সেলুলোজকে পানি প্রিয় পদার্থ বলা হয় কেন

 আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো সেলুলোজকে পানি-প্রিয় পদার্থ বলা হয় কেন জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের সেলুলোজকে পানি-প্রিয় পদার্থ বলা হয় কেন

সেলুলোজকে পানি-প্রিয় পদার্থ বলা হয় কেন
সেলুলোজকে পানি-প্রিয় পদার্থ বলা হয় কেন

ক. সর্বজনীন রক্তদাতা কাকে বলে?

খ. সেলুলোজকে পানি-প্রিয় পদার্থ বলা হয় কেন?

গ. উদ্দীপকের A চিত্রের প্রক্রিয়াটি উদ্ভিদের একটি অতি প্রয়োজনীয় অমঙ্গল- ব্যাখ্যা করো।

ঘ. মানব জীবনে B ও C এর ভিন্নতা যুক্তিসহকারে বিশ্লেষণ করো।

প্রশ্নের উত্তর

. O গ্রুপের রক্তবিশিষ্ট ব্যক্তি সব গ্রুপের রক্তের ব্যক্তিকে রক্ত দিতে পারে বলে একে সর্বজনীন রক্তদাতা বলা হয়।

. সেলুলোজ হলো হাইড্রোফিলিক বা পানি-প্রিয় পদার্থ, কেননা এরা তরল পদার্থের সংস্পর্শে এলে তা শুষে নেয়। 

কোষপ্রাচীর ও প্রোটোপ্লাজম কলয়েডধর্মী হওয়ায় ইমবাইবিশন প্রক্রিয়ায় পানি শোষণ করে স্ফীত হয়ে ওঠে। তাই সেলুলোজকে পানি-প্রিয় পদার্থ বলা হয় ।

. উদ্দীপকের A চিত্রের প্রক্রিয়াটি হলো প্রস্বেদন। প্রস্বেদন প্রক্রিয়ার উপরে সজীব উদ্ভিদ কোষের বিপাকীয় কার্যক্রম অনেকাংশে নির্ভরশীল। প্রস্বেদনের ফলে জাইলেম বাহিকায় টান পড়ে। 

এই টানের ফলে উদ্ভিদের মূলরোম কর্তৃক শোষিত পানি ও খনিজ লবণ পাতায় পরিবাহিত হয়। এ টানের ঘাটতি হলে পানি শোষণ কমে যাবে এবং খাদ্য প্রস্তুতসহ অনেক বিপাকীয় কার্যক্রম ধীর হয়ে যাবে। প্রস্বেদনের ফলে পাতার মেসোফিলে ব্যাপন চাপ ঘাটতি সৃষ্টি হয় যা পানি শোষণে সাহায্য করে। 

উদ্ভিদ প্রস্বেদনের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত পত্রফলক কর্তৃক শোষিত তাপশক্তি হ্রাস করে পাতার কোষগুলোর তাপমাত্রা সহনশীল পর্যায়ে রাখে।

তবে যদি পানি শোষণের চেয়ে প্রস্বেদনে পানি হারানোর হার অধিক হয় তবে উদ্ভিদের জন্য পানি ও খনিজের ঘাটতি দেখা দেবে। এর ফলে উদ্ভিদটির মৃত্যুও হতে পারে। মাটিতে পানির ঘাটতি থাকলে শোষণ কম হবে কিন্তু প্রস্বেদন পূর্বের মতো চলতে থাকবে। 

এ অবস্থাকে ঠেকাতে প্রকৃতি শীত মৌসুমে বহু উদ্ভিদের পাতা ঝরিয়ে দেয়, যা উদ্ভিদের জন্য ক্ষতিকর। প্রস্বেদনের এরূপ বৈশিষ্ট্যের জন্যই এটি উদ্ভিদের অতি প্রয়োজনীয় অমঙ্গল ।

. চিত্রের B হলো ধমনি এবং C হলো শিরা। নিচে এদের ভিন্নতা যুক্তিসহকারে তুলে ধরা হলো-

ধমনি হূৎপিণ্ড থেকে উৎপন্ন হয়ে দেহের কৈশিকনালিতে রক্ত সরবরাহ করে। অপরদিকে, শিরা কৈশিক নালি থেকে উৎপন্ন হয়ে হূৎপিণ্ডে রক্ত সরবরাহ করে। ধমনির রক্ত অক্সিজেন সমৃদ্ধ থাকে বলে রক্ত গাঢ় লাল বর্ণের হয়। 

অপরপক্ষে, শিরার রক্ত কার্বন ডাই-অক্সাইড সমৃদ্ধ হওয়ায় রং কালচে লাল বর্ণের। ধমনির প্রাচীর পুরু ও বেশি স্থিতিস্থাপক কি শিরার প্রচীর কম পুরু ও কম স্থিতিস্থাপক। ধমনিতে কোনো কপাটিকা থাকে না, কিন্তু শিরায় তা থাকে। 

ধমনি দেহের কেন্দ্রের দিকে এবং শিরা দেহের পরিধির দিকে অবস্থান করে। হৃদ কম্পনের সাথে সাথে ধমনিতে রক্ত ঝাঁকি দিয়ে প্রবাহিত হয়,  যা বাহির থেকে অনুভূত হয় এবং যাকে আমরা নাড়ী-দেখা বলে থাকি; কিন্তু শিরায় রক্ত ঝাঁকি দিয়ে চলে না ।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ সেলুলোজকে পানি-প্রিয় পদার্থ বলা হয় কেন

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম সেলুলোজকে পানি-প্রিয় পদার্থ বলা হয় কেন যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ