আইবেরিয়ান উপদ্বীপের ভৌগোলিক অবস্থান উল্লেখ কর

 আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো আইবেরিয়ান উপদ্বীপের ভৌগোলিক অবস্থান উল্লেখ কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের আইবেরিয়ান উপদ্বীপের ভৌগোলিক অবস্থান উল্লেখ কর ।

আইবেরিয়ান উপদ্বীপের ভৌগোলিক অবস্থান উল্লেখ কর
আইবেরিয়ান উপদ্বীপের ভৌগোলিক অবস্থান উল্লেখ কর

আইবেরিয়ান উপদ্বীপের ভৌগোলিক অবস্থান উল্লেখ কর

উত্তর : ভূমিকা : আইবেরিয়ান উপদ্বীপের ভৌগোলিক অবস্থান স্পেনের ইতিহাসে একটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছে। ইউরোপের দক্ষিণ পশ্চিমে আইবেরীয় উপদ্বীপে অবস্থিত স্পেন। মুসলিম শাসনামলে আন্দালুসিয়া নামে পরিচিত ছিল। স্পেনের উত্তর পূর্ব ছাড়া স্পেনের তিনদিকে সমুদ্র দ্বারা বেষ্টিত ।

→ আইবেরিয়ান উপদ্বীপের ভৌগোলিক অবস্থান : নিম্নে আইবেরিয়ান উপদ্বীপের ভৌগোলিক অবস্থান তুলে ধরা হলো :

১. আইবেরিয়ান উপদ্বীপ : দক্ষিণ পশ্চিম ইউরোপে অবস্থিত স্পেন ও পর্তুগালকে আইবেরিয়ান উপদ্বীপ বলা হয়। এছাড়া তিনদিকে জল ও একদিকে স্থলবেষ্টিত হওয়ায় স্পেন ও পর্তুগালকে উপদ্বীপ বলে ।

২. আইবেরিয়ান উপদ্বীপ অবস্থান : স্পেন প্রাচীনকালে আইবেরিয়ান উপদ্বীপ নামে অভিহিত ছিল। এটি ইউরোপের দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থিত। উত্তর ও পশ্চিমে বিশাল আটলান্টিক মহাসাগর আর দক্ষিণে ভূমধ্যসাগর এবং পূর্বে পিরেনিজ পর্বতমালা। তিনদিকে সমুদ্রবেষ্টিত আর একদিকে স্থলবেষ্টিত এটা উপদ্বীপ আকারে যেন আফ্রিকা মহাদেশের শিরোভাগে দাঁড়িয়ে আছে। তর মধ্যে বিখ্যাত জিব্রাল্টার প্রাণালি অবস্থিত। তৎকালীন সময়ে জিব্রাল্টার প্রণালি অতিক্রম করেই আফ্রিকার সাথে ইউরোপের পশ্চিম প্রান্তে স্পেনের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা হতো। এই প্রণালি ভূমধ্যসাগর ও আটলান্টিক মহাসাগরকে সংযুক্ত করেছে।

৩. আইবেরিয়ান উপদ্বীপের আয়তন : পর্তুগালসহ স্পেনের আয়তন ২,২৯,০০০ বর্গমাইল। এ উপদ্বীপটি পিরেনিজ পর্বতমালা দ্বারা ইউরোপ থেকে বিচ্ছিন্ন। পিরেনিজ পর্বতমালা পরেই ফ্রান্স ।

৪. আইবেরিয়ান ভূমিরূপ : স্পেন আটলান্টিক মহাসাগর ও ভূমধ্যসাগরের পলি বিধৌত হলেও উপদ্বীপটা সমতল নয়। অনেক উঁচু-নিচু পর্বতমালা। এ ভূ-খণ্ডটি অসমতল করে রেখেছে। উত্তরে কান্ডাত্রীয় পর্বতমালা এবং উত্তর পূর্ব ও পূর্বে আইবেরিয়ান পর্বতমালা দক্ষিণে সিয়েক মারেন পর্বতশ্রেণি আর পশ্চিমে গ্যালি শিয়ার উচ্চ মালভূমি ।

৫. বন্দরসমূহ : আইবেরিয়ান উপদ্বীপের আট ভাগের সাতভাগ ব্যাপী আড়াই হাজার মাইন বিস্তীর্ন সমুদ্রসীমা থাকা সত্ত্বেও মাত্র কয়েকটি পোতাশ্রয় রয়েছে। কারণ এর সুউচ্চ এবং খাজবিহীন উপকূল ভূমি পোতাশ্রয় উপযোগী নহে। এর উত্তর পূর্ব উপকূলে যে সমস্ত বন্দর রয়েছে তা তারা গোনা কাস্টোলোন ও ভ্যালেন্সিয়া এবং দক্ষিণ উপকূলবর্তী বন্দরসমূহের মধ্যে আলমেরিয়া মালাভা আল জেসিরাম প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য ।

৬. জলবায়ু : আইবেরিয়ান উপদ্বীপের জলবায়ু উষ্ণ নাতিশীতোষ্ণ এবং আদ্র আবহাওয়া বিরাজ করতে থাকায় পার্বত্য এলাকায় বেশ কিছু বনভূমি গড়ে উঠেছে।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, আইবেরিয়ান উপদ্বীপের বৈচিত্র্যময় বেশিষ্ট্যর জন্য স্পেনে সমাগত নানা গোষ্ঠীর স্বাতন্ত্রতার জন্য স্পেনে জাতিগত বিভেদ চারিত্র্যিক পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। এই আইবেরিয়ান উপদ্বীপে উত্তর আফ্রিকা ও ইউরোপের মধ্যে সেতুবন্ধন রচনা করেছে।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ আইবেরিয়ান উপদ্বীপের ভৌগোলিক অবস্থান উল্লেখ কর

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম আইবেরিয়ান উপদ্বীপের ভৌগোলিক অবস্থান উল্লেখ কর । যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ