একটি উত্তম প্রশ্নমালার বিবেচ্য বিষয় উল্লেখ কর

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো একটি উত্তম প্রশ্নমালার বিবেচ্য বিষয় উল্লেখ কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের উত্তম প্রশ্নপত্রের আবশ্যকীয় গুণাবলি সংক্ষেপে লেখ।

একটি উত্তম প্রশ্নমালার বিবেচ্য বিষয় উল্লেখ কর
একটি উত্তম প্রশ্নমালার বিবেচ্য বিষয় উল্লেখ কর

একটি উত্তম প্রশ্নমালার বিবেচ্য বিষয় উল্লেখ কর

  • অথবা, উত্তম প্রশ্নপত্রের আবশ্যকীয় গুণাবলি সংক্ষেপে লেখ।
  • অথবা, একটি উত্তম প্রশ্নমালা তৈরিতে বিবেচ্য বিষয়গুলো সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা কর।

উত্তর ভূমিকা : পরিসংখ্যানিক তথ্যসংগ্রহে প্রশ্নমালা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আর এ প্রশ্নমালার ওপর গবেষণার সাফল্য অনেকাংশে নির্ভরশীল। তাই প্রশ্নমালা প্রণয়নকারীকে দক্ষ ও অভিন্ন হতে হবে এবং গবেষণার বিষয়বস্তু সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা থাকতে হবে। 

তার জানা থাকা প্রয়োজন একটি অনুসন্ধান থেকে কী জাতীয় তথ্যসংগ্রহ করতে হবে এবং কাদের নিকট হতে তথ্যসংগ্রহ করতে হবে। এসব জেনেই প্রশ্নমালার নকশা প্রণয়ন করা উচিত।

প্রশ্নমালা প্রণয়নে বিবেচ্য বিষয়সমূহ : তথ্য অনুসন্ধানের জন্য যখন প্রশ্নমালা তৈরি করা হবে তখন প্রশ্নমালা। তৈরিকারীকে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো বিবেচনায় আনতে হবে :

১. প্রশ্নের সংখ্যা সমন্বয় : কোনো জরিপের উদ্দেশ্যের ওপর ভিত্তি করে প্রশ্নমালা প্রণয়ন করতে হয়। প্রশ্নমালায় প্রশ্নের সংখ্যা খুব বেশি হবে না। অনুসন্ধানের জন্য যে প্রশ্নগুলো না হলেই নয় শুধুমাত্র সেই প্রশ্নগুলো অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। জরিপের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত নয় এমন প্রশ্ন থাকা বাঞ্ছনীয় নয় ।

২. প্রশ্নের সুস্পষ্টতা : প্রশ্নমালায় যেসব প্রশ্ন স্থান পাবে তা সুস্পষ্ট ও পরিষ্কার অর্থ বিশিষ্ট হতে হবে, যাতে প্রতিটি প্রশ্ন সহজ এবং দ্বার্থহীন হয়। নির্বাচিত প্রশ্নগুলো সহজসরল ভাষায় উপস্থাপন করতে হবে যাতে সাধারণ জ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তিও প্রশ্নের অর্থ বুঝতে পারে।

৩. উত্তরের সংক্ষিপ্ততা : প্রশ্নের উত্তর যাতে সংক্ষিপ্ত হয় সেদিকে লক্ষ রেখে প্রশ্ন নির্বাচিত করতে হবে। প্রশ্নের ভাষা হবে অতি সরল, যাতে অল্প শিক্ষিত কিংবা অশিক্ষিত মানুষ সহজে প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে। প্রশ্নের ধরন এমন হতে হবে যাতে শুধু হ্যাঁ/না কিংবা একটি সংখ্যায় বা শব্দে উত্তর দেওয়া যায়।

৪. অপ্রাসঙ্গিক ও অপ্রয়োজনীয় প্রশ্ন না থাকা : প্রশ্নের সংখ্যা সীমিত হওয়া আবশ্যক। অপ্রয়োজনীয় ও অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্ন দ্বারা প্রশ্নমালা সমস্যা বৃদ্ধি করবে যা থেকে কোনো সুফল পাওয়া যাবে না। কেননা দীর্ঘ প্রশ্নমালা উত্তরদাতার বিরক্তের কারণ হতে পারে।

৫. উত্তরদাতার সম্মান রক্ষা : প্রশ্নমালায় এমন প্রশ্ন দেওয়া উচিত নয় যা উত্তরদাতার সম্মান নষ্ট করতে পারে। এমন প্রশ্ন সংযুক্ত করা উচিত নয় যার উত্তর উত্তরদাতা এড়িয়ে যেতে পারেন বা উত্তর দানে অনীহা প্রকাশ করতে পারেন।

৬. গোপনীয়তা রক্ষা : প্রশ্নের ধারাবাহিকতা এমন হওয়া উচিত যাতে উত্তরদাতার কোনোরূপ বিরক্তি বা ক্লান্তি না লাগে। তাই সহজসরল প্রশ্ন প্রথম দিকে এবং জটিল প্রশ্ন শেষের দিকে সংযোগ করা উচিত। প্রশ্নমালায় উত্তরদাতাকে তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষার আশ্বাস থাকা উচিত।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, সামাজিক গবেষণা সম্পাদনের ক্ষেত্রে একটি উত্তম প্রশ্নমালা হচ্ছে একটি সঠিক ও নির্ভরযোগ্য ফলাফলে নিশ্চয়তা বা প্রতিচ্ছবি। 

তাই একজন গবেষককে প্রশ্নমালার সাধারণ বৈশিষ্ট্য ও সাধারণ গুণাবলি অক্ষুণ্ণ রেখে সতর্কতার সাথে তা প্রস্তুত করতে হবে। এগুলো একটি সুন্দর ও নিখুঁত প্রশ্নমালা প্রণয়ের নিয়ম ছাড়া আর কিছুই নয় ।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ একটি উত্তম প্রশ্নমালার বিবেচ্য বিষয় উল্লেখ কর

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম একটি উত্তম প্রশ্নমালা তৈরিতে বিবেচ্য বিষয়গুলো সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা কর। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ