হেজিমনির ধারণা দাও ।

আধিপত্য কাকে বলে বা হেজিমনি কাকে বলে
আধিপত্য কাকে বলে বা হেজিমনি কাকে বলে

আধিপত্য কাকে বলে বা হেজিমনি কাকে বলে

উত্তর : ভূমিকা : আধিপত্য বা সাম্রাজ্যবাদ বোঝাতে এন্থনিও গ্রামশি ‘হেজিমনি' প্রত্যয়টি ব্যবহার করেছেন। যেখানে কোনো দেশের বা সমাজের একটি দেশ বা দল অন্যান্য দেশ বা দলগুলোর উপর কর্তৃত্ব করে। 

এন্থনিও গ্রামশি ‘হেজিমনি’ প্রত্যয়টি ব্যবহার করেছেন আধিপত্য বা সাম্রাজ্যবাদ বোঝাতে । যেখানে কোনো দেশের বা সমাজের একটি দেশ বা দল অন্যান্য দেশ বা দলগুলোর উপর কর্তৃত্ব করে। 

সংক্ষিপ্ত অর্থে তিনি হেজিমনি বলতে ‘সাংস্কৃতিক আধিপত্য'কে বুঝিয়েছেন এবং বৃহৎ অর্থে হেজিমনি বলতে সব ধরনের কর্তৃত্বকে বুঝিয়েছেন।

আধিপত্য বা সাম্রাজ্যবাদ : আধিপত্য বা সাম্রাজ্যবাদ বলতে আমরা বিদেশি শাসন বা অত্যাচারকে বুঝে থাকি। সোজা কথায় বলা চলে এক দেশ কর্তৃক অন্য দেশে সাম্রাজ্য স্থাপন বা আধিপত্য বিস্তার করাকেই আধিপত্য বা সাম্রাজ্যবাদ বলে ।

ভি.আই লেনিনের মতে, “পুঁজিবাদী ব্যবস্থার মৌলিক চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের বিকাশ ও তাদের প্রত্যক্ষ অস্তিত্বের জন্য সাম্রাজ্যবাদের উদ্ভব হয়।”

চার্লস হজেস বলেন, “কোনো জাতির অভ্যন্তরীণ জীবনযাত্রার মধ্যে বিদেশি রাষ্ট্রের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক বা সাংস্কৃতিক ক্ষমতার প্রত্যক্ষভাবেই হোক বা পরোক্ষভাবেই হোক, বাণিজ্য প্রতিষ্ঠা লাভকেই সাম্রাজ্যবাদ বলে।”

হেজিমনির মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী ক্ষুদ্র জাতি গোষ্ঠীগুলোর উপর বৃহৎ জাতিগোষ্ঠীগুলোর আধিপত্য বিস্তার করে। যেমন-বাংলাদেশে বসবাসরত ক্ষুদ্র জাতিসত্তার সংস্কৃতির বিপন্নতা। আদিবসীদের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সাংস্কৃতিক সত্তাগুলো নানাভাবে হুমকির সম্মুখীন। 

তাছাড়া বাংলাদেশের সংবিধানে অন্যান্য নৃ-গোষ্ঠীর সংস্কৃতি ও ভাষার অস্তিত্বের কোন স্বীকৃতি নেই। ১৯৭৩ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষণা করেন, “বাংলাদেশের সব নাগরিক বাঙালি।”

১৯৭৪ সালে জাতীয় সংসদে একটি বিল পাস হয় যেখানে উল্লেখ করা হয় “Bangladesh is a unicultural and unlinguistic country.” এভাবে স্বাধীনতার পর থেকেই বাংলাদেশের ক্ষুদ্র জাতিসত্তার সংস্কৃতিকে অস্বীকার করা হয়েছে।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায়, বিশ্বব্যাপী ক্ষুদ্র জাতি | গোষ্ঠীগুলোর উপর বৃহৎ জাতি গোষ্ঠীগুলো আধিপত্য বিস্তার করে। যেমন-বাংলাদেশে বসবাসরত ক্ষুদ্র জাতিসত্তার সংস্কৃতির বিপন্নতা। 

আদিবাসীদের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সাংস্কৃতিক সত্তাগুলো নানাভাবে হুমকির সম্মুখীন। সুতরাং আধিপত্যের লক্ষ হলো একটা সম্রোজ্যবাদ গঠন, তার জন্য প্রয়োজনীয় সংগঠন গড়ে তোলা এবং তাবে বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয় নীতি গ্রহণ করা।

Next Post Previous Post
1 Comments
  • Anonymous
    Anonymous 15 November

    খুব ভালো

Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ