সাক্ষাৎকারের বৈশিষ্ট্যসমূহ উল্লেখ কর

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো সাক্ষাৎকারের বৈশিষ্ট্যসমূহ উল্লেখ কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের সাক্ষাৎকারের বৈশিষ্ট্যসমূহ উল্লেখ কর।

সাক্ষাৎকারের বৈশিষ্ট্যসমূহ উল্লেখ কর
সাক্ষাৎকারের বৈশিষ্ট্যসমূহ উল্লেখ কর

সাক্ষাৎকারের বৈশিষ্ট্যসমূহ উল্লেখ কর

উত্তর ভূমিকা : সামাজিক গবেষণায় তথ্য অপরিহার্য। তথ্য সংগ্রহের অন্যতম পদ্ধতি হলো সাক্ষাৎকার । সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে গৃহীত তথ্য গবেষণার জন্য অত্যন্ত উপযোগী। সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য সঠিক ও নির্ভরযোগ্য হয় । 

সঠিক তথ্য সংগ্রহের জন্য প্রয়োজন হয় সঠিক উত্তরদাতা নির্বাচন। সঠিক উত্তরদাতা সঠিক তথ্য প্রদান করতে পারে। সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য গবেষণাকে সফল করে তোলে ।

● সাক্ষাৎকারের বৈশিষ্ট্য : কোনো মৌলিক বিষয়ে বিজ্ঞানস্মত ও নির্ভরযোগ্য ধারণা লাভের উদ্দেশ্যেই সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হয় । নিম্নে সাক্ষাৎকারের বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করা হলো :

১. প্রত্যক্ষ পদ্ধতি : সাক্ষাৎকারের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো প্রত্যক্ষ পদ্ধতি। সাক্ষাৎকারে তথ্য সংগ্রহকারী এবং তথ্য প্রদানকারীর মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপিত হয়। 

প্রত্যক্ষভাবে গবেষক তার পছন্দ ও প্রয়োজন অনুসারে উত্তরদাতার নিকট থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করে থাকে। প্রত্যক্ষ পদ্ধতির মাধ্যমে তথ্য সংগহ করা হয় ফলে তথ্যের গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পায়।

২. আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ : সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে তথ্য গ্রহণকারী ও তথ্য প্রদানকারীর মধ্যে আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ স্থাপিত হয়। আনুষ্ঠানিক যোগাযোগের মাধ্যমে তথ্য সংগৃহীত হয়। 

তথ্য প্রদানকারী এ পদ্ধতিতে তথ্য প্রদানে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে থাকে। গবেষক ও তার প্রয়োজনীয় উত্তর উত্তরদাতার নিকট থেকে সংগ্রহ করতে পারে।

৩. সামাজিক অবস্থা নির্ণয় : সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে তথ্যদাতার সামাজিক অবস্থান নির্ণয় করা যায় । তথ্যদাতার বিশ্বাস, মূল্যবোধ, মনোভাব, ধারণা, অনুভূতির প্রকাশ ঘটে। যা তথ্য সংগ্রহের জন্য উপযোগী হয় ।

৪. সূচি অনুসরণ : সাক্ষাৎকারে সূচি অনুসরণ করা হয়। সূচিতে অন্তর্ভুক্ত বিষয়াবলি অনুসারে তথ্য সংগ্রহকারী তথ্যদাতার নিকট ধারাবাহিকভাবে প্রশ্ন করে থাকে এবং উত্তর সংগ্রহ করে থাকে।

৫. প্রশ্নের ধারাবাহিকতা : সাক্ষাৎকারের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো প্রশ্নের ধারাবাহিকতা রক্ষা। সাক্ষাৎকারে উত্তরদাতাকে প্রথমে সহজ ও তার পছন্দ অনুসারে প্রশ্ন করতে হয়। শেষের দিকে কঠিন বা জটিল প্রশ্নের উত্তর জানতে চাওয়া হয় । ফলে গবেষকের প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করতে পারে।

৬. তথ্য লিপিবদ্ধ : সাক্ষাৎকারে প্রাপ্ত তথ্য লিপিবদ্ধ করা হয়। অর্থাৎ উত্তর দাতা যেসব উত্তর প্রদান করেন তথ্য সংগ্রহকারী সেসব তথ্য রেকর্ড করেন ।

৭. সাক্ষাৎকারের খোলামেলা আলোচনা : সাক্ষাৎকার পদ্ধতিতে খোলামেলা আলোচনা হয়ে থাকে । খোলামেলা আলোচনার ফলে অনেক গোপন তথ্য জানা যায় । সাক্ষাৎকার গ্রহণকারী অনুসন্ধানী বিষয়ের প্রতি মনোনিবেশ করতে পারে ।

৮. মানের নিশ্চয়তা : সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে সংগৃহীত তথ্যের গুণগতমান নিশ্চিত হয়। তথ্য গ্রহণকারী সরাসরি উত্তরদাতাকে বিভিন্ন আর্থসামাজিক ও বাস্তবতার আলোকে প্রশ্ন প্রণয়ন করে থাকে, যা তথ্যের গুণগত মানকে উন্নত করে । 

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, সাক্ষাৎকার একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ পদ্ধতি। সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে গৃহীত তথ্যের কার্যকারিতা ও গ্রহণযোগ্য নির্ভরযোগ্যতা অধিক মাত্রায় পরিলক্ষিত হয়। 

সাক্ষাৎকার একটি প্রাচীনতম কৌশল হলেও আধুনিক বৈজ্ঞানিক বিশ্বের অধিকাংশ সমাজ গবেষণার প্রাসঙ্গিক তথ্য সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে সংগৃহীত হয় ।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ সাক্ষাৎকারের বৈশিষ্ট্যসমূহ উল্লেখ কর

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম সাক্ষাৎকারের বৈশিষ্ট্যসমূহ উল্লেখ কর। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ