প্রশ্নমালা পদ্ধতির সুবিধাসমূহ উল্লেখ কর

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো প্রশ্নমালা পদ্ধতির সুবিধাসমূহ উল্লেখ কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের প্রশ্নমালা পদ্ধতির সুবিধাগুলো সংক্ষেপে লেখ।

প্রশ্নমালা পদ্ধতির সুবিধাসমূহ উল্লেখ কর
প্রশ্নমালা পদ্ধতির সুবিধাসমূহ উল্লেখ কর

প্রশ্নমালা পদ্ধতির সুবিধাসমূহ উল্লেখ কর

  • অথবা, প্রশ্নমালা পদ্ধতির সুবিধাগুলো সংক্ষেপে লেখ । 
  • অথবা, প্রশ্নমালা পদ্ধতির সুবিধাসমূহ কী কী? বর্ণনা কর ।

উত্তর ভূমিকা : সামাজিক গবেষণা পরিচালনার ক্ষেত্রে বর্তমানে যে পদ্ধতিগুলো বিশেষ ভূমিকা পালন করছে প্রশ্নপত্র পদ্ধতি তার মধ্যে অন্যতম প্রধান। 

এ পদ্ধতিতে বেশ অল্প সময়ের মধ্যেই কম খরচে গবেষণার জন্য পর্যাপ্ত তথ্যসংগ্রহ করা যায় । তাই সমাজ গবেষকগণ এ পদ্ধতির আশ্রয় গ্রহণ করে থাকে ।

● প্রশ্নপত্র পদ্ধতির সুবিধাসমূহ : প্রশ্নপত্র পদ্ধতির প্রধান সুবিধাগুলো নিম্নে আলোচনা করা হলো :

১. স্বল্প দক্ষতা : প্রায় সব ধরনের সামাজিক গবেষণার জন্য দক্ষ, অভিজ্ঞ ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মী দরকার। কিন্তু এ পদ্ধতিতে গবেষকের তেমন দক্ষতার প্রয়োজন নেই, বরং কম দক্ষ হলেও চলে। কেননা এ পদ্ধতিতে উত্তরদাতার কাছ থেকে সরাসরি তথ্য আনার প্রয়োজন হয় না।

২. পক্ষপাতিত্বহীনতা : প্রশ্নপত্র পদ্ধতিতে গবেষকের পক্ষপাতিত্বের তেমন সুযোগ নেই। কারণ তথ্যসংগ্রহের সময় অনুসন্ধানকারী উত্তরদাতার কাছে উপস্থিত থাকেন না। 

ফলে তিনি উত্তরদাতাকে প্রভাবিত করতে পারেন না এবং উত্তরদাতা নিজের ইচ্ছামতো উত্তর প্রদান করেন ।

৩. বিস্তৃত পরিধি : সাধারণত গবেষণার এলাকা যদি ব্যাপক ও বিস্তৃত হয় তাহলে তথ্যসংগ্রহের জন্য প্রশ্নপত্র পদ্ধতি অনুসরণ করা হয় । এ পদ্ধতিতে যত সহজে বিস্তৃত এলাকা জরিপ করা সম্ভব অন্য পদ্ধতিতে তা সম্ভব হয় না ।

৪. স্বল্পব্যয় : প্রশ্নপত্র পদ্ধতি তুলনামূলকভাবে অন্যান্য পদ্ধতির চেয়ে কম ব্যয়বহুল। কারণ এতে তথ্যসংগ্রহের জন্য অনুসন্ধানকারীকে উত্তরদাতার নিকট যেতে হয় না। 

এ পদ্ধতিতে কেবল ডাকের খরচ বহন করতে হয় মাত্র। উপরন্তু এতে সাক্ষাগ্রহণকারীর প্রশিক্ষণসংক্রান্ত খরচও নেই।

৫. কম জনশক্তি : প্রশ্নপত্র পদ্ধতিতে অন্য যেকোনো পদ্ধতির তুলনায় কম জনশক্তি ব্যয় হয়। কেননা এতে মাঠ পর্যায়ে তেমন কোনো কাজ করতে হয় না। 

উত্তরদাতা খুঁজে বের করা, তাদের কাছ থেকে সময় নেওয়া, সরাসরি সাক্ষাৎকার নেওয়া এসব কাজে অনেক জনশক্তি ক্ষয় হয় । অথচ প্রশ্নপত্র পদ্ধতিতে এ কাজগুলো করার প্রয়োজন নেই । 

৬. সাদৃশ্যতা : প্রশ্নপত্রের মাধ্যমে সব উত্তরদাতার উত্তরে সমরূপতা আনা যায় । কারণ একদিকে এতে কাঠামোগত ও আবদ্ধ প্রশ্ন থাকে, অন্যদিকে প্রশ্নে একই শব্দচয়ন, প্রশ্নের ধারাবাহিকতা এবং নির্দেশনা প্রদানের মাধ্যমে সমরূপতা অর্জন করা যায়।.. 

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, সামাজিক গবেষণা পরিচালনার ক্ষেত্রে প্রশ্নপত্র পদ্ধতি একটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ পদ্ধতি । প্রতিটি পদ্ধতিই কিছু সুবিধা ও কিছু অসুবিধার সমন্বয়ে সৃষ্ট। 

প্রশ্নপত্র পদ্ধতিও এর ব্যতিক্রম নয়, তবে গবেষক যদি দক্ষতার সাথে কাজ করতে পারেন তাহলে অসুবিধাগুলোকে এড়িয়ে ও সুবিধাগুলোকে কাজে লাগিয়ে যথাযথ ফলাফল লাভ করা অসম্ভব নয়।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ প্রশ্নমালা পদ্ধতির সুবিধাসমূহ উল্লেখ কর

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম প্রশ্নমালা পদ্ধতির সুবিধাসমূহ কী কী? বর্ণনা কর। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ