বিশুদ্ধ খাদ্য বলতে কি বুঝ

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো বিশুদ্ধ খাদ্য বলতে কি বুঝ জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের বিশুদ্ধ খাদ্য বলতে কি বুঝ 

বিশুদ্ধ খাদ্য বলতে কি বুঝ
বিশুদ্ধ খাদ্য বলতে কি বুঝ

তুষার টেলিভিশনে ‘খাদ্যে ভেজাল' এর কুফল সম্পর্কিত একটি অনুষ্ঠান দেখছিল। এমন সময় তার মা নিজের কিছু স্বাস্থ্যগত সমস্যার কারণে তাকে সঙ্গে নিয়ে ডাক্তারের কাছে যেতে চাইলেন। ডাক্তারের কাছে গেলে ডাক্তার তুষারের মাকে বললেন, “আপনার শরীরে রক্তশূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে।”

ক. রাফেজ কী?

খ. বিশুদ্ধ খাদ্য বলতে কি বুঝ?

গ. তুষারের মায়ের শারীরিক সমস্যা সৃষ্টির কারণ ও প্রতিকার লেখো ।

ঘ. মানবজীবনে টেলিভিশনে আলোচিত বিষয়বস্তুর কুফল বিশ্লেষণ করো।

প্রশ্নের উত্তর

. ফল, শাকসবজি, শস্যদানা ইত্যাদিতে উপস্থিত আঁশ বা তন্তুর ন্যায় অপাচ্য অংশই হলো খাদ্য আঁশ বা রাফেজ।

. যেসকল খাদ্যে শুধুমাত্র একটি পুষ্টি উপাদান বিদ্যমান, তাদের বিশুদ্ধ খাদ্য বলে। যেমন- চিনি, গ্লুকোজ। এতে শর্করা ছাড়া অন্য কোনো উপাদান থাকে না।

. উদ্দীপকে তুষারের মা রক্তশূন্যতায় আক্রান্ত । নিচে রক্তশূন্যতার কারণ ও প্রতিকার ব্যাখ্যা করা হলো-

রক্তশূন্যতা হলো দেহের এমন একটি অবস্থা যখন বয়স এবং লিঙ্গভেদে রক্তে হিমোগ্লোবিনের ঘনত্ব স্বাভাবিকের তুলনায় কমে যায়। সাধারণত খাদ্যের মুখ্য উপাদান ভিটামিন বি, এবং লৌহঘটিত আমিষের অভাবে এই রোগ হয়। 

মহিলা ও শিশু এই রোগে বেশি আক্রান্ত হয়। এছাড়া অত্যধিক রক্তপাত ঘটলে, কৃমির আক্রমণে, লৌহ গঠিত খাদ্য উপাদান সঠিকভাবে শোষিত না হলে, অন্ত্রের সংক্রমণেও রক্তশূন্যতা দেখা দিতে পারে।

রক্তশূন্যতা প্রতিকারের জন্য লৌহসমৃদ্ধ খাবার, যেমন— যকৃত, মাংস, ডিম, চিনাবাদাম, শাকসবজি, বরবটি, মসুর ডাল, খেজুরের গুড় খেতে হবে। যদি কৃমির সংক্রমণ থাকে তবে কৃমিনাশক ঔষধ খেতে হবে। প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ মতো লৌহ উপাদানযুক্ত ঔষধ সেবন করতে হবে।

. উদ্দীপকে উল্লিখিত টেলিভিশনে আলোচিত বিষয়বস্তু হলো— 'খাদ্যে ভেজাল'। এগুলো মানবজীবনে মারাত্মক কুফল বয়ে আনে। বর্তমানে বাজারে অনৈতিকভাবে খাদ্যে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর ও অস্বাস্থ্যকর রাসায়নিক দ্রব্য, ভেজাল ও রঞ্জক পদার্থ ব্যবহার করে তা বিক্রি করা হচ্ছে। 

এর ফলে জনস্বাস্থ্য হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে। বাণিজ্যিকভাবে কাপড় বা রঙের কাজে ব্যবহৃত রং বিভিন্ন প্রকার খাদ্যদ্রব্য যেমন- গোলা আইসক্রিম, লজেন্স, বেগুনি ইত্যাদিতে ব্যবহারের ফলে যকৃতের কার্যকারিতা নষ্ট এবং যকৃতের বিভিন্ন রোগের সৃষ্টি হচ্ছে। 

ফরমালিন দিয়ে মাছ, ফল, সবজি ইত্যাদি সংরক্ষণ করা হচ্ছে এবং সেগুলো খাওয়ার ফলে এ বিষাক্ত যৌগটি আমাদের দেহে প্রবেশ করছে। যার ফলে আমাদের নানারকম জটিল উপসর্গের কারণসহ ক্যান্সার রোগ সৃষ্টি হচ্ছে। আবার মজুদ খাদ্য ও সবজিতে ব্যবহৃত কীটনাশক খাদ্যের সাথে মানবদেহে প্রবেশ করে মানব স্বাস্থ্যে বিশেষ করে শিশুদের স্বাস্থ্যের অত্যন্ত ক্ষতিসাধন করছে। 

শিশুদের শরীরের বাড়ন্ত কোষে এগুলোর বিষাক্ততা বিরূপ প্রভাব ফেলছে। এর ফলে শিশুরা নানারকম অসুস্থতায় ভোগে এবং তাদের মনের বিকাশ ব্যাহত হয়। সুতরাং ভেজাল খাদ্যদ্রব্য গ্রহণ করলে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা হতে পারে ।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ বিশুদ্ধ খাদ্য বলতে কি বুঝ 

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম বিশুদ্ধ খাদ্য বলতে কি বুঝ যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ