ডাকযোগে প্রশ্নমালা প্রেরণের সমস্যাসমূহ বর্ণনা কর - Rk Raihan

ডাকযোগে প্রশ্নমালা প্রেরণের সমস্যাসমূহ বর্ণনা কর

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো ডাকযোগে প্রশ্নমালা প্রেরণের সমস্যাসমূহ বর্ণনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের ডাকযোগে প্রশ্নমালা প্রেরণের সমস্যাসমূহ উল্লেখ কর।

ডাকযোগে প্রশ্নমালা প্রেরণের সমস্যাসমূহ বর্ণনা কর
ডাকযোগে প্রশ্নমালা প্রেরণের সমস্যাসমূহ বর্ণনা কর

ডাকযোগে প্রশ্নমালা প্রেরণের সমস্যাসমূহ বর্ণনা কর

  • অথবা, ডাকযোগে প্রশ্নমালা প্রেরণের সমস্যাসমূহ উল্লেখ কর। 
  • অথবা, ডাকযোগে প্রশ্নমালা প্রেরণের অসুবিধাসমূহ লেখ। 

উত্তর ভূমিকা : সামাজিক গবেষণা পরিচালনার ক্ষেত্রে প্রশ্নমালার ব্যবহার একটি বহুল প্রচলিত বিষয়। প্রশ্নমালা পদ্ধতিতে গবেষণা পরিচালনার ক্ষেত্রে অনেক বিস্তৃত বা দুর্গম গবেষণা এরিয়াতে ডাকযোগে প্রশ্নমালা প্রেরণ করা হয়ে থাকে। 

যদিও আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির আমূল পরিবর্তন এবং সময়ের পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে এ পদ্ধতি অনেকাংশে তার আবেদন হারিয়েছে। 

ডাকযোগে প্রশ্নমালা প্রেরণের অসুবিধাসমূহ ডাকযোগে প্রশ্নমালা প্রেরণের ক্ষেত্রে সাধারণত গবেষণাধীন এলাকায় ডাক সহযোগে প্রশ্নপত্র প্রেরণ করা হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে সাধারণ কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। 

নিম্নে ডাকযোগে প্রশ্নমালা প্রেরণের অসুবিধাসমূহ সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো :

১. সময়সাপেক্ষ : ডাকযোগে প্রশ্নমালা প্রেরণ একটি সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। এ পদ্ধতিতে সাধারণত ডাকের মাধ্যমে প্রতিনিধির কাছে প্রশ্নমালা পাঠানোর মাধ্যমে গবেষণাকার্য সম্পন্ন করা হয়। ফলে অধিকাংশ সময়ই তা সময়সাপেক্ষ হয়ে থাকে।

২. অনিশ্চয়তা : ডাকযোগে প্রশ্নমালা প্রেরণের মাধ্যমে গবেষণাকার্য সম্পাদনের ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা থাকে ডাক সঠিকভাবে গ্রহণ, কার্যপ্রক্রিয়া সম্পাদন এবং যথাযথভাবে দিয়ে আসার প্রায় প্রতিটি স্তরেই অনিশ্চয়তা থেকে যায়।

৩. তথ্যের নির্ভরযোগ্যতা : ডাকযোগে প্রশ্নমালা প্রেরণের মাধ্যমে সম্পাদিত গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্যের গ্রহণযোগ্যতা বা নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন থাকে। কারণ উত্তরদাতার অবাধ স্বাধীনতার কারণে তথ্যের নির্ভরযোগ্যতা অধিকাংশ ক্ষেত্রে হ্রাস পায়। 

৪. অপ্রাসঙ্গিকতা : ডাকযোগে প্রেরিত প্রশ্নমালার মাধ্যমে সম্পাদিত গবেষণায় অপ্রাসঙ্গিক উত্তরের সম্ভাবনা থাকে। কারণ বড় ধরনের গবেষণায় এ পদ্ধতির আশ্রয় নেওয়ায় সব শ্রেণি ও পেশার উত্তরদাতা থাকে। অবাধ স্বাধীনতার সুযোগে তাদের অনেকেই ব্যাপকমাত্রায় অপ্রাসঙ্গিক উত্তর প্রদান করে থাকে।

৫. সময় ও শ্রম : ডাকযোগে প্রশ্নমালার মাধ্যমে সম্পাদিত গবেষণায় খরচ কিছুটা কম হলেও সময় ও শ্রম যথেষ্ট পরিমাণে ব্যয় হয়। তবে সে অনুযায়ী গবেষণার ফলাফল প্রাপ্তির ক্ষেত্রে যথেষ্ট অনিশ্চয়তা থেকে যায়।

৬. তথ্য সম্পাদনায় জটিলতা : এ পদ্ধতিতে মাঠ থেকে প্রাপ্ত তথ্যে যথেষ্ট অসঙ্গতি থাকায় পরবর্তী পর্যায়ে তথ্য প্রক্রিয়াকরণে অর্থাৎ সারণিবদ্ধকরণ। সারণিবদ্ধকরণ বিশ্লেষণ করাসহ প্রতিটি পর্যায়ে জটিলতা তৈরি হয়।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, ডাকযোগে প্রশ্নমালা প্রেরণের মাধ্যমে সম্পাদিত গবেষণা সম্পাদনের ক্ষেত্রে যে যথেষ্ট সমস্যা বিদ্যমান রয়েছে তা উপরের আলোচনা থেকে স্পষ্টভাবেই প্রতীয়মান হয়। 

তবে সাম্প্রতিককালে আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন হওয়ায় ডাক ব্যবস্থায় অনেকটা সংকটের মুখে। তাই ভবিষ্যতে এ ধরনের আলোচনার অভিজ্ঞতা নাও থাকতে পারে।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ ডাকযোগে প্রশ্নমালা প্রেরণের সমস্যাসমূহ বর্ণনা কর

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম ডাকযোগে প্রশ্নমালা প্রেরণের সমস্যাসমূহ বর্ণনা কর। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
Example.com - Your ACME Website Winner