প্রশ্নমালা পদ্ধতির অসুবিধা সংক্ষেপে আলোচনা কর

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো প্রশ্নমালা পদ্ধতির অসুবিধা সংক্ষেপে আলোচনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের প্রশ্নমালা পদ্ধতির অসুবিধাসমূহ উল্লেখ কর।

প্রশ্নমালা পদ্ধতির অসুবিধা সংক্ষেপে আলোচনা কর
প্রশ্নমালা পদ্ধতির অসুবিধা সংক্ষেপে আলোচনা কর

প্রশ্নমালা পদ্ধতির অসুবিধা সংক্ষেপে আলোচনা কর

  • অথবা, প্রশ্নমালা পদ্ধতির অসুবিধাসমূহ উল্লেখ কর।
  • অথবা, প্রশ্নমালা পদ্ধতির কী কী অসুবিধা রয়েছে? লেখ ।

উত্তর ভূমিকা : সামাজিক গবেষণা পরিচালনার ক্ষেত্রে বর্তমানে যে পদ্ধতিগুলো বিশেষ ভূমিকা পালন করছে প্রশ্নপত্র পদ্ধতি তার মধ্যে অন্যতম প্রধান। 

এ পদ্ধতিতে বেশ অল্প সময়ের মধ্যেই কম খরচে গবেষণার জন্য পর্যাপ্ত তথ্যসংগ্রহ করা যায় । তাই সমাজ গবেষকগণ এ পদ্ধতির আশ্রয় গ্রহণ করে থাকে।

প্রশ্নপত্র পদ্ধতির অসুবিধাসমূহ : প্রশ্নপত্র পদ্ধতির উল্লেখযোগ্য অসুবিধাগুলো নিম্নে আলোচনা করা হলো :

১. অনমনীয়তা : প্রশ্নপত্র পদ্ধতিতে নমনীয়তার অভাব বিদ্যমান। এতে সব উত্তরদাতার জন্য একই প্রশ্ন করা হয় এবং উত্তরও নির্ধারিত থাকে । 

প্রশ্নপত্র বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য কোনো সাক্ষাৎকার গ্রহণকারী উত্তরদাতার সামনে উপস্থিত থাকেন না । উত্তরদাতা কোনো প্রশ্ন সঠিকভাবে বুঝতে না পারলেও তার অন্য কোনো বিকল্প থাকে না ।

২. উত্তরদাতা কম : এ পদ্ধতিতে উত্তরদাতার হার খুবই কম। এতে সাক্ষাৎকার গ্রহণকারী উপস্থিত থাকেন না এবং উত্তরদাতাকে প্রেরণা দেওয়ার মতোও কেউ থাকেন না। 

এর ফলে উত্তরদাতা সময় ব্যয় করে প্রশ্নপত্রের উত্তর দিতে উৎসাহিত হন না । বাস্তবে দেখা যায় যে, প্রশ্নপত্র পদ্ধতিতে বেশিরভাগ উত্তর পাওয়া যায় না।

৩. সময়সাপেক্ষ : কম সময়ে ও দ্রুত তথ্য পেতে প্রশ্নপত্র পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়। কিন্তু বাস্তবে এ পদ্ধতি খুবই সময়সাপেক্ষ । উত্তরদাতারা সহজে উত্তরপত্র ফেরত পাঠায় না। 

তাদেরকে বার বার তাগিদ দিতে হয়। কত সময়ের মধ্যে উত্তরপত্র পাওয়া যাবে এ ব্যাপারে কোনো নিশ্চয়তা থাকে না ।

৪. ব্যয়বহুল : প্রশ্নপত্র পদ্ধতিতে ব্যয় অপেক্ষাকৃত কম বলে মনে করা হলেও বাস্তবে তা নয় । কারণ ডাকযোগে প্রশ্নপত্র পাঠাতে এবং প্রশ্নপত্র তৈরি করতে অনেক অর্থব্যয় হয়। 

উপরন্তু অনেক সময় সাক্ষাৎকারের প্রয়োজন হয় যা ব্যয়ের পরিমাণ আরও বাড়িয়ে দেয় ।

৫. পক্ষপাতমূলক নমুনা : প্রশ্নপত্র পদ্ধতি কেবল নিশ্চিত উত্তরদাতার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য যারা প্রশ্নপত্র পড়তে, বুঝতে এবং উত্তর করতে সক্ষম । 

কিন্তু অশিক্ষিত উত্তরদাতার ক্ষেত্রে এ পদ্ধতি প্রয়োগযোগ্য নয় । এজন্য Goode Hatt মন্তব্য করেছেন। যে, এ পদ্ধতি অশিক্ষিত ও গতিশীল ব্যক্তিদেরকে অন্তর্ভুক্ত করতে পারে না।

৬. ব্যাখ্যা না থাকা : এ পদ্ধতিতে উত্তরদাতার কাছে দুর্বোধ্য ও অস্পষ্ট প্রশ্নপত্র ব্যাখ্যা করার কোনো সুযোগ থাকে না। কারণ এতে সাক্ষাৎকার গ্রহণকারী উত্তরদাতার নিকট উপস্থিত থাকেন না। 

তেমনিভাবে উত্তরদাতা কর্তৃক প্রদত্ত দুর্বোধ্য উত্তর ব্যাখ্যা করারও সুযোগ নেই। কারণ উত্তরদাতা অনুসন্ধানকারীর সামনে উপস্থিত থাকেন না ।

৭. প্রশ্নের অসমরূপতা : সব উত্তরদাতার মেধা, নিষ্ঠা ও বুদ্ধিমত্তার উপযোগী প্রশ্নপত্র তৈরি করা বাস্তবে অসম্ভব। কারণ এসব দিক থেকে মানুষে মানুষে পার্থক্য বিদ্যমান। 

কোনো উত্তরদাতার বুদ্ধিমত্তার বাইরে প্রশ্ন থাকলে তাতে তিনি স্বাভাবিকভাবেই উত্তর দেন না এবং দিলেও তা সঠিক উত্তর হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, সামাজিক গবেষণা পরিচালনার ক্ষেত্রে প্রশ্নপত্র পদ্ধতি একটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ পদ্ধতি। প্রতিটি পদ্ধতিই কিছু সুবিধা ও কিছু অসুবিধার সমন্বয়ে সৃষ্ট। 

প্রশ্নপত্র পদ্ধতিও এর ব্যতিক্রম নয় তবে গবেষক যদি দক্ষতর সাথে কাজ করতে পারেন তাহলে অসুবিধাগুলোকে এড়িয়ে ও সুবিধাগুলোকে কাজে লাগিয়ে যথাযথ ফলাফল লাভ করা অসম্ভব নয় ।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ প্রশ্নমালা পদ্ধতির কী কী অসুবিধা রয়েছে? লেখ

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম প্রশ্নমালা পদ্ধতির অসুবিধা সংক্ষেপে আলোচনা কর। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ