ব্যাকটেরিয়াকে মনেরা রাজ্যের জীব বলা হয় কেন

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো ব্যাকটেরিয়াকে মনেরা রাজ্যের জীব বলা হয় কি বুঝায় জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের ব্যাকটেরিয়াকে মনেরা রাজ্যের জীব বলা হয় 

ব্যাকটেরিয়াকে মনেরা রাজ্যের জীব বলা হয়
ব্যাকটেরিয়াকে মনেরা রাজ্যের জীব বলা হয় 

জীববিজ্ঞান শিক্ষক মিঃ হক তার ছাত্রদের নিয়ে বিদ্যালয়ের গাছগুলো পর্যবেক্ষণ করলেন। পরবর্তীতে তিনি নানা রকম গাছ দেখিয়ে একটি বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করলেন, যার জনক বিজ্ঞানী ক্যারোলাস লিনিয়াস। অবশেষে তিনি উক্ত বিজ্ঞানীর প্রবর্তিত নামকরণ পদ্ধতির নিয়মাবলি আলোচনা করলেন।

ক. ICZN কী?

খ. ব্যাকটেরিয়াকে মনেরা রাজ্যের জীব বলা হয় কেন?

গ শিক্ষকের আলোচিত মূল বিষয়বস্তুর উদ্দেশ্য বর্ণনা করো।

ঘ.মানুষের নামকরণের ক্ষেত্রে উদ্দীপকে উল্লিখিত বিজ্ঞানীর উদ্ভাবনকৃত পদ্ধতির প্রতিফলন ঘটেছে কী না? বিশ্লেষণ করো।

                                         প্রশ্নের উত্তর

ক.  ICZN ( International Code of Zoological Nomenclature) হলো প্রাণীর নামকরণের একটি নীতি নির্ধারণী দলিল।

খ. ব্যাকটেরিয়া আদিকোষী, এককোষী, ফিলামেন্টাস ও কলোনিয়াল জীব। কোষে ক্রোমাটিন বস্তু থাকলেও নিউক্লিওলাস ও নিউক্লয়ার পর্দা নেই। 

এদের কোষে প্লাস্টিড, মাইটোকন্ড্রিয়া, এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলাম ইত্যাদি নেই; শুধুমাত্র একটি অঙ্গাণু রাইবোজোম আছে। 

কোষ বিভাজন দ্বিভাজন প্রক্রিয়ায় ও খাদ্যগ্রহণ শোষণ পদ্ধতিতে হয়। তাই, মনেরা রাজ্যের উক্ত বৈশিষ্ট্যগুলো বিদ্যমান থাকায় ব্যাকটেরিয়াকে এ রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

গ. শিক্ষকের আলোচিত মূল বিষয়বস্তুটি হলো জীবের শ্রেণিবিন্যাস। শ্রেণিবিন্যাসের উদ্দেশ্য হলো প্রতিটি জীবের দল ও উপদল সম্বন্ধে জ্ঞান আহরণ করা। 

জীবজগতের ভিন্নতার প্রতি আলোকপাত করে আহরিত জ্ঞানকে সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা, পূর্ণাঙ্গ জ্ঞানকে সংক্ষিপ্তভাবে উপস্থাপন করা এবং প্রতিটি জীবকে শনাক্ত করে তার নামকরণের ব্যবস্থা করা। 

সর্বোপরি, জীবজগৎ ও মানবকল্যাণে প্রয়োজনীয় জীবসমূহকে শনাক্ত করে তাদের সংরক্ষণ অথবা প্রজাতিগত সংখ্যা বৃদ্ধির ব্যবস্থা নেওয়া হলো শ্রেণিবিন্যাসের উদ্দেশ্য। 

ঘ. মানুষের বৈজ্ঞানিক নাম Homo sapiens, যেখানে বৈজ্ঞানিক নামকরণের ক্ষেত্রে শ্রেণিবিন্যাসের জনক বিজ্ঞানী ক্যারোলাস লিনিয়াস প্রবর্তিত দ্বিপদ নামকরণ পদ্ধতির নিয়মাবলির প্রতিফলন ঘটেছে। 

যেমন- লিনিয়াসের নিয়মটি হলো নামকরণ অবশ্যই ল্যাটিন শব্দে হবে। নামের দুটি অংশ থাকবে, যার একটি হবে গণ নাম ও অন্যটি হবে প্রজাতি নাম। 

মানুষের পুরো নামটি ল্যাটিন শব্দে গঠিত এবং এ নামের Homo অংশটি হলো গণ নাম ও sapiens অংশটি হলো প্রজাতি নাম। 

জীবজগতের প্রতিটি বৈজ্ঞানিক নামের মতো Homo sapiens নামটিও অনন্য, যা শুধুমাত্র মানুষের জন্যই প্রযোজ্য। বৈজ্ঞানিক নামের প্রথম অংশের প্রথম অক্ষর বড় হরফে (Capital letters) হতে হয় এবং বাকিগুলো ছোট হরফে (small letters) হয়, আর দ্বিতীয় অংশটির নাম শুধুমাত্র ছোট হরফ (small letters) দিয়ে লিখতে হয়। 

মানুষের নামটিও এরূপ নিয়মে গঠিত। বৈজ্ঞানিক নাম মুদ্রণের সময় ইটালিক অক্ষরে লিখতে হয়। হাতে লিখার সময় গণ ও প্রজাতি নামের নিচে আলাদা আলাদা দাগ দিতে হয়। যেমন- Homo sapiens 1 

উপরিউক্ত আলোচনা থেকে বোঝা যায় যে, মানুষের নামকরণের ক্ষেত্রে ক্যারোলাস লিনিয়াস প্রদত্ত দ্বিপদ নামকরণ পদ্ধতিটির যথার্থ প্রতিফলন ঘটেছে।

আর্টিকেলের শেষকথাঃব্যাকটেরিয়াকে মনেরা রাজ্যের জীব বলা হয় 

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম ব্যাকটেরিয়াকে মনেরা রাজ্যের জীব বলা হয় যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ