নমুনা বিচ্যুতি এবং অনমুনায়ন বিচ্যুতি কমানোর উপায়সমূহ উল্লেখ কর

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো নমুনা বিচ্যুতি এবং অনমুনায়ন বিচ্যুতি কমানোর উপায়সমূহ উল্লেখ কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের নমুনাজ ভ্রান্তি কমানোর পদ্ধতি সংক্ষেপে আলোচনা কর।

নমুনা বিচ্যুতি এবং অনমুনায়ন বিচ্যুতি কমানোর উপায়সমূহ উল্লেখ কর
নমুনা বিচ্যুতি এবং অনমুনায়ন বিচ্যুতি কমানোর উপায়সমূহ উল্লেখ কর

নমুনা বিচ্যুতি এবং অনমুনায়ন বিচ্যুতি কমানোর উপায়সমূহ উল্লেখ কর

  • অথবা, নমুনাজ ভ্রান্তি কমানোর পদ্ধতি সংক্ষেপে আলোচনা কর । 
  • অথবা, অনমুনাজ ভ্রান্তি কমানোর পদ্ধতি সংক্ষেপে বর্ণনা কর ।

উত্তর ভূমিকা : সামাজিক গবেষণায় কোনো সিদ্ধান্তে উপনীত হতে হলে নমুনা জরিপের আবশ্যক হয়। প্রকৃতপক্ষে নমুনায়নের মাধ্যমে যে তথ্য পাওয়া যায় তা একধরনের প্রাক্কলন। প্রাক্কলন কোনো যথাযথ বা সঠিক পরিমাপ নয় । 

তাই এক্ষেত্রে কিছু ত্রুটি বা বিচ্যুতি থেকে যায় যাকে নমুনা বিচ্যুতি বা Sampling Error বলে। অন্যদিকে যে বিচ্যুতি নমুনা থেকে হয় না তাকে অনমুনায়ন বিচ্যুতি বা Non Sampling Error বলে ।

নমুনা বিচ্যুতি কমানোর উপায়সমূহ : সাধারণত নমুনা থেকে প্রাপ্ত ফলাফল এবং শুমারি জরিপের মাধ্যমে ফলাফলের ব্যবধানকে নমুনা বিচ্যুতি বলা হয়। তাই নমুনা বিচ্যুতির উৎস হচ্ছে নির্বাচিত নমুনা। 

নমুনা নির্বাচন যদি যথাযথ ও প্রতিনিধিত্বমূলক হয় তাহলে নমুনা ভ্রান্তি অনেকাংশে হ্রাস করা সম্ভব। নমুনার আকারও ভ্রান্তির ক্ষেত্রে একটি তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়। কারণ বৃহৎ পরিসরে নমুনায়নের ক্ষেত্রে তথ্য 

বা উপাত্তের আকার বড় হওয়ায় স্বাভাবিক আকার বড় হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই কিছু ভুলভ্রান্তি থেকে যায়। এক্ষেত্রে গবেষককে তথ্যের প্রতিনিধিত্বশীলতার ওপরও জোর দিতে হবে। প্রতিনিধিত্বশীল তথ্যের ক্ষেত্রে নমুনা ভ্রান্তি অনেক কম হয় ।

অনমুনায়ন বিচ্যুতি কমানোর উপায় : সাধারণত কোনো একটি জরিপ কাজে অংশগ্রহণকারী তথ্য সংগ্রাহক তদারককারী, সারণি প্রস্তুতকারী এবং সম্পৃক্ত অন্যান্য কর্মের মাধ্যমে অনমুনায়ন বিচ্যুতি হতে পারে। 

সবসময় অনমুনায়ন বিচ্যুতি নির্ণয় করা কঠিন। তবে জরিপের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ও যথার্থ প্রয়োগের মাধ্যমে অনমুনায়ন বিচ্যুতিকে সম্পূর্ণ বা উল্লেখযোগ্য মাত্রায় হ্রাস করা সম্ভব। 

সেক্ষেত্রে গবেষকের দক্ষতা জরিপের বিষয়, স্থান, তথ্যের আকার প্রভৃতি বিষয়ে সঠিকতা ও নির্ভরযোগ্যতার মাধ্যমে অনমুনায়ন ভ্রান্তি বা বিচ্যুতি উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমিয়ে আনা সম্ভব ।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, সামাজিক গবেষণার ক্ষেত্রে সঠিক ও নির্ভরযোগ্য ফলাফল লাভের ক্ষেত্রে নমুনা বিচ্যুতি ও অনমুনায়ন বিচ্যুতি দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। 

তাই গবেষকের উচিত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ ও সচেতনতার মাধ্যমে শুরু থেকে নমুন ও নমুনা ভ্রান্তি যথাসম্ভব হ্রাসকরণে মনোযোগী হওয়া।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ নমুনা বিচ্যুতি এবং অনমুনায়ন বিচ্যুতি কমানোর উপায়সমূহ উল্লেখ কর

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম অনমুনাজ ভ্রান্তি কমানোর পদ্ধতি সংক্ষেপে বর্ণনা কর। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ