অতি নগরায়নের বৈশিষ্ট্য লিখ

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো অতি নগরায়নের বৈশিষ্ট্য লিখ | অতিশহরায়নের বৈশিষ্ট্যসমূহ উল্লেখ কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের অতি নগরায়নের বৈশিষ্ট্য লিখ | অতিশহরায়নের বৈশিষ্ট্যসমূহ উল্লেখ কর ।

অতি নগরায়নের বৈশিষ্ট্য লিখ
অতি নগরায়নের বৈশিষ্ট্য লিখ

অতি নগরায়নের বৈশিষ্ট্য লিখ | অতিশহরায়নের বৈশিষ্ট্যসমূহ উল্লেখ কর

উত্তর : ভূমিকা : শহরায়ন আধুনিক জীবন ব্যবস্থায় একটি নতুন প্রত্যয়। কিন্তু অতিনগরায়ণের ফলে নগর জীবনে ক্ষতি বর্তমানে ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। 

দেখা দিচ্ছে নানান ধরনের শহরায়ন সৃষ্ট সমস্যা। তৃতীয় বিশ্বে নগরায়ণের একটি স্বাভাবিক পরিণতি অতিশহরায়ন। অভিনগরায়ণের সুনির্দিষ্ট কিছু বৈশিষ্ট্য আছে যা অতিশহরায়নকে স্বতন্ত্রতা দান করে ।

নিম্নে অভিনগরায়ণের বৈশিষ্ট্য দেওয়া হলো :

১. অতিনগরায়ণের ফলে নগরীর প্রকৃত ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত জনসংখ্যা নগরীতে বসবাস করে ।

২. বস্তি এলাকার পরিমাণ বেশি।

৩. জনসংখ্যার তুলনায় কর্মসংস্থানের পরিমাণ কম ।

৪. অর্থনৈতিক ছাপ বিদ্যমান ।

৫. অতিশহরায়ন সামাজিক জীবনে এক ধরনের বিচ্ছিন্নতা সৃষ্টি করে। নগরের একটা অংশ কেন্দ্র থেকে দূরে থাকে এবং এই অংশের মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করতে বাধ্য হয় ।

৬. যেখানে উন্নত দেশগুলো নগরায়ণের মাধ্যমে উন্নতি সাধনের চেষ্টা করে সেখানে অতিনগরায়ণে নগর নিজেই একটা সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

৭. যে সকল জনসমষ্টি নগরীতে স্থানান্তরিত হয় তারা উৎপাদন কাজে জড়িত নয়।

৮. নগরে যে পরিমাণ লোক স্থানান্তরিত হয় সে পরিমাণ জায়গা ও কাজের অভাব।

৯. অতিনগরায়ণ মানে বিপন্ন নাগরিক জীবন। এর ফলে অপরাধী, সন্ত্রাসী, ভিক্ষাবৃত্তি, লুণ্ঠন, মাদকাসক্তি ইত্যাদি অসামাজিক কার্যকলাপের মাধ্যমে মূল্যবোধের অবক্ষায় ঘটে।

১০. এখানে উন্নয়নকামী দেশের আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক অবস্থার চিত্র বিদ্যমান থাকে ।

যে সব সমাজবিজ্ঞানী অতিনগরায়ণ প্রত্যয়টি ব্যবহার করেছেন তাদের মধ্যে G. Bargn, N. wirth এবং Ronald Brus প্রমুখের নাম উল্লেখযোগ্য।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, অতিশহরায়ন নগরায়ণের ঠিক উল্টো একটি প্রত্যয়। যা নগরায়ণের ক্ষতিকর দিকটাকে বুঝিয়ে থাকে। অপরাধী, সন্ত্রাসী, মাদকাসক্তি, বস্তি সমস্যা, কর্মসংস্থানের অভাব, অধিক জনসংখ্যা প্রভৃতি অতিনগরায়ণের ফল। 

তাই আমাদের উচিত নগরায়ণ সৃষ্ট সমস্যা মোকাবিলা করা এবং অতি নগরায়ণ যেন না হয় সে জন্য সুষ্ঠু পূর্ব নগর পরিকল্পনা গ্রহণ করা উচিত।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ অতি নগরায়নের বৈশিষ্ট্য লিখ

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম অতি নগরায়নের বৈশিষ্ট্য লিখ । যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ