নমুনায়নের অসুবিধাসমূহ উল্লেখ কর

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো নমুনায়নের অসুবিধাসমূহ উল্লেখ কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের নমুনায়নের সুবিধাগুলো সংক্ষেপে লেখ।

নমুনায়নের অসুবিধাসমূহ উল্লেখ কর
নমুনায়নের অসুবিধাসমূহ উল্লেখ কর

নমুনায়নের অসুবিধাসমূহ উল্লেখ কর

  • অথবা, নমুনায়নের সুবিধাগুলো সংক্ষেপে লেখ।
  • অথবা, নমুনায়নের সুবিধাসমূহ কী কী? বর্ণনা কর ।

উত্তর ভূমিকা : সামাজিক গবেষণার নমুনায়ন পদ্ধতি বিষেশ স্থান দখল করে আছে। প্রস্তাবিত বিষয় নিয়ে গবেষণা করতে গেলে বিশাল সমগ্রকের সম্মুখীন হতে হয়। এ সমগ্রক নিয়ে অধ্যয়ন কিংবা গবেষণা করা গবেষকের পক্ষে সম্ভব হয় না। 

এ কারণে গবেষণা কার্যে তথ্য সংগ্রহের জন্য গবেষক যে উপাদান গুলোকে মূল একক হিসেবে বেছে নেন সেগুলো কে সমগ্রক একক বা বিশ্লেষক একক বলে ।

নমুনায়নের অসুবিধা : সামাজিক গবেষণার তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে নমুনায়ন বহুল প্রচলিত ও ব্যবহৃত পদ্ধতি হলেও নমুনায়নের বেশ কিছু অসুবিধা রয়েছে। নিম্নে এসব অসুবিধা আলোচনা করা হলো :

১. পক্ষপাতিত্ব : নমুনায়ন পদ্ধতিতে তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে গবেষকের পক্ষপাতিত্ব প্রতিনিধিত্বশীল নমুনা নির্বাচনে অসুবিধায় সৃষ্টি করে । নিঃসম্ভাবনা নুমনায়নে ক্ষেত্রে পক্ষপাতিত্বের সমস্য বেশি পরিলক্ষিত হয়।

২. নমুনার বৈচিত্র : সমগ্রকের অন্তর্গত সকল নমুনাই ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টি কোণ হতে সমান গুরুত্বপূর্ণ। অনেক গুরুত্বপূর্ণ নমুনাকে নির্বিচারে বাদ দেওয়া হয় । 

ফলে কেবল নির্বাচিত অংশের বিশেষ বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন উপাদানগুলো নমুনা হিসেবে নির্বাচিত হয়। এবং স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যধারী নমুনার বৃহৎ অংশ বাদ পড়ে। এ সমস্যার কারণে অনেক সময় পর্যাপ্ত তথ্য পাওয়া যায় না। 

৩. দক্ষ গবেষকের অভাব : নমুনায়ন পদ্ধতিতে গবেষণা পরিচালনা করার জন্য দক্ষ জনবল প্রয়োজন হয়। কেননা, এটি একটি বিজ্ঞানভিত্তিক ও স্পর্শকাতর পদ্ধতি, গবেষক যথাযথ নিষ্ঠাবনা, 

অভিজ্ঞ ও দক্ষ হলে আসল নমুনা বাছাই করতে পারবেন । কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় সামাজিক গবেষণায় অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ও প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত গবেষকের সংখ্যা খুবই নগণ্য। 

৪. ত্রুটি বিচ্যুতি : নমুনায়ন পদ্ধতিতে তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে যথাযথ বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অনুসরণ না হলে ত্রুটি বিচ্যুাতির পরিমাণ বৃদ্ধি পায় ।

৫. ফলাফলের যথার্থতা হ্রাস : নমুনার আকার ছোট হলে নমুনা জরিপের ফলাফলের যথার্থতা ও নির্ভরযোগ্যতা দারুণভাবে ব্যাহত হতে পারে।

৬. প্রতিনিধিত্বের সমস্যা : প্রতিনিধিত্বের সমস্য নমুনায়ন পদ্ধতির একটি উল্লেখযোগ্য সমস্যা । নমুনা ভ্রান্তির কারণে মূলত প্রতিনিধিত্বের সমস্যা সৃষ্টি হয়। নমুনায়ন প্রক্রিয়ায় সমগ্রক হতে যেসব একক বাছাই করা হয় সেগুলো প্রতিনিধিত্বশীল একক হিসেবে বিবেচিত । 

অর্থাৎ এই এককগুলোর মাধ্যমেই সমগ্রক সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায় । কিন্তু অনেক সময় দেখা যায়, গবেষখ যেসব একককে প্রতিনিধিত্বশীল একক বলে মনে করেছেন সত্যিকার অর্থে সেগুলো প্রতিনিধিত্বশীল নাও হতে পারে । প্রতিনিধিত্বকারী একক ব্যতীত সমগ্রক উপাদানের সঠিক ও নির্ভর যোগ্য বিশ্লেষণ সম্ভব নয় ।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, নমুনায় পদ্ধতির বেশকিছু সীমাবদ্ধতা থাকার সত্ত্বেও এই পদ্ধতি শুমারি জরিপ অপেক্ষা বেশ উপযোগী পদ্ধতি। স্বল্প সম্পদ ও স্বল্প সময়ে গবেষণা পরিচালনা ও  গবেষণার ফলাফলের যথার্থতা ও নির্ভযোগ্যতা বৃদ্ধির বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি হচ্ছে নমুনায়ন। 

সামাজিক ও অর্থনৈতিক সমস্যার ওপর গবেষণায় নমুনায়ন পদ্ধতি বর্তমানে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ নমুনায়নের অসুবিধাসমূহ উল্লেখ কর

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম নমুনায়নের সুবিধাসমূহ কী কী? বর্ণনা কর। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ